সোমবার ● ৫ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বাংলাদেশে একমাত্র বাঙালিরাই আদিবাসী : পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ
বাংলাদেশে একমাত্র বাঙালিরাই আদিবাসী : পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আজ ৫ আগষ্ট সোমবার বেলা ১১টায় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুভাস্কর্য প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে। বার্তা প্রেরকের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিদের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জি: আলকাছ আলমামুন ভূঁইয়া ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ আহমেদ রাজু।
প্রধান অতিথি আলকাছ আল মামুন ভূইয়া বলেন, আদিবাসী শব্দটিকে রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর ও ২০০৯ সালে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শব্দটি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও একটি বিশেষ গোষ্ঠী সংবিধান লঙ্গন করে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃতাত্তিক উপজাতি জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে প্রচার চালিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এদেশের নৃতাত্তিক গোষ্ঠী কখনই আদিবাসী হতে পারেনা। বাংলাদেশে একমাত্র বাঙালিরাই আদিবাসী। বাংলাদেশে আদিবাসী বলে কিছুই নাই। বাংলাদেশে বাঙ্গালীরা আদিবাসী। পার্বত্য এলাকায় চাকমারা এসেছে চম্পক নগর থেকে আর মারমারা (মগ) এসেছে মায়ানমার থেকে। বান্দরবান জেলার সার্কেল চীফ অংসাপ্রু নিজেই বলেছে তারা আদিবাসী নয়। সরকার সাংবিধানিক ভাবে বলেছে উপজাতী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/ ক্ষুদ্র জাতি সত্ত্বাকে কোন ভাবেই আদিবাসী বলা যাবেনা।
অন্যদিকে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা স্বাধীনতার আজ দীর্ঘকাল পরেও শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে যায়না। কখনও শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানায়নি। স্বাধীনতা দিবসে বা ১৬ ডিসেম্বারে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ যুদ্ধাদের সম্মানে স্মৃতিশোধে যায়নি। আজো তিনি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেনি।জাতীয় পরিচয় পত্র ও গ্রহন করেনি। অথচ দেশদ্রোহী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাবির ছাত্র শিক্ষকদেরকে বোকা বানানোর জন্যে সেই পবিত্র শহীদ মিনারকে বেছে নিয়েছে। আমরা তা হতে দিবোনা। তিনি চক্রান্তকারী গোষ্ঠীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
পিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ আহমেদ রাজু বলেন, নৃ-গোষ্ঠীর ক্ষুদ্রজাতি সত্ত্বার লোকেরা এদেশের সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরেও সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তথা কথিত আদিবাসি দিবসের নামে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এদেশীয় কিছু সুশীল ব্যক্তিরা এসব কর্মকান্ডে উৎসাহ দিচ্ছে। যা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গল জনক নয়। তিনি আরও বলেন, বিদেশী কয়েকটি স্বার্থন্বেষী রাষ্ট্র ও এনজিও সংস্থা সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মানসে বিতর্কিত আদিবাসি দিবস পালন করছে।
এসময় মানবন্ধনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ রানা,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের উপদেষ্টা ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মজিদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মো. তৌহিদুল ইসলাম,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহা নগর আহবায়ক এডভোকেট সারোয়ার,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি আসাদুল্লাহ আসাদ,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি সাহাদাত হোসেন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহনগর নেতা ইবরাহিম অপি ওআল আমিন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।