শনিবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » চীন ও পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশ নয়াদিল্লির কাশ্মির পদক্ষেপের বিরোধিতা করেনি
চীন ও পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশ নয়াদিল্লির কাশ্মির পদক্ষেপের বিরোধিতা করেনি
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গতরাতে (শুক্রবার রাতে) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়োছে। চীন ও পাকিস্তানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জম্মু-কাশ্মির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। এর ফলে গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো।
জাতিসংঘ নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোধি বলেছেন, এ বৈঠক প্রমাণ করেছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের জনগণের চিৎকার-ধ্বণি জাতিসংঘের কানে পৌঁছেছে। তিনি দাবি করেন, নিরাপত্তা পরিষদ সব সদস্য দেশ আরেকবার জম্মু-কাশ্মির সম্পর্কে এই পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত এ দাবি করলেও কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, চীন ও পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশ নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক কাশ্মির সংক্রান্ত পদক্ষেপের বিরোধিতা করেনি। অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেছেন, কাশ্মির ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এখানে বাইরের কারো হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এ ছাড়া, নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠকে থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়নি।
জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কাশ্মিরে সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্সের বিক্ষোভ মিছিল
সম্প্রতি ভারত সরকার কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করে। এর ফলে কাশ্মিরে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সম্ভাব্য গোলযোগ প্রতিহত করতে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়। কাশ্মিরের বিশেষ ক্ষমতা বাতিলের ফলে এখন হিন্দু অভিবাসীরা কাশ্মিরের জমি কিনে সেখানে বসবাস করতে পারবেন। বিশেষ ক্ষমতার কারণে জম্মু-কাশ্মিরের স্থায়ী অধিবাসী নন এমন কারো পক্ষে সেখানকার জমি কেনা সম্ভব ছিল না।
ভারত সরকার কয়েক দশক ধরে নিজের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে লাখ লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। কাশ্মিরের জনগণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাশ্মির সংক্রান্ত প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান যেখানে এই অঞ্চলের ভবিষ্যত নির্ধারণের বিষয়টি সেখানকার জনগণের মধ্যে গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা বলা হয়েছে। ভারত সরকার অবশ্য নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। সূত্র : রেডিও তেহরান