সোমবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
ষ্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে। গতকাল রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে রাঙামাটির শহরে সিএনজি চলাচল করলেও ধর্মঘটের কারণে সকালে রাঙামাটি থেকে কোনও ধরনের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ও পন্যবাহী বাস ছেড়ে যায়নি।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর পাল্লার যাত্রী ও সাধারণ পর্যটকরা। যাত্রী ও পর্যটকদের অভিযোগ, কোনও ধরনের আগাম ঘোষণা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় বাস স্টেশনে এসে অনেকেই আটকা পড়েছেন। তারা বলেন, আগে থেকে পরিবহন ধর্মঘট জানানো হলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। তবে রাঙামাটি শহরে ও অভ্যন্তরীন রুট গুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
৯ দফা দাবি হচ্ছে :
১। পণ্য ও পণ্য পরিবহণের কাগজ পত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করতে হবে। জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাছাই বাছাইয়ের নামে হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
২। বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোন জরিমানা আদায় করা যাবেনা। হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ী জব্দ ও রিকুইজিশন করা যাবেনা।
৩। চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় গাড়ীর ইকোনমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ণ বন্ধ রাখা যাবেনা।
৪। ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ী ছাড়া অন্যকোন অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহণ টু বা ডাম্পিং করা যাবেনা। ড্রাইভার কর্তৃক চালিত গাড়ীর রেকার ভাড়া আদায় করা যাবেনা।
৫। সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএ এর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে।
৬। বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের সড়ক ও মহাসড়কে গ্রাম সিএনজি ও মেট্রো সিএনজি চলাচলের ক্ষেত্রে আরটিসি এর সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে।
৭। ঢাকা চট্টগ্রামের মহাসড়কে স্থাপিত ওয়ে স্কেল দুটি পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দিতে হবে।
৮। মহাসড়কে পণ্য চুরি/ ডাকাতি রোধ কল্পে বর্তমান আইনের পরিবর্তণ ঘটিয়ে নতুন আইন প্রনয়ণ করতে হবে।
৯। মহাসড়ক ও মেট্রো শহর এলাকায় গণ ও পণ্য পরিবহণ যত্রতত্র দাড় করিয়ে চেকিং এর নামে হয়রানি বন্ধ করে নির্দিস্ট দুটি স্থানে চেকিং পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে।