সোমবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পাকুয়াখালীর ৩৫ বাঙালী কাঠোরিয়াকে গণহত্যার বিচারের দাবীতে রাজধানীতে মানববন্ধন
পাকুয়াখালীর ৩৫ বাঙালী কাঠোরিয়াকে গণহত্যার বিচারের দাবীতে রাজধানীতে মানববন্ধন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আজ ৯ সেপ্টেম্বার সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে পাকুয়াখালীর ৩৫ জন বাঙালী কাঠোরিয়াকে সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনী কর্তৃক ”গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দানের দাবীতে মানববন্ধন ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা,ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম-অধিকার আন্দোলনের মহা সচিব মো. মনিরুজ্জামান মনির, ন্যাপ ভাষানি সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভাষানী,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শেখ আহাম্মদ (রাজু),পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ রানা ,পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. আলমগীর কবির, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি মো. তৌহিদুল ইসলাম, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা কামাল, ছাত্রনেতা মিনহাজ তৌকি, ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল অপি, মো. আল আমিন ও রুবেল প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য এলাকার বাঙালিদের কাছে আজ, ৯ সেপ্টেম্বর পাকুয়াখালী ট্রাজেডি তথা ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকান্ড দিবস। ১৯৯৬ সালের এই দিনে রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে তৎকালীন তথাকথিত শান্তিবাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে প্রাণ হারায় ৩৫ নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়া। সেই থেকে পার্বত্য এলাকায় বাঙালিরা এ দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। প্রায় দুইযুগ হয়ে গেলেও এখনও এই হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরই হয়নি। ২১ বছর পরেও বিচার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত নিহতদের পরিবার। ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শান্তিবাহিনীরা লংগদুর ৩৬ জন কাঠুরিয়াকে ব্যবসায়িক লেনদেনের কথা বলে পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কাঠুরিয়াদের তিন দিন আটকে রেখে হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর হত্যা করা হয়। আটক ৩৬ জন কাঠুরিয়ার মধ্যে ইউনুস নামের একজন কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। সে খবর দিলে ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাকুয়াখালীর জঙ্গল হতে ২৮ জন কাঠুরিয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বাকি ৭ জন কাঠুরিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি ১৯৯৬ সালের ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ পর্যন্ত এই তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এসব দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।