বুধবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে পাকা স্থাপনাকে ডোবানালা দেখিয়ে ইফার মডেল মসজিদ করার প্রস্তাব
ঝালকাঠিতে পাকা স্থাপনাকে ডোবানালা দেখিয়ে ইফার মডেল মসজিদ করার প্রস্তাব
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে পাকা স্থাপনাকে ডোবানালা দেখিয়ে মডেল মসজিদ করার উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশন। প্রাথমিকভাবে এ জমি পছন্দ করে চুড়ান্ত অধিগ্রহনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্ত প্রস্তাবিত ঐ জমির মালিকরা দাবী করেছেন এই অংশে তাদের বসত বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নার্সারী রয়েছে যা তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। তারা সরকারের প্রস্তাবিত স্থানে মসজিদটি না করে ৬০ ফুট পার্শ্বে সরিয়ে তাদেরই নিজস্ব ফাকা জমিতে মসজিদটি নির্র্মানের দাবী জানান। ইসলামী ফাউন্ডেশন বলছে জেলা সদরের মূল একটি স্থানে এ মসজিদটি স্থাপন করা হলে সরকারের উদ্দ্যেগ সার্থক হবে। একটি সুন্দর স্থাপনা বড় সড়কের পাশে হলে অধিক মানুষ উপকারভোগী হবে।
এই জমির মালিকদের মধ্যে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট অহিদুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী আলমগীর খান, জাহাঙ্গীর খান, মোতাহার আলী, সেলিনা বেগম ও রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহন শাখা থেকে পাওয়া এল এ কেস নং ৬/২০১৭-১৮ মোকদ্দমার জারীকৃত ৪(১) ধারার নোটিশে তারা জানতে পারেন তাদের মালিকানাধীন ৪০ শতাংশ জমি মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য অধিগ্রহন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তারা তাদের আপত্তির কথা প্রধানমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী এবং বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট অহিদুল ইসলাম বলেন, জীবনের শেষ সঞ্চয় থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে এখানে পাকা স্থাপনা করেছি। এখানে আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাড়া দিয়ে আমার পরিবারের খরচ চলে। এখন এই জমি অধিগ্রহন করা হলে আমি পথে বসবো। এদিকে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জুলাই গত ১৯ আগষ্ট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে তাদেরকে সাক্ষাতকার গ্রহন হয় এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এলাকাটি পরিদর্শন করেন। তিনি জমি মালিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসত ঘড় ও নার্সারী রক্ষায় মসজিদটি ৬০ ফুট উত্তরদিকে সড়িয়ে নির্মানের জন্য চেষ্টা করা হবে। ভুমি মালিকরা এই মসজিদে প্রবেশের জন্য দক্ষিণ দিক থেকে ১৫ ফুট প্রশ্বস্থ্য একটি রাস্তার জন্য জমি দিবেন বলে ঘোষনা দেন।
এ ব্যপারে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ঝালকাঠি) মো. মশিউর রহমান বলেন, ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪০ শতাংশ জমির উপর এ মডেল মসজিদ স্থাপনা হচ্ছে। আমরা মসজিদ স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে জমি বরাদ্ধ চেয়েছি। উপজেলা ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তার অফিস থেকে জমি অধিগ্রহন করার কার্যক্রম করা হয়ে থাকে। এখানে জমি বরাদ্ধের ব্যপারে আমাদের কোন হাত নেই। ইতোমধ্যে এ কাজের দরপত্র সম্পাদনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিগ্রই কাজ শুরু হবে। এ জমি নিয়ে ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে (২৪/৯)মামলা চলছে।