বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে পানীয় জলের উৎস উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী সভা
রাঙামাটিতে পানীয় জলের উৎস উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী সভা
রাঙামাটি :: রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পানীয় জলের উৎস উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী সভা আজ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে জেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ‘টেকসই সামাজিক সেবাদান’ প্রকল্পের আয়োজনে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে গেলে নৌপথে চলাচলে লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। হ্রদ সৃষ্টির পর থেকে এর তলদেশে পলি জমার কারনে এই দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি এসময় খাবার পানিরও সংকট দেখা দেয়। তার কারণ হচ্ছে পাহাড়ি ঝিরি-ঝরনা ও ছড়ার পানি দিনদিন শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে করে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা আরো বলেন, টেকসই সামাজিক সেবাদান প্রকল্প পানির উৎস খুঁজে বের করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ি ছড়া ও ঝরনার উৎস খুঁজে বের করে পানি সংকট দুরীকরণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান তিনি। এই কাজে জেলা পরিষদ থেকে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ^াস দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
টেকসই সামাজিক সেবাদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে, টেকসই সামাজিক সেবাদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ জানে-ই আলম, ইউনিসেফের ওয়াশ কর্মকর্তা সাফিনা নাজনিন’সহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণীসম্পদ দপ্তরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ভেটেরিনারি ঔষুধ বিতরণ
রাঙামাটি :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত আহবায়ক রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেছেন, এ জেলার দেশীয় জাতের গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগীর চাহিদা সারা দেশে রয়েছে ব্যাপক। যেটা কোরবানির ঈদে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এখান থেকে গবাদী পশুগুলো খামারীদের কাছ থেকে ক্রয় করে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি গবাদী পশুর চাহিদার কথা চিন্তা করে দুর্গম এলাকায় গবাদী পশু পালনের উদ্যোগকে আরো বেশী বেগবান করতে প্রানীসম্পদ বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান ।
আজ বৃহস্পতিবার ১৯সেপ্টেম্বর সকালে রাঙামাটি জেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরে রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে জেলা ও ১০উপজেলার প্রানীসম্পদ কর্মকর্তাদের হাতে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগীর ভেটেরিনারি ঔষুধ বিতরণ কালে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, প্রানীসম্পদ বিভাগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে পার্বত্য অঞ্চলের ভ’মিকা রাখা সম্ভব। এই সম্ভাবনাময় খাতকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কাজে লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই চেষ্টা বাস্তবায়নে প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ভ’মিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জেলার দূর্গম এলাকার খামার শিল্পের উন্নয়নে পরিষদের অর্থায়নে এ ঔষুধগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। পরিষদ হতে যা আগে করা হয়েছিল। তিনি বলেন, প্রকৃত খামারীরা ওষুধগুলো সঠিকভাবে গবাদী পশু পাখির রোগমুক্তির জন্য ব্যবহার করে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘঠাতে পারে। তিনি খামারীদের সু পরামর্শ প্রদানে জেলা ও উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিতরণকালে রাঙামাটি জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুন কুমার দত্ত, জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ দেবরাজ চাকমা, বরকল উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন পলি দে’সহ বিভিন্ন উপজেলার প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জনগন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলা ও উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে প্রানীসম্পদ দপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত আহবায়ক রেমলিয়ানা পাংখোয়া। সভা শেষে তিনি ১০উপজেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তাদের হাতে ঔষধপত্রগুলো প্রদান করেন।