বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » ভাবির পরকীয়ায় জীবন দিতে হলো দেবরকে
ভাবির পরকীয়ায় জীবন দিতে হলো দেবরকে
পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ভাবির পরকীয়া প্রেম দেখে ফেলায় দেবর কাওছারকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরের ভাবিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কাওছার হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন- উপজেলার পুরাট গ্রামের শুকুরের ছেলে মালেক (১৮), তার খালাত ভাইয়ের স্ত্রী মুসলিমা (২৬) ও উপজেলার খালইভরা গ্রামের দুলালের ছেলে রুবেল (১৯)।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কাওসারের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে মালেকের ফোন লিস্ট দেখে গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মালেক জানান, খালু খালেক মোল্লার বাড়িতে থাকার সময় তার খালাত ভাইয়ের স্ত্রী মুসলিমার (২৬) সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন মুসলিমার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলে কাওছার। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ও সংসার রক্ষায় কাওছারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুসলিমা।
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বসে কাওছারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুসলিমা। কিন্তু মালেক অপারগতা প্রকাশ করলে অন্যান্যদের সাহায্য নিতে বলেন মুসলিমা। পরে এলাকার চার বন্ধুকে নিয়ে কাওসারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মালেক।
গত শুক্রবার রাতে মালেক কাওছারকে গাঁজা খাওয়ার কথা বলে প্রথমে হাসানপুরের সুমনের মাছের খামারে নিয়ে যান। সেখানে লোকজন থাকায় তারা কৌশলে পাশের রেল লাইনে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে কাওছারকে হত্যা করেন।
মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই চারজন মিলে রেলের পাত দিয়ে কাওসারের মাথায় আঘাত করতে থাকেন। পরে শরীরের শার্ট ও গেঞ্জি দিয়ে হাত পা বেঁধে লাশ পাশের খালে ফেলে দেন।
ওসি জাহাঙ্গীর জানান, মালেকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খালইভরা গ্রামের দুলালের ছেলে রুবেল (১৯) ও হাসানপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী কাওছারের ভাবি মুসলিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, ভাবিসহ পাঁচ আসামির মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
গত সোমবার উপজেলার হাসানপুর রেল লাইনের নিচ থেকে হাসানপুর গ্রামের কাওছারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে গত শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল।