বুধবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গোবিন্দগঞ্জে রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিলে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার না থাকায় সিলগালা
গোবিন্দগঞ্জে রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিলে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার না থাকায় সিলগালা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি ::গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মেসার্স রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিলের তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার না থাকা এবং কারখানার ভেতরে বিভিন্ন শ্রেণির বিক্রয় নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ সরকারি পাঠ্য পুস্তক পাওয়ায় তার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধসহ তা সিলগালা করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) মোঃ আশরাফুজ্জামান এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজির হোসেন উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকায় অবস্থিত রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিল পরিদর্শনে যান। এসময় মিলের তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার না থাকার বিষয়টি তারা নিশ্চিত হন। এছাড়া কারখানার ভেতরে বিপুল পরিমাণ সরকারী বিক্রয় নিষিদ্ধ ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নতুন পাঠ্য বই পাওয়া যায়।
দীর্ঘদিন যাবত রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিলের উৎপাদনে সৃস্ট কেমিক্যাল মিশ্রিত তরল বর্জ্য পরিশোধন ব্যতিত পার্শ্ববর্তী ইছামতি গজারিয়া খালে ফেলা হচ্ছিল। এতে আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষের জন্য উপকারী ইছামতি গজারিয়া খালটি চরমভাবে দুষিত হয়ে পড়ে। সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবসতি এলাকার মানুষ পরিবেশ দূষিত হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে আন্দোলন করে আসছিল। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) আশরাফুজ্জামান এক লিখিত পত্রে ‘রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিল’ এর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধের আদেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজির হোসেন ওই পেপার এন্ড বোর্ড মিল সিলগালা করেন।
বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির বর্ধিত কর্মীসভা
গাইবান্ধা :: বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখার এক বর্ধিত কর্মীসভা আজ বুধবার সংগঠন জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন পল¬ী বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা মাসুদুর রহমান মাসুদ, সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান সুমন, আহমেদুর রহমান রহিমন, কাউসার আলম, আব্দুল হালিম, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, অনেক সংগ্রামের পরেও আমাদের বিল সংশোধন হয়নি এটা বড় দুঃখের বিষয়। মিটার দেয়ার ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেও নেসকো এখনও মিটারের ব্যাপারে অনিহা দেখাচ্ছে। আগের বিল সংশোধন করা এখনও অর্ধেক বাকি রয়েছে এবং আবারও অনেকের নতুনভাবে অতিরিক্ত বিল করা হচ্ছে। আমরা সমস্ত অতিরিক্ত বিল সংশোধনের দাবি করছি এবং সমস্ত সেচ পাম্প মিটারিংয়ের আওতায় আনতে হবে। সেইসাথে বসতবাড়ির অতিরিক্ত বিল এবং সমস্ত বিদ্যুৎ লাইন সংস্কারের দাবি জানানো হয়।