শনিবার ● ৫ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ২৬ মন্ডপে দুর্গোৎসব শুরু
বিশ্বনাথে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ২৬ মন্ডপে দুর্গোৎসব শুরু
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২৬টি মন্ডপে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৬টি মন্ডপের মধ্যে ২১টিতে সার্বজনীন ও ৫টিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পালন করা হচ্ছে দুর্গোৎসব। সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয়েছে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পূজা মন্ডপের মধ্যে ৪টি মন্ডপকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৮টি মন্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ ও বাকী ১৪টি মন্ডপকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেই তালিকা অনুযায়ী অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মন্ডপগুলো হল- বিশ্বনাথ পুরাণ বাজার সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, দিঘলী শিব ও দূর্গা বাড়ি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, বৈরাগী বাজারের শ্রীশ্রী বৃন্দাবন জিউর আখড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, কালীগঞ্জ কালীবাড়ি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ।
শুক্রবার মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে সনাতন ধর্মালম্বীনের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়ে মঙ্গলবার মহা দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। শঙ্খ আর কাঁসরের শব্দে কাটবে ৫ দিনের পূজার উৎসব। তাই ৫ দিনের দুর্গোৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলতে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে নানান রকমের আয়োজন করা হয়। তাই মন্ডপগুলোর মধ্যে থাকে নিরব প্রতিযোগিতা।
বিশ্বনাথ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অজিত কুমার পাল ও সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ বলেন, এবছর ২১টি মন্ডপে সার্বজনীন ও ৫টি মন্ডপে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আর সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার ২৬টি পূজা মন্ডপেই শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদি।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা ও পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোতে পুলিশ-আনসার মোতায়েন থাকবে ও ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপগুলো থাকবে পুলিশের নজরধারীতে। পূজা মন্ডপগুলোতে যারা বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করা চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলার ২৬টি পূজা মন্ডপে সুষ্ট, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বপ্রকারের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। সর্বস্তরের উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় তা বাস্তবায়ন করা হবে।
মাদক ব্যবসায়ী ও ভূয়া সনদে শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিশ্বনাথে মানববন্ধন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মাদক ব্যবসায়ী ও ভূয়া সনদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদে আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) সিলেটের বিশ্বনাথে স্থানীয় ‘বাসিয়া সেতুর ওপর’ মানববন্ধন করেছেন সচেতন বিশ্বনাথ সমাজকল্যাণ সংস্থা। সংস্থার আহবায়ক মো. ফজল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুল বাতিনের পরিচালনায় মানববন্ধন পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী জাহান, শ্রমিক লীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আলতাব হোসেন, যুবলীগ নেতা সিতার মিয়া, মুহিবুর রহমান সুইট, শিক্ষক বাবুল কান্তি দাস মেঘল, সিরাজ আলী, আব্দুল মজিদ, আব্দুল জাকির, শাহিন আহমদ, আলতাবুর রহমান, ডাকসুর সদস্য মোজাহিদুল ইসলাম হিমেল, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান, লেখক আবু বক্কর মো. খোকন, সংগঠক মিজানুর রহমান মিজান, শেখ ফজর রহমান, সাজিদুর রহমান সুহেল, আব্দুল কাইয়ুম, শাহ নিজাম, এসপি সেবু, জসিম উদ্দিন, বকুল আহমদ, রাসেল মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন, সদস্য মো. আবুল কাশেম, সাংবাদিক আশিক আলী, যুবলীগ নেতা জাবেদ আহমদ, সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, পারভেজ আহমদ মোহন, আবিদ উদ্দিন নিজাম, রুহেল খান, আরকুম আলী, আনোয়ার আলী, লোকমান হোসেন,সায়েস্থা মিয়া, আবু সুফিয়ান, ইছরাব আলী, নাঈম আহমদ, সাইদুর রহমান রাজু, প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ভূয়া সনদে বিভিন্ন জেলার লোকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ নিচ্ছেন। তাদের বাদ দিয়ে স্থানীয় মেধাবী লোকজনদের সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হবে। এদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্থি দিতে প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
শারদীয় দুর্গোৎসবে বিশ্বনাথে শফিক চৌধুরীর বস্ত্র বিতরণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী। শনিবার সকালে উপজেলা সদরস্থ সওজের ডাকবাংলা প্রাঙ্গনে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ধর্ম যার যার, আর উৎসব সবার’ তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগীতায় সুষ্ট, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকারের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সবভাবে সকল ধর্মের মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন সরকার। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে সকল ধর্মের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়েই দেশে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে বসবাস করতে পারেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার পালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ ও যুগ্ম সম্পাদক বিভাংশু গুন বিভুর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান, যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফয়েজ আহমদ সেবুল, মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম জুয়েল, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নবেন্দু জ্যোতি দে, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী জাহান, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য নিশি কান্ত পাল, উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর দাশ শংকু। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কাজল মালাকার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী ইরন মিয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবদুল মতিন, প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রুনু কান্ত দে, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোমিন, আনহার মিয়া, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী আমির আলী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি করুণা বৈদ্য, কোষাধ্যক্ষ কানু রঞ্জন দে, দপ্তর সম্পাদক অজয় দেব, প্রচার সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শুভরাজ চন্দ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংরক্ষন সম্পাদক নির্মল সরকার, সহ পূজা সম্পাদক সুমন দেব, কার্যনির্বাহী সদস্য রঞ্জু মালাকার, অকিল বৈদ্য, যুবলীগ নেতা দবির মিয়া, সঞ্চিত আচার্য্য, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সাফায়েত খান, শরীফ উদ্দিন সৌরভ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শীতল বৈদ্য, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমদ জয়, উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি শেখ ফজর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম রুকন, কবির আহমদ, মিয়াদ আহমদ, জাকির হোসেন, আশরাফ উদ্দিন, দুদু মিয়া, শিপন আহমদ, কয়েছ মিয়া, রাশেদ আহমদ, সামি, ইমন আহমদ প্রমুখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ।