শনিবার ● ৫ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুরে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা
চাটমোহরে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুরে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা
পাবনা প্রতিনিধি :: চাটমোহর উপজেলা সহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়ছেন পল্লী বিদ্যুৎ মিটাররিডার কাম ম্যাসেঞ্জার গনেরা। অনেক গ্রাহকের অভিযোগ চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত অনেক মিটার রিডার সঠিক ভাবে মিটার রিডিং না করে ইচ্ছে মাফিক একটি রিডিং বসিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে তারা না গিয়ে এমনটা করছেন বলে অনেক গ্রাহকের অভিযোগ।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক গ্রাহকের চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে ব্যাপক তারতম্য দেখা দিয়েছে। এমন ভুতরে (ভৌতিক) বিলের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভূক্তভোগী গ্রাহকরা। অনেক গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতে গিয়ে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমন ভৌতিক বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন।
মূলগ্রাম ইউনিয়নের জগতলা গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক আঃ গণি’র ছেলে মোঃ আসাদ বলেন, আমার মা একটি ঘরে আলাদা একটি মিটারে বিদ্যুৎ নিয়ে বসবাস করেন। তিনি শুধু একটিমাত্র এ্যানার্জি লাইট আর একটি ফ্যান ব্যবহার করেন। গত কয়েক মাস ধরে ক্রমশ তার বিদ্যুৎ বিল বাড়তেই আছে। সর্বশেষ গত মাসের বিদ্যুৎ বিল আমরা দেখে তো হতবম্ভ হয়ে গেছি। তার এই বিলের কাগজে ২ হাজার ৫ শত’ ৪২ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। কেমন করে এটা সম্ভব হতে পারে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন তিন লক্ষ গ্রাহকের বিশাল সদস্যের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিংহভাগ মানুষের রয়েছে এমন অনভিপ্রেত বিলের অভিযোগ। সেবার মানের দিক থেকে পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে ভাল অবস্থানে থাকলেও গ্রাহকের এমন ভৌতিক বিলে পল্লী বিদ্যুতের সকল সাফল্য ম্লান হওয়ার পথে। কেন এমন অসামনঞ্জ্যস্য বিল হচ্ছে কর্তৃপক্ষ এর কোন সঠিক সদুত্তর দিতে পারছে না। এসব বিষয় নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ধর্না দিলেও প্রতিকার পাচ্ছে না গ্রাহকেরা। এমন হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে তাদের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বেধে পল্লী বিদ্যুতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।
রেলবাজার এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী ফিরোজ আহম্মেদ জানান, দোকান ভাড়া নিয়ে ঔষধ ব্যবসা করছি। দোকান মালিকের নামে মিটার থাকলেও মাস শেষে আমাকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়। ১টি ফ্যান আর একটি এ্যানার্জি লাইট ব্যবহার করি। এই মিটারেই আমার পাশের দোকানে চলে একটি ফ্যান আর একটি টেলিভিশন। দুই মাস আগেও আমার সর্বচ্চ বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে গত দুই মাসে সেখানে বিদ্যুৎ বিল আসছে, ৩২’শ টাকার উপড়ে। পল্লী বিদ্যুতে অভিযোগ দিয়েছি, তারা বলেছে বিদ্যুৎ বিল গুলো দিয়ে অভিযোগ দিন পরে ব্যবস্থা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিঃ মাশফিকুর হাসান বলেন, ভৌতিক কিংবা ভুতুরে বিলের কোন অস্তিত্ব নেই। গত জুলাই মাসে আমাদের এই পল্লী বিদ্যুতে ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ ক্রয় করেছি। আগষ্ট মাসে ক্রয় করেছি ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ইউনিট। এই দুই মাসের বিদ্যুৎ চাহিদা দেখলেই বোঝা যায় জুলাই মাসের থেকে আগষ্ট মাসে বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতো পরিমান বিদ্যুৎ গ্রাহক ব্যবহার করেছে বলেই আমাদের বেশি পরিমান ক্রয় করতে হয়েছে। কোন গ্রাহক যদি মনে করে তার বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে কিংবা অব্যহত ভাবে বেশি আসছে তাহলে অবশ্যই সেই গ্রাহককে বিদ্যুৎ অফিসে এসে অভিযোগ দিতে অনুরোধ করছি। আমাদের পক্ষ থেকে গ্রাহকের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা বিবেচনা করে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
চাটমোহরে পানিতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং উত্তরপাড়া গ্রামে শনিবার দুপুরে শরিফ হোসেন(১৪) নামে এক কিশোরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। সে দোলং গ্রামের রবিউল করিমের ছেলে ।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে শরিফ হোসেন পাশ্ববর্তী রামনগর বেলী ব্রীজের ঘাটে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে যায় । সাতার শেখার জন্য কলাগাছ ধরে মাঝ নদীতে চলে যায়। অসাবধানতায় সাতার না জানায় শরিফ পানিতে তলিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।