বুধবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় » নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন শ্রম আদালত
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন শ্রম আদালত
সিএইচটি মিডিয়া :: দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন শ্রম আদালত।
গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় তার বিরুদ্ধে আজ বুধবার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম।
এদিন তিন মামলায় ড. ইউনূসের সমনের জবাব দেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পরোয়ানা জারি করা হয়।
ড. ইউনূসের আইনজীবী রাজু আহম্মেদ আদালতকে বলেন, ড. ইউনূস সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি ব্যবসার কাজে বিদেশ অবস্থান করছেন। তিনি দেশে আসলে আদালতে উপস্থিত হবেন।
মামলার বাদী প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতের করায় আমরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করি। তিনি আজ বুধবার আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অপরদিকে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারীর। আদালত ৮ অক্টোবর তাদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।
উল্লেখ্য, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ‘প্রাপ্য বকেয়া’ পরিশোধ না করার অভিযোগে শ্রম আদালতে আরো ১৫টি মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আরো ১২টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসানকে বিবাদী করা হয়েছে।
জানা যায়, গ্রামীণ টেলিকম ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ১৫৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী নিট মুনাফার ৫ শতাংশ কোম্পানির কর্মীদের দিতে হবে। এই হিসাবে কর্মীদের নিট মুনাফা ১০৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা হয়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ কর্মীদের, ১০ শতাংশ সরকারকে এবং অন্য ১০ শতাংশ কল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হবে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম কর্মীদের প্রাপ্য পরিশোধ করেনি এবং সরকারকেও টাকা দেয়নি। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শ্রম আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।