বুধবার ● ১৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » গণধর্ষণ মামলার আসামী জাহেদ গ্রেফতার
গণধর্ষণ মামলার আসামী জাহেদ গ্রেফতার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা সইতে না পেরে সিলেটের বিশ্বনাথে পপি বেগম (১৯) আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামী জাহেদ (২২)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯। সে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামের মৃত মতছির আলীর ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৯ সিলেটের (মিডিয়া অফিসার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১, সিলেট ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তেতলী এলাকা থেকে জাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে বিশ্বনাথ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে পপি বেগম গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে তার বোনের বাড়ি তেতলী চেরাগী গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন সকালে সে বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। তাকে দাফনের ২দিন পর তার ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগে নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট (সুইসাইড নোট) পায় পরিবার। ওই চিরকুটে পপি উল্লেখ করেছে বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বোনের বাড়িতে অবস্থানকালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে সে ঘরের বাহিরে যায়। তখন পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা বারিক ও জাহেদ তার (পপির) মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় বাড়ির পাশ্ববর্তী জঙ্গলে। তখন তাদের পায়ে ধরে কান্না কাটি করতে থাকলে বারিক-জাহেদ ও তাদের সহযোগীরা মারধর করে পপিকে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের পর পপিকে বোনের বাড়িতে (যেখান থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, সেই স্থানে) ফেলে রেখে যায় জাহাঙ্গীর। আর গণধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে। এঘটনায় ৪জনকে আসামী করে গত সোমবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা শুকুর আলী। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই নিহতের ভগ্নিপতি (দুলাভাই) ফয়জুল ইসলাম (২৮)’কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার রাতে মামলার ৩নং আসামী জাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনউপলক্ষ্যে বিশ্বনাথে র্যালী-সভা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ‘আসুন সম্পদ ও ফসল রক্ষায় সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করি’ প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে সামনে রেখে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের (১০ অক্টোবর-৯ নভেম্বর পর্যন্ত) উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে র্যা লী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালীটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিআরডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভাস্থলে এসে শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল।
সভায় বক্তারা বলেন, ইঁদুর মানুষের অনেক কষ্ঠের উৎপাদিত ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ইঁদুর ১৮-২২ দিন গর্ভধারণ করে বাচ্চার জন্ম দেন। প্রতিবারে একটি স্ত্রী ইঁদুর ৬-১০টি বাচ্চা জন্ম দিতে পারে। আর বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ২ দিনের মধ্যেই আবার সেই স্ত্রী ইঁদুর গর্ভধারণ করতে পারে। আবার বাচ্চা ইঁদুরগুলোর বয়স ৩ মাস পূর্ণ হলেই তারাও বাচ্চা জন্ম দেওয়ার উপযুক্ত হয়। ইঁদুরের বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে নিজেদের সম্পদ ও ফসল রক্ষা করার জন্যই আমাদের সকলকেই সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এম এ ফয়সাল চৌধুরী, খাদ্য পরিদর্শক মিনার হোসেন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, কৃষক জাবের হোসেন, মুহিব আলী।
র্যা লী ও সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জিত চন্দ্র সরকার, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আহাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বিভাংশু গুন বিভু, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন, সাংবাদিক আহমদ আলী হিরণ প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে এএসপি রফিকুল হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: এএসপি পদে পদোন্নতি লাভ করায় বিশ্বনাথ থানার সাবেক অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এএসপির সম্মানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী মাহি।
এএসপি মো. রফিকুল হোসেন বলেন, বিশ্বনাথকে আমি নিজের বাড়ি মনে করি। বিশ্বনাথের আত্বীয়তায় আমি মুগ্ধ। আর প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিকদের আমি নিজের ভাইয়ের মতো দেখি। সুযোগ পেলেই আমি ছুটে আসি বিশ্বনাথে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক খালেদ সাইফুল্লাহ, প্রেসক্লাবের সদস্য নূর উদ্দিন,মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডটকম’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, সংবাদকর্মী আহমদ আলী হিরণ, এএসপি পুত্র মো. ফাহিম হোসেন, ব্যবসায়ী তোরাব আলী, সংগঠক তাজুল ইসলাম, লাল মিয়া প্রমুখ।