বুধবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে লাউয়ের বাম্পার ফলন
বিশ্বনাথে লাউয়ের বাম্পার ফলন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাচায় মাচায় ঝুলছে লাউ আর লাউ। যেদিকে চোখ যায় কেবল লাউয়েরই ছড়াছড়ি। লাউয়ের ভাল ফলন দেখে এ জাতের লাউ চাষে অন্যান্য চাষিদেরও আগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে স্বল্প জমিতে অধিকহারে লাউয়ের চাষ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চাষিরাও। একেকজন চাষি ন্যুতম দুই হাজার টাকা ব্যয় করে ইতিমধ্যেই তিনগুণ আয় করেছেন। বিষমুক্ত আবাদের কারণে বাজারে এই লাউয়ের চাহিদাও ভাল। এসব লাউ চাষে কীটনাশক বা রাসায়নিক সার ব্যবহার না করলেও চাষিরা বেশি পরিমাণে প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করছেন। তাতে লাউগুলো বিষমুক্ত থাকছে। আর ক্রেতাদের কাছে এ লাউ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর হাসনাজির গ্রামেরর কৃষক চনুফর আলী ৮ শতক জমিতে লাউয়ের চারা রোপণ করে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করেই লাউ চাষে সফলতা পেয়েছেন। তার এ সাফল্যে গ্রামের অন্য কৃষকরা রাসায়নিকমুক্ত লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারাও চনুফর আলীর মতো লাউ চাষ শুরু করে দিয়েছেন। গ্রামের বেশিরভাগ আবাদি এলাকায় এখন লাউসহ অন্যান্য সবজি চাষ করা হচ্ছে। কৃষক চনুফর আলী জানান, তিনি প্রায় ৮ শতক জমিতে প্রায় দুই হাজার টাকা ব্যয়ে লাউ চাষাবাদ করেন। এখও পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকা লাউ বিক্রি করেছেন। আর প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
একই জাতের লাউ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন উপজেলার পুরানগাঁও কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হামিদ। তিনি মাত্র ১২ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। আরও বহু টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলার কারিকোনা গ্রামের লাউ চাষি ওয়াব আলী বলেন, ‘লাউ চাষ তেমন একটা পরিশ্রমের নয়। ৫ শতক জমিতে প্রায় এক হাজার টাকা খরচ করে ১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করতে হবে। রোপণ করতে হবে উন্নতজাতের বীজ।’ প্রথমেই জমি তৈরির পর ভাল বীজ রোপণ করতে হবে। নিয়মিত দেখভাল করতে পারলেই লাউয়ের বাম্পার ফলন আশা করা সম্ভব। আর আমিও এ পদ্ধতি গ্রহণ করে চাষে সফল হয়েছি।’
পাইকারি বিক্রেতা আরশ আলী বলেন, ‘বিশ্বনাথের গ্রামের চাষকৃত লাউয়ে বিষ নেই। তাই ক্রেতারা এসব লাউ কিনতে গরিমসি করছেন না।
ক্রেতা শামীম মিয়া, মনির মিয়া জানালেন, বিষ নেই বলেই বাজারে গিয়ে গ্রামের লাউ খুঁজে বেড়াই। এ লাউয়ের স্বাদ-ঘ্রাণও ভাল।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার রমজান আলী বলেন, এবার আগাম জাতের লাউ চাষ করে বেশিরভাগ কৃষক সফলতা পাচ্ছেন। অনেক কৃষক লাউ চাষে কৃষি অফিস থেকে পরার্মশ দেয়া হয়।
বিশ্বনাথে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে মামলা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০দিন আটকে রেখে তরুণীকে (১৮) একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় অবশেষে মামলা হয়েছে। (২৯ অক্টোবর) গতকাল মঙ্গলবার রাতে তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৩।
জানা গেছে, বিশ্বনাথে তরুণীকে ১০ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পরে তরুণীর সঙ্গে বিয়ের কথা বলে স্থানীয় মাতবররা অভিযুক্তকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন এবং এক লাখ টাকায় ঘটনা মীমাংসার প্রস্তাব দেন। অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান টিটু উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের কোনাউড়া নোয়াগাঁও গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে। গৃহকর্মী ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন হাবিবুর রহমান টিটু। গত ১১ অক্টোবর ওই তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর এক বাড়িতে তাঁকে আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। নিখোঁজের ঘটনায় তরুণীর বাবা গত ১৮ অক্টোবর বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন বিকেলে তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি ওই ছেলেকে আটক করে পুলিশ। তখন বিয়ের করার কথা বলে স্থানীয় মাতবররা থানা থেকে তাঁদের বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু পরে স্থানীয় মাতবর সোনা মিয়া, আহমদ আলী, আলী হোসেন, আবদুল গফুরসহ কয়েকজন তরুণীর পরিবারকে এক লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন। তাতে তরুণীর পরিবার রাজি হলেও ক্ষিপ্ত টিটুর পরিবার তরুণীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়।
এ নিয়ে গত ২৭ শে (অক্টোবর) রাতে ‘ বিশ্বনাথে তরুনীকে ১০দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্বনাথে দুই বোন শাবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া বিশ্বনাথের আপন দু’বোন শাবি’র ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ইং শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের (এ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা উত্তর বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে জিপিএ-৫ পাওয়া আপন দুই বোন। খাদিজা আক্তার লাবনী (মেরিট-২৩) ও আয়েশা বেগম লাকি (মেরিট-১২১) নামের এই দুই
বোন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আবদুল মছব্বির ও মালা বেগম দম্পতির মেয়ে।