শনিবার ● ২ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গুনীজন » ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হলেন বিশ্বনাথের মকবুল
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হলেন বিশ্বনাথের মকবুল
ষ্টাফ রিপোর্টার :: ডোমিনিকান রিপাবলিক এবং রিপাবলিক অব হাইতির রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মকবুল আলী ওবিই।
সম্প্রতি তাকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশি পরিবারের সন্তান মকবুল আলীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ডে।
বাংলাদেশে তার পৈতৃক নিবাস সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চানসির কাপন গ্রামে। রয়্যাল কলেজ অব ডিফেন্স এবং স্কুল অব অরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস) থেকে তিনি পড়াশোনা করেছেন।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে বাহরাইনে মকবুল আলী ডেপুটি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এর আগে তিনি তিনজন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্য, বৃহত্তর মুসলিম সমাজ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করেছেন। আরব বসস্তের উত্তাল সময়ে তিনি মিসরের কায়রোতে ব্রিটিশ দূতাবাসে নিযুক্ত ছিলেন।
লিবিয়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল এনভয় গ্রুপের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মকবুল আলী।
যুক্তরাজ্যের সরকারি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মকবুল আলীকে ২০১০ সালে অর্ডার অব দ্যা ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার (ওবিই) খেতাবে ভূষিত করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
মকবুল আলী ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হওয়া তৃতীয় বাংলাদেশি। আগের দুজন হলেন- আনোয়ার চৌধুরী এবং আসিফ আনোয়ার আহমদ।
বিশ্বনাথে দুই ভাইয়ের দন্ধ চরমে
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরুয়ালা গ্রামের আব্দুল মতিন চৌধুরী ও তার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী মকবুল হোসেন মন্তই’র মধ্যে এ বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে হামলার অভিযোগে প্রবাসীর বাড়ির কেয়ারটেকার ও পাহারাদারসহ ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের ও প্রবাসীর বসতঘরে তালাবদ্ধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, জায়গা সম্পত্তি নিয়ে সরুয়ালা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইর্শ্বাদ আলীর পুত্র আব্দুল মতিন চৌধুরী ও মকবুল হোসেন মন্তই’র মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি নিস্পত্তির লক্ষ্যে ওই গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ২০০৮ সালে দুই ভাইয়ের মধ্যকার বিরোধটি সাময়িকভাবে নিস্পত্তি করে দিলেও পরবর্তীতে এবিরোধ আবারও দেখা দেয়। মকবুল হোসেন মন্তই যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও তার বাড়িতে বসবাসরত কেয়ারটেকার পরিবারের সঙ্গে বর্তমানের বিরোধটি চরম আকার ধারণ করেছে।
আব্দুল মতিন চৌধুরী জানান, তিনি ও তার ভাইয়ের সম্পত্তি যৌথ। তা এখনো ভাগবাটোয়ারা হয়নি। প্রবাসী ভাইয়ের বাড়ি-ঘর দেখাশুনা করার জন্য প্রায় ২৫ বছর আগে বাড়িতে তিনি নিজেই আশ্রয় দেন সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা বিধবা সুফিয়া বেগম (৪৫)’কে। তখন থেকে প্রবাসীর বাড়িতে সুফিয়া বেগম তার দুই মেয়ে খালেদা বেগম ও খাদেজা বেগমসহ স্ব-পরিবারের বসবাস করে আসছেন। সেই সুবাদে সুফিয়া বেগম বাড়ির পুকুরের মাছ, বাড়ির গাছ-গাছালি ও ফসলাদি প্রবাসীর অংশ ভোগদখল করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি প্রবাসীর ঘরে বহিরাগত ও এলাকার চিহিৃত অপরাধীরা আনাগোনা করতে থাকে। এতে পরিবারের সম্মানহানী হতে থাকলে বাড়িতে বহিরাতদের আনাগোনা বন্ধ করতে সুফিয়া বেগমকে বলেন আব্দুল মতিন চৌধুরীর ছেলে সামরান চৌধুরী রাজু (৩৫)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হয়ে উঠেন সুফিয়া বেগম ও বাড়িতে আসা বহিরাগতরা। এরই জের ধরে গত ২৩ অক্টোবর রাত ১০টায় উপজেলা সদর থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছেলেন। বাড়ির গেইটের ভিতরে প্রবেশ করলে পার্শ্ববর্তি পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের সাহেদ আহমদ (৩০), আব্দুল্লাহ (২৬), নুরুজ আলী (৫০) ও ধীতুপুর গ্রামের নিবারন দাশ (৩৬)সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন দুব্র্ত্তরা। এতে গুরুত্বর আহত হন রাজু। এসময় পার্শ্ববর্তি বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে, হামলার ঘটনায় সামরাম চৌধুরী রাজু বাদী হয়ে সাহেদ আহমদ, আব্দুল্লাহ, নুরুজ আলী, নিবারন দাশ, বাড়ির কেয়ারটেকার সুফিয়া বেগম, তার মেয়ে খালেদা বেগম ও খাদেজা বেগমকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বাড়ি তালাবদ্ধ করে স্ব-পরিবারে পালিয়ে যান সুফিয়া বেগম। এই সুযোগে প্রবাসীর বাড়ির গেইট ও বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন সামরাম চৌধুরী রাজু পক্ষ। এ মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কেয়ারটেকার সুফিয়া বেগম তার মেয়েদের নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে তাদেরকে বাঁধা দেন আব্দুল মতিন চৌধুরী। এরপর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ঝুলানো তালা খুলে দিতে বাধ্য হন আব্দুল মতিন চৌধুরী পক্ষ। ফলে বাড়িতে প্রবেশ করেন প্রবাসীর কেয়ারটেকার পরিবার।
কেয়ারটেকার সুফিয়া বেগম বলেন, প্রবাসী মকবুল হোসেন মন্তইর পিতা ইর্শ্বাদ আলী বাড়িটি দেখাশুনা করতে আমাদেরকে থাকার জাগয়া দিয়েছেন। আমরা এখানে প্রায় ২৫ বছর ধরে অবস্থান করছি। এলাকার কোন লোক আমাদের সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে না, তা আমার বিশ্বাস। প্রবাসীর সঙ্গে তার ভাইয়ের বিরোধ এলাকার মুরব্বিরা নিস্পত্তি করে দেওয়ার পরও আব্দুল মতিন চৌধুরী ও তার ছেলে সামরাম চৌধুরী রাজু আমার পরিবার, বাড়ির পাহারদার সাহেদ ও কাজের লোকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। দুব্র্ত্তদের হামলায় রাজু আহত হন। কিন্ত এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেন, ২০০৬ সালে মকবুল হোসেন মন্তই ও তার ভাই আব্দুল মতিন চৌধুরীর মধ্যে জায়গা সম্পদ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে পুলিশের তৎকালীণ এএসআই ও থানার ওসি’র তত্ত্বাবধানে বিশিষ্ট শালিস ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আমরা বিষয়টি নিস্পত্তি করি। কিন্ত দীর্ঘদিন পর আবারও সেই বিরোধ দুঃখজনক। প্রবাসী মকবুল হোসেন মন্তইর নিজের ক্রয়কৃত ভূমির উপর নির্মানাধীন ঘরটি দখল করতেই তার বাড়ির কেয়ারটেকার ও পাহারাদারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন, দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রবাসীর ঘর তালাবদ্ধ করার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের লাগানো তালা খুলে দেয়।
বিশ্বনাথে অটোরিক্সার ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত
বিশ্বনাথ ::বিশ্বনাথে শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাওয়ার পথে অটোরিক্সা সিএনজির ধাক্কায় ৫ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলার বাগিচাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু শিক্ষার্থী উপজেলার কালিজুরি গ্রামের আপ্তাব আলীর পুত্র এবং বাগিছাবাজার শাহ জালাল, শাহ কাজি লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ১৫ থেকে ১৬টি শেলাই রয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
জানাগেছে, কালিজুরি গ্রামের হত দরিদ্র মাক্রোবাস চালক আপ্তাব আলীর পুত্র নাঈম আহমদ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে হেঁটে মাদরাসায় যাচ্ছিল। বাগিছাবাজার ও পেট্রোল পাম্পের মধ্যেখানে পৌছা মাত্র পিছন থেকে বেপোরোয়া গতিতে আসা একটি অটোরিক্সা সিএনজি তাকে ধাক্কা দিলে সে চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তার পরিচয় সনাক্ত করেন এবং তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং তার অবস্থা আশংকাজনক রয়েছে বলে জানা গেছে। এই অবৈধ লাইসেন্স বিহীন চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।