রবিবার ● ৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথের বহুল আলোচিত ফরিদের ৬ মাসের জেল
বিশ্বনাথের বহুল আলোচিত ফরিদের ৬ মাসের জেল
ষ্টাফ রিপোর্টার :: বিশ্বনাথের বহুল আলোচিত সমালোচিত ফরিদ মিয়াকে ৬ মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত। গত ২৪ অক্টোবর সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রাট ৪র্থ আদাল দন্ডবিধি আইনের ৩২৩ ও ৫০৬ ধারা মোতাবেক ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামি ফরিদ মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ মে সন্ধা ৭ ঘটিকার সময় অলংকারি ইউনিয়নের মুনসির বাজার সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বাদিনীর স্বামী মুনসির গাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমান চৌধুরীরকে আসামি ফরিদ ও তার সহযোগীরা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে লুহার রড, বাশের লাটি ও রোল দিয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বাদি হয়ে ২০১৮ সালের ১১ মে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। অবশেষে স্বাক্ষী প্রমানাধির পর মামলার রায় ঘোষনা করেন আদালত। আসামি ফারুক, সালিক উদ্দিন আহমদ, বারিক আহমদ, শিব্বির আহমদ ও নিজাম উদ্দিনকে খালাস প্রদার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিনীর আইনজীবি এ্যাডভোকেট বজলুর রহমান।
ফরিদ মিয়া ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর ব্যাবের হাতে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
বিশ্বনাথে মুদি দোকানি হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ফুল মিয়া নামে এক মুদি দোকানিকে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার ৩ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য দুদু মিয়া, বিশ্বনাথের মুছেধর গ্রামের তেরা মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ ও সুনামগঞ্জের চণ্ডিপুর গ্রামের জগত চন্দ্র দাসের ছেলে জয়ন্ত দাস।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন জানান, মামলা চলাকালীন আসামি হেলাল উদ্দিন মারা যাওয়ায় এবং অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় জামাল উদ্দিন নামের আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালে ২৭ জানুয়ারি রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার মুছেধর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে মুদি দোকানদার ফুল মিয়াকে তার দোকানে ঢুকে দুদু মিয়া ও তার চার সহযোগী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ফুল মিয়ার বাবা বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।