বৃহস্পতিবার ● ৭ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » না ফেরার দেশে চলে গেল স্কুল ছাত্রী রুনা
না ফেরার দেশে চলে গেল স্কুল ছাত্রী রুনা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাউজানে আত্মহত্যার চেষ্টায় আহত স্কুলছাত্রী রুনা আকতার দীর্ঘ ৬ মাস মুমূর্ষু অবস্থায় থাকার পর গতকাল ৬ নভেম্বর বুধবার ভোর দিকে ৪টায় মারা গেছেন। ওই স্কুলছাত্রী রুনা উপজেরার চিকদাইর ইউনিয়নের মাওলানা বদিউর রহমানের বাড়ির আবদুল মন্নানের মেয়ে সেই রাউজান শাহাদাৎ ফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্রী। জানা গেছে, নিহত স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী রুবেলের আত্মীয় পটিয়া শিকলবাহা জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান বাড়ির কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম অভির নামের ছেলেটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত (৩-এপ্রিল) চিকদাইরে একটি ওরশ উপলক্ষে মেলায় গেলে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক রুনা ও তার প্রেমিকের গতিবিধি লক্ষ্য করায় রুনার প্রেমিক অভি মেলা থেকে ছটকে পড়েন। পরে মেলায় প্রতিবেশী নুরুল আমিনের ছেলে মঞ্জুর হোসেন (২২), কবির আহম্মদের ছেলে কফিল উদ্দিন (২০) মো. বশিরের ছেলে হেলাল (২০) ফয়েজ আলীর ছেলে বেলাল (১৯) সহ অজ্ঞাতনামারা আরো কয়েকজন রুনাকে উত্তক্ত্য করেন। এঘটনায় মেয়েটি অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে করে চট্টগ্রাম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন স্কুল ছাত্রী রুনার বাবা আব্দুল মন্নান। ঘটনার দিন অর্থাৎ ৩ এপ্রিল রুনা আকতার আত্মহতার চেষ্টাকালে পরিবারের লোকজন ফাঁসির রশি থেকে নামিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নিউরো সার্জারি বিভাগে ৯ মে পর্যন্ত ১ মাস ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়িতে ফিরে আসলেও রুনা বাকরুদ্ব হয়ে পড়ে। সর্বশেষ বুধবার ভোর ৪টায় মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে। চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা মামলাটি আদালত তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শনা দেন। মামলায় রুনাকে নিয়ে মেলায় বেড়াতে যাওয়া আরিফুল ইসলাম অভিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অভিকে মামলায় সাক্ষী করে আসামি বেলালকে অব্যাহতি দিয়ে করা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল আব্বাস মামলাটি তদন্ত করে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে রুনা আকতারকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রতিবেশী নুরুল আমিনের ছেলে মঞ্জুর হোসেন (২২), কবির আহম্মদের ছেলে কফিল উদ্দিন(২০) বাশির উদ্দিনের ছেলে হেলাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কেপায়েত উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি ছয় মাস আগে ঘটলেও কেউ থানায় জানায়নি। মারা যাওয়ার পর আমরা জেনেছি, তার পরিবার আদালতে একটি মামলা করেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদ্বোধন
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউাজানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৯’র উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ৬ নভেম্বর সকাল ১১টায় রাউজান ফায়ার সার্ভিস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। খোকন কান্তি বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিসের লিডার মিঠু দেওয়ান, লিডার নেছার উদ্দিন। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারী থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাউজান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকা- তুলে ধরে লিডার মিঠু দেওয়ান জানিয়েছেন, রাউজানে ৪৩টি অগ্নিকান্ডের ক্ষতি হয়েছে অনুমানিক ৪০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা। উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ৭২ লক্ষ ৩ হাজার ৫শ টাকা। এছাড়াও ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভূমিকা রাখেন। তারা ৫টি লাশ উদ্ধার ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন ১১জনকে। একই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গাছপালা ভেঙে পড়ে সড়কে যানচালাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৩টি ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন বলে উল্লেখ করা হয়।