মঙ্গলবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নবীগঞ্জে বালুর বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে পাহাড়ি লাল মাটি
নবীগঞ্জে বালুর বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে পাহাড়ি লাল মাটি
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে গদার বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক পাকা করণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তায় বালুর পরিবর্তে পাহাড় কেটে উজার করে আনা লাল মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। জেসান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই রাস্তা নির্মাণ কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে রাস্তার কাজে পাহাড়ের মাটি ব্যবহারসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ উঠেছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে গদার বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতাভুক্ত। ৭৪০ মিটারের রাস্তাটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পেয়েছে এলজিইডি’র তালিকাভুক্ত হবিগঞ্জের লাখাইয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেসান এন্টারপ্রাইজ ।
স্থানীয়দের অভিযোগ,গত ১ মাস যাবত উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের গদারবাজার হতে ইউনিয়ন পরিষদের সড়কটির নির্মাণে কাজ চলছে। তবে সড়কটির নির্মাণ কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। রাস্তার নির্মাণ কাজে ৬ ইঞ্চি বালু ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও বালুর পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে পাহাড় কেটে উজার করে নিয়ে আসা লাল মাটি। সড়কের পাশে লামরোহ গ্রামের জয়নাল মিয়ার পাহাড় থেকে স্থানীয় কুতুব নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে পাহাড় কেটে পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করছে রাস্তায়। বালুর পরিবর্তে পাড়ারের লাল মাটি ব্যবহারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড়। থেমে নেই ফেইসবুকের আলোচনা। অনবরত ফেইসবুকে রাস্তার অনিয়ম দুর্নীতি লিখে পোস্ট করছেন স্থানীয়রা। এমন কী লামরোহ রাস্তার দুর্নীতি নামীয় একটি ফেইসবুক একাউন্ট থেকে প্রতিদিনই রাস্তার অনিয়ম কার্যক্রম নিয়ে পোস্ট করা হচ্ছে। এর ফলে এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী শফিক আহমেদ বলেন, আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
নবীগঞ্জে অসহায় মহিলার বাড়ি ঘর ভাংচুর
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল মোকামপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক এক অসহায় মহিলার বসতঘর ভাংচুর ও গাছপালা বিনষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারী আজিজা বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারণে তাকে হুমকি-দামকি দিচ্ছেন বিবাদী পক্ষ। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতার মুখে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় ভাংচুরকৃত নিজের বসত ঘর ছেড়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপলার বাজার তদন্তকেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল মুকামপাড়া গ্রামের মৃত আফছর আলীর চার কন্য সন্ত্রান রয়েছে। তার কোনো পুত্র সন্তান নেই। যার কারণে আফছর আলী মারা যাওয়ার পূর্বে বসতভিটায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ২য় কন্যা আজিজা বেগমকে স্বামীসহ নিয়ে আসেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাসকালে আজিজা পিতা মাতার যাবতীয় দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে প্রায় দুই বছর পূর্বে আফছার আলী মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর গ্রামের মুরব্বিয়ান ও জনপ্রতিনিধিগণ চার কন্যার মাঝে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন। এদিকে আজিজা বেগম তার ছোট-দুই বোনকে পাড়া প্রতিবেশীর সহযোগীতায় বিয়ে দিয়ে পিতার ভিটায় স্বামী সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। প্রায় বছর খানেক ধরে আজিজার বড় বোন ও তার স্বামী মাহবুবুর রহমান এই বাড়িতে স্বত্ব পাওনা আছে বলে উৎপাত শুরু করেন। এ অবস্থায় পাঞ্চায়েত এর মুরব্বিয়ান আবারো বসে সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন। কিন্তু মাহবুবুর রহমান সালিশের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও গত বুধবার তার ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আজিজার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে টিনের বেড়া ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এ সময় হামলাকারীরা বাড়িতে পলানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও ফলফলাদির গাছ কেটে ফেলে এবং আজিজা বেগম ও তার স্বামী ফুল মিয়াকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আজিজা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে গোপলার বাজার তদন্তকেন্দ্রের এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নবীগঞ্জে ১২ শ রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়ায় জামিআ ইসলামিয়া আরাবিয়া দিনারপুর মাদ্রাসার উদ্যোগে ফ্রি খতনা ও মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেডিকেল ক্যাম্পে ১১০ জন শিশুকে সুন্নতে খতনাসহ মেডিসিন, অর্থোপেডিক্স, নাক-কান গলা, চর্মরোগ, গাইনীসহ বিভিন্ন রোগের প্রায় ১২শ রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। ওই মাদ্রাসার মুহতামিম সিলেট শাহজালাল দরগা মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ শায়খ আসজাদ আহমদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৩য় বারের মতো গত রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ব্যতিক্রমী এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ১১০ জন শিশুকে সুন্নতে খতনা, মেডিসিন বিভাগে ৩৬৫ জন, অর্থোপেডিক্স এর রোগী ১৪৩ জন, নাক-কান গলার রোগী ২৫৭, চর্মরোগে আক্রান্ত ২৭২ জন, গাইনী বিভাগে ৫৭ জন দুঃস্থ রোগীসহ প্রায় ১২শ রোগী ফ্রি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। খতনা বিভাগের চিকিৎসা সেবা পরিচলনা করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ও অন্যান্য বিভাগে সিলেটের মাউন্ড এডোরা হসপিটালের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক এ চিসিকৎসা সেবা প্রদান করেন। এখানে চিকিৎসা নিয়ে খুশি হয়ে প্রতি বছর এরকম আয়োজন অব্যাহত রাখার আহবান জানান এলাকাবাসী। মাদ্রাসায় ব্যতিক্রমী এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। মেডিকেল ক্যাম্প পরির্দশন করেন, হবিগঞ্জ-১, নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী। নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ আশরাফ আলী, দেবপাড়া ইউপির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মোহিত চৌধুরী, উপজেলা জাপা নেতা এলাইছ মিয়া, দেবপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মিয়া প্রমূখ। পরির্দশনে গিয়ে তারাও বলেন প্রতি বছর যেন একরম মহতি উদ্যোগের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসীর আহবান প্রত্যেক এলাকায় এরকম খতনাসহ মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করা হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত লোকজন উপকৃত হবে। এতে এলাকার বৃত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।