বৃহস্পতিবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় অপহরণের ২০ দিন পরে স্কুলছাত্রী উদ্ধার
গাইবান্ধায় অপহরণের ২০ দিন পরে স্কুলছাত্রী উদ্ধার
ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় অপহরণের ২০ দিন পর একই উপজেলা থেকে অপহৃত সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পিবিআই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হাই। এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার খোলাবাড়ি গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই জানায়, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী ফুপুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ফুলছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে মামুন ও তার সহযোগী জুয়েল স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে স্কুলছাত্রীর পরিবার বিভিন্ন মাধ্যমে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু আদালতে দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে স্কুলছাত্রীর বাবা।
মামলার প্রেক্ষিতে পিবিআই অবস্থান সনাক্ত করে ২ নম্বর আসামি ফুলছড়ির খোলাবাড়ি গ্রামের জুয়েলের বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণের কথা জানায় পিবিআই। এছাড়া অপহরণকারীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানায় পিবিআই।
গোবিন্দগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের ক্ষতিপূররেণ দাবি
গাইবান্ধা :: সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ এর আওতায় এ্যালেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক (ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক) চার লেনে উন্নীত করতে গোবিন্দগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ জন মৎস্য চাষীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী গোবিন্দগঞ্জের দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মাহমুদুন্নবী, গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ ও আয়ুফ মিয়া। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, উক্ত ৩জন মৎস্যচাষী দুর্গাপুর, সিংজানি ও গোপীনাথপুর মৌর্জায় ৯টি পুকুর লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি জেলা মৎস্য কর্মকর্তার গত ৯ সেপ্টেম্বরের স্মারকপত্র ৩৩.০৩.৩২০০.৪০০. ৩৪.০০২.১৭-৫৭৫ অনুযায়ী লিজ নেয়া পুকুরের মৎস্য চাষী হিসেবে ও মৎস্য চাষ পুনর্বাসনের ক্ষতিপূরণ বাবদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। কিন্তু লিজ বা ভাড়া পুকুর এর ক্ষতি পূরণ দেবে না মর্মে গাইবান্ধা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা গড়িমসি করে আসছে। পুকুর মালিকদের নোটিশ প্রদান করা হলেও লিজ গ্রহীতা মৎস্যচাষীদের ভূমি অধিগ্রহণে কোন নোটিশ প্রদান করা হয়নি। অথচ স্থাবর সম্পত্তি ভূমি অধিগ্রহন ও হুকুম দখল আইন ২০১৭ এর বিধান অনুযায়ী ভূমি মালিকদের পাশাপাশি লিজ গ্রহীতা মৎস্য চাষীদেরও নোটিশ প্রদানসহ ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকল্প ব্যবস্থাপক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।
গত ১ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের নিকট নির্দেশক্রমে অনুরোধ করলেও এব্যাপারে ভূমি লিজ গ্রহীতা মৎস্য চাষী মাহমুদুন্নবী মন্ডলসহ তিনজনের নাম ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করেই ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ফলে তাদের মৎস্য চাষের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদেরকে চরম দুর্ভোগ এবং মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুন্নবী মন্ডল সহ ৩ মৎস্য চাষীর পুনর্বাসন ও ক্ষতির অতিরিক্ত ২শ’ ভাগ প্রদানের জন্য রংপুর বিভাগীয় কমিশনারসহ গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়।