শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
গাইবান্ধা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণার্থী কতিপয় নারী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলার ৭টি উপজেলায় কিশোর-কিশোরীদের মানসিক উৎকর্ষ সাধনে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এসব ক্লাব তদারকি করার জন্য ফিল্ড সুপার ভাইজার ও জেন্ডার প্রমোটরও ইতিমধ্যো নিয়োগ করা হয়েছে। আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ প্রতিটি ক্লাবের জন্য ২১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থে জেলার ৬টি উপজেলায় ক্লাবগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তারা আগস্ট মাসের মধ্যে আসবাবপত্র ক্রয় করে। কিন্তু গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৪টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস জাহান উক্ত টাকা উত্তোলন করে নিজের কাছে রেখে দেন। এব্যাপারে অভিযোগ প্রাপ্তির পর নভেম্বরের ১৫ তারিখে খোঁজ খবর নিতে গেলে তিনি জানান, এখনও আসবাবপত্র বিতরণ করা হয়নি।
জানা গেছে, সদর উপজেলার এ সমস্ত উপকরণের বরাদ্দ ও ক্রয় সহ সকল কার্যক্রমের দায়িত্ব প্রোগ্রাম অফিসারের। অথচ তিনি তাকে কোন দায়িত্ব না দিয়ে সদর উপজেলার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, উপকরণ ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয় সহ সকল দায়িত্ব নিজেই পালন করে থাকেন। যা কোনক্রমেই আইন সংগত নয়। এবিষয়ে তিনি বলেন, সদর উপজেলার প্রোগ্রাম অফিসার দায়িত্ব অবহেলা করেন বলে তিনি নিজেই সমস্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এব্যাপারে প্রোগ্রাম অফিসার মো. আবু সাঈদ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তাকে কোন দায়িত্বই দেয়া হয়না। এমনকি গোটা জেলার সমস্ত কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য অফিসের একটি মটর সাইকেল থাকলেও সেটি ব্যবহার করার জন্য তাকে জ্বালানি খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এমনকি মটর সাইকেল রেজিঃ নবায়নের অর্থও প্রদান করা হয় না। এব্যাপারে আবেদন জানালে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাকে চিঠি দিয়ে ওই মটর সাইকেলের জ্বালানি, রেজিঃ নবায়ন, মেরামত সহ সবকিছু নিজ দায়িত্বে পালন করার নির্দেশ দেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-২০১৮ সালের অর্থবছরে জেলা অফিসের আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়নি। এছাড়া গাইবান্ধা পৌরসভার ১ হাজার ৩শ’ জন ল্যাকটেটিং মাদার স্বাস্থ্যসেবা খাতে জনপ্রতি ৯৯ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিটি ল্যাকটেটিং মাদারকে হেলথ্ ক্যাম্পে সাবান, স্যালাইন সহ বিভিন্ন উপকরণ দেয়ার বিধান থাকলেও নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহ সহ অনুপস্থিত গর্ভবর্তী মায়েদের উপকরণগুলো মাস্টারোলে ভূয়া স্বাক্ষর/টিপ করে তা আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়া দুঃস্থ মহিলাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৫টি ট্রেডে ৩ মাসে ১শ’ দুঃস্থ মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং তাদের ১শ’ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। এই ৫টি ট্রেডে গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন প্রশিক্ষর্ণাথী অনুপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত প্রশিক্ষর্ণার্থীদের ৩ হাজার করে টাকা কেটে নেন। এছাড়া মোমবাতি কারচুপি ট্রেডের প্রশিক্ষক রুমাইয়া আক্তার রিমু উপ-পরিচালকের নানা অনিয়মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, এই ট্রেডে দুঃস্থ মহিলাদের কোন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় না। এতে সরকারের বরাদ্দকৃত গোটা টাকাই গচ্ছা যাচ্ছে। জানা গেছে, রুমাইয়া আক্তার রিমু মোমবাতি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে যথাযোগ্য কোন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করেই তিনি ট্রেডে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হলেও উক্ত টাকা আদায়ের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিপুল পরিমাণ টাকা অনাদায়ি রয়েছে। ফলে ঘূর্নায়মান এই তহবিল থেকে অর্থাভাবে নতুন কোন ঋণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে সরকারি এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুঃস্থ নারীরা। শুধু তাই নয়, ভাড়া অফিস হওয়ার কারণে গত ২ বছরে অফিস মেরামতের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ পুরোটাই আত্মসাৎ করেছেন। এব্যাপারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নার্গিস জাহান এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের অনুলিপি মহিলা বিষয়ক ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক এবং সভাপতি গাইবান্ধা প্রেসক্লাব বরাবরেও ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট অভিযোগ তদেন্তর জন্য জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত টিম প্রেরণ করে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সুন্দরগঞ্জে জাল সনদে ২০ বছর ধরে শিক্ষকতার অভিযোগ
গাইবান্ধা :: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হলেও মার্স্টাস পাসের সনদে চাঁদ মিয়া প্রভাষক পদে শিক্ষকতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব ভুয়া সনদে প্রায় ২০ বছর ধরে প্রভাষক পদে চাকুরি করছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চাঁদ মিয়া নামে শিক্ষক সে সর্বানন্দ ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। এ নিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক অভিভাবক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেন পূর্ব বাছহাটি গ্রামের আছর উদ্দিন সরকারের ছেলে চাঁদ মিয়া। ওই কলেজের কৃষি বিজ্ঞান শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার যে সনদ ব্যবহার করেছেন সেটি জাল ও ভূয়া। প্রকৃত পক্ষে তিনি ওই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করতে পারেননি। আর বাকি অনার্স ও মাস্টার্স পাস করা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। সে প্রায় ২০ বছর আগে আমগঞ্জ আলিম মাদ্রাসায় ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করে। কিন্তু যে সনদে প্রভাষক পদে কর্মরত রয়েছে তা ভূয়া ও জাল দাবি করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন অছিম উদ্দিন সরকার নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সনদ যাচাই করতে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে একটি আবেদন করেন ওই অভিভাবক। এর ১৫ দিন পরে বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে পারেন সনদটি সম্পূর্ণ ভূয়া ও জাল। তবে সেই সনদধারীর রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা রয়েছে বোর্ডে। এছাড়া তার নামে কোন সনদ নেই বলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সুত্রে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত সনদ আছে কি নেই তা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে ডাকযোগে একটি প্রত্যয়নপত্র পাঠিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ডাক বিভাগের ১১৬ নম্বর নিবন্ধনে ওই কাগজপত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের পাঠানো চিঠি পাওয়ার পর তা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে ওই প্রভাষক চাঁদ মিয়া সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, আমি ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাশ করেছি। সুতরাং সনদে কোন ত্র“টি নেই। পারিবারিক শত্র“তার জেরে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
অভিযোগকারী অছিম উদ্দিন বলেন, ওই শিক্ষক জাল সনদে প্রায় ২০ বছর ধরে চাকুরি করছেন। তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফেকেট যাচাই করতে আমি নিজে শিক্ষা বোর্ডে যাই নিশ্চিত হই যে, সনদটি জাল ও ভূয়া। তিনি আরো অভিযোগ করেন, শিক্ষক চাঁদ মিয়ার সনদ সঠিক না ভূয়া সেটা নিশ্চিত করতে তার যাচাই করার জন্য আবেদনের কাগজটি ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু যখন তারা জেনেছে সনদগুলো জাল এরপর থেকে তাকে কাগজ দেখাতে অস্বীকার করেন।
ওই মাদ্রাসার সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, আমি জাল সনদে ওই শিক্ষকের চাকুরি করার গুনজন শুনেছি এবং এ সম্পর্কে কোন প্রমাণ পায়নি। অধ্যক্ষ বরাবর বোর্ড থেকে পাঠানো প্রত্যয়নপত্র ধামাচাপা দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, একটা চিঠি আমার বরাবর এসেছিলো। কিন্তু সেটা হাতে পাওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নিয়ে গেছে। বোর্ডেও পাঠানো চিঠি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জিয়াউল করিম সাজা বলেন, আমি এ সংক্রান্ত কোন কাগজ পাইনি। এব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েতুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন শিক্ষক যদি এমন প্রতারণার আশ্রয় নেয় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা পর্যায়ে সম্প্রীতি ফোরামের কমিটি গঠন
গাইবান্ধা :: আজ ২৩ নভেম্বর শনিবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় অবলম্বন এর আয়োজনে “সম্প্রীতি ফোরামের সভা অবলম্বন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অবলম্বন এর সভাপতি কৃষিবিদ সাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন অবলম্বন এর নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, জিয়াউল হক কামাল, আদিবাসী নেতা গৌরচন্দ্র পাহাড়ী, আদিবাসী নেত্রী এমিলি হেমব্রম, শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, অবলম্বনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর তোফাজ্জল হোসেন, প্রজেক্ট অফিসার দীপ্তি মুর্মু, হরিজন নেতা রাজেশ বাশফোর, দলিত নেতা খিলন রবিদাস, নারী নেত্রী রানী বেগম, ফিলোমিনা হেমব্রম, পারগানা নেত্রী সারা হাসদা, বৃটিশ সরেন প্রমুখ।
সভায় সকল ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করার জন্য জিয়াউল হক কামালকে সভাপতি ও এমিলি হেমব্রমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়। গাইবান্ধা জেলার সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সেবা কার্যক্রমের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের সেবা প্রাপ্তি ক্ষেত্রে কি কি ধরণের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে ও উত্তোরণের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি, বাল্য বিবাহ ও মাদক মুক্ত গাইবান্ধা গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গাইবান্ধা বিএনপির বিক্ষোভ
গাইবান্ধা :: বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শনিবার গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুলের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান নাদিমের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি সাইফুল আলম সাজা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরকার, শহর বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক খন্দকার ওমর ফারুক সেলু, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলমগীর সাদুল্যা দুদু, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মো. ইলিয়াস হোসেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হানিফ বেলাল, আইনজীবি ফোরাম নেতা অ্যাড. মিজানুর রহমান মিজান, জেলা যুবদল সভাপতি রাগিব হাসান চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক স্বপন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুন্নবী তিমু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম রুবেল, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হাই, জেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন পল্টন, জেলা মহিলা দলের মৌসুমী আকতার তমা, ছাত্রনেতা মিরাজুল ইসলাম রবিন প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কাজী আমিরুল ইসলাম ফকু, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাড. আব্দুস সালাম, কামরুল হাসান সেলিম, সাদেকুল ইসলাম নান্নু, মাকসুদার রহমান চৌধুরী, ঝরনা মান্নান, মুনমুন বেগম, ইউনুস আলী খান দুখু ও তারেক প্রমুখ।