শুক্রবার ● ২২ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » গাজীনগর কলীচন্দ্র পাড়া কালী মন্দিরটি বন্ধ হবার উপক্রম -এলাকাবাসী
গাজীনগর কলীচন্দ্র পাড়া কালী মন্দিরটি বন্ধ হবার উপক্রম -এলাকাবাসী
অন্তর মাহমুদ,কলীচন্দ্র পাড়া ঘুরে এসে :: মাটিরাঙ্গা পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ড গাজীনগর কলীচন্দ্র পাড়া শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দিরটি গড়ে উঠে ১৯৮০/৮১ দিকে৷ স্থানীয় পাড়ার বাশি মোহন ত্রিপুরার পিতা মৃত খেগেন্দ্র ত্রিপুরার দানকৃত জায়গায়,জগচন্দ্র নামে জনৈক ব্যক্তির উদ্যেগে সর্বপ্রথম বনের সংগৃহীত ছন ও বাশ দিয়ে তৈরি করা হয় এই মন্দিরটি৷ সেই সময় এই এলাকায় জগন্নাথ মন্দির নামে আরও একটি মন্দির ছিল বলে জানা গেছে স্থানীয় বাসিন্দা বরিন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা,রঞ্জন মোহন ত্রিপুরা,প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরার সাথে আলাপ কালে৷ দুটি মন্দির থাকা কালে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের উদ্যেগে দূর্গোত্সব পালন করা হতো সেই সময়৷ দূর-দূরান্ত থেকে দোকানিরা বিভিন্ন পণ্যের পশরা সাজিয়ে মেলার আয়োজন হতো আজকের জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা এই কালী মন্দিরটির সামনে৷ ভবন ও অর্থাভাবে মন্দিরটি আগের যৌলুশ নিয়ে চলা তো দুরের কথা সনাতনী রীতিমতো পুজা আর্চনাও করতে পারছেনা ৷ কলীচন্দ্র পাড়ার প্রায় ৫০০ শতাধিক ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ও আশে পাশের প্রায় আরও কয়েকটি পাড়ার হাজারেরও অধিক ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় রীতি নীতি পালনের একমাত্র মাধ্যম এই মন্দিরটি৷ মন্দিরটির বর্তমান পুরোহিত রঞ্জন কুমার ত্রিপুরা জানান,তিনি কোন প্রকার বেতন ভাতাদি পান না৷ বড় কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া তিনি কোন আর্থিক সহায়তা পান না৷ এ বিষয়ে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রপ্ত মোহন ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক বিত্ত মোহন ত্রিপুরা জানান,আমাদের গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষ দরিদ্র যাদের সবাই খেটে খাওয়া দিন মজুর৷ তাদের পক্ষে মন্দির পরিচালনা ও পুরোহিতের বেতন চালানো প্রায় অসম্ভব৷ এছাড়াও মন্দিরটির নিজস্ব জায়গার প্রয়োজন,বর্তমানে যেটুকু জায়গাতে মন্দিরটি রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য৷ বিগত ২০১১-১২সালে মন্দিরটির উন্নয়নে অনুদান হিসেবে ৩ বান ঢেউটিন দেয়া হলেও তা দিয়ে মন্দির উন্নয়নে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া যায়নি৷ গত ২/৩ মাস আগে খাগড়াছড়ির বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নিকট একটি আবেদন করা হলেও এখনো কোন প্রকার বরাদ্ধ না পাওয়ায় মন্দির কমিটি ও কলী চন্দ্রপাড়া বাসী হতাশা প্রকাশ করেন যে কোন সময়ে মন্দিরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম ৷ এ বিষয়ে নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর মোঃ এমরান হোসেন জানান,কলীচন্দ পাড়ার কালী মন্দিরটি সত্যিই দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চিত,তাদের মন্দিরের উন্নয়ন হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি খুব স্বল্প সময়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷ শপথ গ্রহনের পর মেয়র মোঃ শামছুল হককে বিষয়টি অবহিত করবেন বলেও তিনি জানান৷
আপলোড : ২২ জানুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : বেলা ৩.০০মিঃ