শনিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বনেক-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বনেক-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
চলতি সপ্তাহ থেকে অনলাইন পত্রিকাগুলোর নিবন্ধন দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সরকারের এমন সিদ্ধানন্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক)। শনিবার (৭ই ডিসেম্বর) বনেক’র অস্থায়ী কার্যালয়ে অনির্ধারিত এক আলোচনা সভায় এই তথ্য জানানো হয়। এসময় বনেকের সভাপতি খায়রুল আলম রফিক বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারলে সংবাদপত্রের পরিবেশ আরো সুন্দর হবে। বর্তমানে অনলাইন পোর্টালগুলো জন্য কোন নিবন্ধন না থাকায় খুব সহজেই অনেকে এর অপব্যবহার করছে।
এসময় নিবন্ধনে যেন কোন প্রকার অনিয়ম না হয় এমন আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অনলাইন পোর্টাল বা অনলাইন গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ খুব সম্ভাবনাময়ী। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এর নিবন্ধনে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। না হলে অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের মত এর মালিকানাও কালো টাকার মালিকদের কাছে চলে যাবে।
আলোচনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আসাদ। তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভবিষৎ-এ গণমাধ্যমকে নেতৃত্ব দিবে। তাই এটাকে এখন থেকেই একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি অনলাইনের প্রয়োজন স্বচ্ছ জবাবদিহিতা। কারণ জবাবদিহিতা না থাকলে সেখানে গুজবের মত মারাত্মক অপরাধ সংগঠিত হবার সম্ভাবনা থাকে।
এ সময় বনেক’র সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আসাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার। এই সরকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল সমূহকে একটি নিয়মের মধ্যে আনার জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সরকার সবসময় অনলাইন পোর্টালের সাথে থাকবে এই কামনা করি।
সভা চলাকালীন টেলিফোনে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনেক’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজবীর হোসেইন সজিব। তিনি বলেন, সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃস্বন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি আশা করবো সরকার অন্যান্য গণমাধ্যমকে যেসব সুবিধা প্রদান করে থাকে সেগুলো অনলাইন পোর্টালগুলোকেই প্রদান করবে। এছাড়া সরকারকে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো উত্তরণের মাধ্যমে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। যারা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে সহযোগীতা করছে। তাদেরকে সুনজরে রাখা।
বনেকের অনির্ধারিত এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রচার সম্পাদক নাহিদুর রহমান, সুমন ভট্টাচার্য, মাসউদুর রহমান, মনির মাহমুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর এক তথ্য বিবরণীতে তথ্য অধিদফতর জানায়, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও অপসাংবাদিকতা রোধে অনলাইন পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এজন্য নির্ধারিত নিবন্ধন ফরম ও প্রত্যয়নপত্র বা হলফনামা পূরণ করে তথ্য অধিদফতরে জমা দিতে হবে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত আবেদন জমা দেয়ার পর এগুলো যাচাই-বাছাই ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সন্তোষজনক রিপোর্ট পাওয়ার পর তথ্য অধিদফতর চিঠির মাধ্যমে নিবন্ধনের বিষয়ে আবেদনকারীদের জানিয়ে দেবে। চলমান সব অনলাইন পত্রিকাকে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর সময় আরও কয়েক দফা বাড়ানো হয়। নিবন্ধন পেতে দুই হাজারেরও বেশি অনলাইন গণমাধ্যম আবেদন করে বলে তথ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে। সূত্র : বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডটকম