রবিবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে কমেছে অপরাধ, বেড়েছে পুলিশের উপর জনগণের আস্থা
ঝিনাইদহে কমেছে অপরাধ, বেড়েছে পুলিশের উপর জনগণের আস্থা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে কমেছে চুরি, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদসহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। সেই সাথে বেড়েছে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা। বর্তমান পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান (পিপিএম) এর জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলাবাসী হয়রানিমুক্ত সেবা পাচ্ছেন। কোনপ্রকার হয়রানি ছাড়াই নাগরিক সেবা পাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন মো: হাসানুজ্জামান। যোগদানের পর থেকেই তিনি মাদক, সন্ত্রাস ও পুলিশের গ্রেফতারি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেন। তার নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত সন্ত্রাস। সব থেকে সুবিধা পাচ্ছেন অসহায় নির্যাতিত মানুষগুলো। যাদের জন্য সবসময় খোলা থাকে পুলিশ সুপারের দরজা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেন, আমি একটি বিপদে পড়ে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি মনোযোগ সহকারে আমার অভিযোগ শুনেছেন এবং আমার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। তিনি আবেগ আপ¬ুত হয়ে বলেন, বর্তমানে যে পুলিশ সুপার আছেন তিনি বদলি হয়ে গেলে মানুষ বুঝতে পারবেন তিনি কত ভালো মানুষ ছিলেন। সদর উপজেলার নৃসিংহপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন পুর্বেও জেলায় পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ছিল। কিন্তু বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে পুলিশের সেই অপরাধ প্রবণতা কমেছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। বর্তমানে কোন থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জিডি, ভেরিফিকেশন, মামলা দায়ের করতে টাকা লাগে না। মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন, জেলা আগে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে সেই সমস্যা দুর হয়েছে। জেলাবাসী এখন সুবিচার পাচ্ছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে জেলার সকল রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচী পালনে সমান অধিকার পাচ্ছে। সৎ ও যোগ্য এই পুলিশ কর্মকর্তা শুধু শহরেই নয়, গ্রামের মানুষের কাছেও তিনি সমান প্রিয় ব্যাক্তিত্ব। সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন বলেন, গত কোরবানীর ঈদে তিনি বেতনের টাকা দিয়ে গরুর ও ছাগল কিনেছিলেন। সেসময় তিনি বলেছিলেন, সৎভাবে আয় করা টাকার যতটুকু সম্ভব সেই টাকা দিয়ে গরু ছাগল কিনেছি। অত্যন্ত সততার সাথে পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালন করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এখন পুলিশের ওপর মানুষের একটা আস্থা বিশ্বাসও ফিরে এসেছে, যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান (পিপিএম) বলেন, জনগণের সেবাই পুলিশের ধর্ম। আমি চেষ্টা করি মানুষের বন্ধু হিসেবে থেকে তাদের সেবা করতে, তবে অপরাধীদের নয়। তিনি বলেন, জেলার মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। কোন বিপদে পড়লে, কোন পুলিশ হয়রানি করলে, পুলিশি সেবা পেতে অর্থ চাইলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি ব্যবস্থা নিব। সর্বশেষ জেলাকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীমুক্ত গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে উদ্বুর্দ্ধকরণ সভা
ঝিনাইদহ :: ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণ করি, কৈশোর কালীন মাতৃত্ব রোধ করি’ এ শ্লোগানকে সামনে ঝিনাইদহে পালিত হচ্ছে ৬ দিন ব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ। এ উপলক্ষে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আয়োজনে রোববার বিকেলে সদর উপজেলার দক্ষিণ কাস্টসাগরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে উদ্বুর্দ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহম্মেদ, কনসালটেন্ট ডা: শহিদুর রহমান, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময়, দীর্ঘমেয়াদি প্রসুতির অপারেশন ক্যাম্প, বিনামুল্যে পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণসহ নানা বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হয়। এছাড়াও কৈশোরকালীন মাতৃত্ব রোধ ও জনসংখ্যার বৃদ্ধি রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
ঝিনাইদহে ট্রাফিক পুলিশের মাঝে নতুন মোটর সাইকেল প্রদান
ঝিনাইদহ :: বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে ও নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ২০২১ রূপকল্প অর্জনের লক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলার মত ঝিনাইদহ জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের মাঝে নতুন ৬টি মোটর সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তারেক আল মেহেদী জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম)এর নির্দেশ মোতাবেক রোববার সকালে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনস্ মাঠে জেলার ৬ জন ট্রাফিক সার্জেন্টের মাঝে মোটর সাইকেল প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, ঝিনাইদহ জেলাকে যানজট মুক্ত ও দূর্ঘটনা রোধে নতুন এই যানবাহন অগ্রনী ভ’মিকা রাখবে। যাতে করে জেলার ট্রাফিক সেবা অতি সহজে সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায় পৌছে দিতে পারে।
ঝিনাইদহে সওজের ২২ কোটি টাকার কাজে শুভংকরের ফাঁকি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে খানা খন্দেভরা ১১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবেদ মনসুর কনষ্ট্রাশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ সওজ বিভাগ থেকে বার বার সতর্ক করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন আদেশ নির্দেশনা মানছেন না। অভিযোগ উঠেছে, সিডিউলে যে পরিমান মালামাল সরবরাহের কথা রয়েছে সে মোতাবেক ব্যবহার করা হচ্ছে না। বালির পরিবর্তে বেলে মাটি, পাথরের পরিবর্তে নিম্মমানের পুরাতন ইট ভেঙ্গে খোয়া হিসাবে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। গুরত্বপূর্ন এই সড়কের প্রতি কিলোমিটার মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। কিন্তু যে নিম্মমানের মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে তা অল্প দিনেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে এমন ধারনা করছেন পথচারীরা। জানা গেছে, ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড থেকে আলাহেরা স্কুল ও বাইপাস থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ২টি সড়কের ১১ কিলোমিটারের রাস্তার মেরামতের জন্য ২২ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে। কাজটি পান মেসার্স আবেদ মনসুর কনষ্ট্রাশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত দুই সপ্তাহ ধরে শুরু হওয়া এই কাজে বেশি পরশিান বালি দেওয়া হচ্ছে। পাথরের পরিবর্তে নিম্মমানের পুরাতন ইট ভেঙ্গে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে গেলেও সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল কেও কাজের সময় উপস্থিত থাকছেন না। ফলে যাচ্ছেতাই ভাবে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সালাউদ্দিনের দাবি অফিসের নির্দেশ মোতাবেক করা হচ্ছে এবং কাজের মান ভালো। নিম্মমানের রাস্তা মেরামতের ব্যাপারে পাগলাকানাই এলাকার বাসিন্দা ও জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সড়কের যে কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্মমানের। এত নি¤œমানের কাজ জীবনে কখনো দেখেনি। এলাকার বাসিন্দা রিজু জানান, যে ভাবে কাজ হচ্ছে তা বেশিদিন ঠিকসই হবে না। সরকারের টাকা গুলো পুরোপুরি গাচ্ছা যাবে। বিষয়টি নিয়ে এসও আহসানুল কবীর বলেন, রাস্তার কাজে তেমন একটা অনিয়ম হচ্ছে না। তারপরও যদি ল্যাব টেস্টে খারাপ রেজাল্ট আসে তবে বিল পাবে না। নুতন করে কাজ করে দিতে হবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার বলেন, প্রথম দিকে খোয়ার সাথে বালির মিশ্রন হচ্ছিল না। তাদেরকে বারবার বলেছি। কিন্তু কোন কর্নপাত করেনি। পরে তাদের চিঠি দিয়েছি।
ফুটবল লীগের লোগো উন্মোচন
ঝিনাইদহ :: আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার ২৪ টি দল নিয়ে ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মমতাজ মেহেদী বিগ ব্যাশ লীগ’ ফুটবল টুর্নামেন্ট। রোববর সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লীগের লোগো উন্মোচন ও লীগের টাইটেল স্পন্সর চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এসময় পবহাটি বিশ ব্যাশ লীগের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন সুজন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহাদুর রহমান খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান সবুজ, মমতাজ হারবাল প্রোড্রাক্টস এর বিশেষ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন লিটুসহ অন্যান্যরা। এসময় আয়োজকরা জানান, পবহাটি বিশ ব্যাশ লীগের আয়োজনে এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪র্থ আসর। লীগ ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলার ২৪ টি দল অংশ নিবে এ লীগে। ডে-নাইট ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত এ খেলার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর। লীগটির স্পন্সর হিসেবে থাকছে মমতাজ মেহেদি। আগামী ১৩ ডিসেম্বর শহরের পবহাটি ফুটবল মাঠে এ খেলার উদ্বোধন করবেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু।
মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন ম্যাট্স’র শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন ম্যাট্স’র ২য় ও ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা: শেখ কেরামত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইএইচটি’র প্রাক্তণ অধ্যক্ষ ডা: দুলাল কুমার চক্রবর্তী, ম্যাটস’র অধ্যক্ষ ডা: মুন্সী রেজা সেকেন্দার, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা: রাশেদ আল মামুন, মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন ম্যাট্স’র উপাধ্যক্ষ ডা: রতন কুমার পাল, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন ম্যাট্স’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এস এম আরিফ হাসান। এসময় বক্তারা, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সেবার মনোভাব নিয়ে ভবিষ্যতে মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। আলোচনা সভা শেষে ২য় ও ৩য় ব্যাচের ৭০ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।