সোমবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ১৪ দিন পর কন্যা সন্তানকে ফিরে পেল মা
১৪ দিন পর কন্যা সন্তানকে ফিরে পেল মা
স্টাফ রিপোর্টার :: গত প্রায় দুই বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালী ঘোনা এলাকার সুলতান আহমদের পুত্র সাহাবুদ্দিন ৮ লাখ দেন মোহরে বিয়ে করেছিলেন হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের মো. ইউনুসের কন্যা রিমা আকতারকে। বিয়ের পর থেকে স্বামী পরিবারে তেমন সুখি ছিল না রিমা। গরীব বাবা বিয়ে সময় স্বামীকে চাহিদা অনুসারে যৌতুক নিতে না পারার কারণে সব সময় তাকে সহ্য করতে হয়েছিল শাররীক ও মানষিক। এবারে চলতে থাকা দাম্পত্য কলহের মধ্যে ১০ মাস আগে রিমার কোলে আসে এক কন্যা সন্তান। নাম রাখা হয় হুমাইরা জান্নাত। এতেও থামেনি রিমার উপর নির্যাতন। জানা যায়, এই নিয়ে বর-কনের পরিবারের মধ্যে চলতে থাকে পরস্পরের উপর দোষারোপ। সামাজিক ভাবে দুই পক্ষের বিরোধ মিমাংসায় বৈঠক হয় একাধিকবার। সর্বশেষ বৈঠক হয় ১ ডিসেম্বর রবিবার গহিরা ইউনিয়ন পরিষদে।
এই বৈঠকে উভয় পক্ষের মতামত শুনেন সমাজের লোকজনসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের। চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত দেন বিয়ের কাবিন নামায় ধার্য্য করা দেন মোহর ৮ লাখ টাকার পরিবর্তে নির্ধারিত হবে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। একই সাথে রিমাকে জানানো হয় বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া রিমার সন্তান থাকবে বাবার সাথে। এই সিদ্ধান্তকে চুরান্ত রায় বলে জানিয়ে স্বামীর ঘর থেকে বিদায় করা হয় ১১ মাসের সন্তানের মাকে।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সন্তান ফিরে যেতে গত ৪ ডিসেম্বর আদালতের স্মরণাপন্ন হয় মা রিমা। বিজ্ঞ আদালত রিমার আবেদনে সাড়া দিয়ে রাউজান থানাকে নিদ্দেশ প্রদান করেন যেন রিমার সন্তানকে উদ্ধার করে তার কোলো দেয়ার ব্যবস্থা করে। আদালতের এই নিদ্দেশে রাউজান থানা পুলিশ ১৪ ডিসেম্বর হুমাইরা জান্নাতকে বাবার বাড়ী থেকে উদ্ধার করে। সর্বশেষ গতকাল আদালতের মাধ্যমে ১৪ দিন পর রিমা ফিরে পায় তার সন্তানকে। রিমাকে আইনী সহায়তা প্রদান করেন আইনজীবি এডভোকেট অসীম কুমার কর্মকার।
“একাত্তরের পরাজিত শক্তির কাছে আজকের বাংলাদেশ অনুসরণীয়”- চুয়েট ভিসি
রাউজান :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের ঠিক আগমুহূর্তে স্বাধীনতার যারা রূপকার ছিলেন, যারা সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে বহিঃর্বিশ্বে জনমত গড়ে তুলেছেন তাঁদেরকে হত্যা করে বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ তাদের সেই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে। একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তিদের কাছেই বর্তমান বাংলাদেশ এখন অনুসরণীয়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় আমরা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছি। ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করে তিনি এখন বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের মর্যাদাকে উড্ডীন করার মিশনে নেমেছেন। তিনি ১৫ ডিসেম্বর (রবিবার), বেলা ১২.৪০ ঘটিকায় চুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৯ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী ও মানবিক বিভাগের প্রভাষক জনাবা নাহিদা সুলতানার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, প্রভোস্টগণের পক্ষে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে সহ-সভাপতি জনাব আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ এসোসিয়েশনের পক্ষে সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. আব্দুল আল হান্নান।