সোমবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কমরেড সাইফুল হকসহ বাম জোটের নেতৃবৃন্দের উপর পুলিশি হামলায় জুঁই চাকমার নিন্দা
কমরেড সাইফুল হকসহ বাম জোটের নেতৃবৃন্দের উপর পুলিশি হামলায় জুঁই চাকমার নিন্দা
স্টাফ রিপোর্টার :: বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা কমরেড সাইফুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপর পুলিশির হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাঙামাটি আসনের বাম জোটের প্রার্থী কমরেড জুঁই চাকমা ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাঙামাটি জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর বিকালে ভোট ডাকাতির এক বছর “গণতন্ত্রের কালো দিবস” উপলক্ষে প্রতিবাদ সভায় এ নিন্দা জানান। তিনি বলেন, দেশের প্রশাসন ভিন্নমত পোষনকারীদের বিরুদ্ধে উঠেপরে লেগেছে। গায়ের জোরে সরকার গঠন করে জনগণের সাধারন মানুষের নুন্যতম বাক স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতে করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি, তারা দেশের জনগণের দায়িত্ব না নিয়ে ক্ষমতা নিয়ে যাচ্ছেতায় ফ্যাসিবাদি চরিত্র যত্রতত্র বহিপ্রকাশ করছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোট ডাকাতির এক বছর “গণতন্ত্রের কালো দিবস” পালনের জন্য গত ২২ ডিসেম্বর প্রশাসনের অনুমতির জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসকও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আবেদন করেছেন রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক অথচ প্রশাসন কর্মসূচির অনুমতি তো দেয়নি উল্টো আমাদের আবেদনের ও কোন প্রতিউত্তর দেয়নি, এটা প্রশাসনের শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণ, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই জোর প্রতিবাদ জানাই। আমাদের নেতা কমরেড সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকির উপর পুলিশি নির্যাতন আমরা কোনভাবে মেনে নেবনা। আমাদের নেতা কমরেড সাইফুল হকসহ বাম জোটের কমপক্ষে ২৫ জন নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বর্তমান সরকারের পেটুয়া বাহিনীর নির্যাতনে আহত হয়েছেন, এ হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকার ভোট ডাকাতি করেছে বলে গণতান্ত্রিক কর্মসুচি ভয় পায়।
উল্লেখ্য, আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির এক বছর “গণতন্ত্রের কালো দিবস” পালন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ, কালো পতাকা মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
জোটের কালো পতাকা মিছিল পুলিশের বাঁধার মুখে পরে। বেলা ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে পৌনে ১টার দিকে কয়েকশ নেতাকর্মীর মিছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা দিলে হাইকোর্টের কাছে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশ প্রথম বাঁধা দেয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে মিছিলটি সামনে এগোতে থাকলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশের লাঠিপেটায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক ও বাম জোটের নেতা কমরেড সাইফুল হকসহ জোটের ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এসময় বাম গণতান্ত্রিক জোটের আটটি বাম দলের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্ক্সবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।