বৃহস্পতিবার ● ৯ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় মুজিববর্ষ ক্ষণগণনার ঘড়ি
গাইবান্ধায় মুজিববর্ষ ক্ষণগণনার ঘড়ি
গাইবান্ধা :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে সারাদেশের মতো গাইবান্ধায় স্থাপন করা হয়েছে ক্ষণগণনার ঘড়ি ও সেলফিস্ট্যান্ড। এছাড়া, প্রশাসনের আয়োজনে জেলার বিভিন্নস্থানে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল থেকে আনুষ্ঠিকভাবে শুরু হবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা। এ উপলক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলা শহরের পৌরপার্কে শহিদ মিনার চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে ক্ষণগণনার ঘড়ি। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে জনসমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি এই ঘড়ি স্থাপনের শুভ উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের এমন প্রস্তুতিতে খুশি এলাকাবাসী।
গাইবান্ধায় কমছে ফসল উৎপাদন
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাটা। আর এসব ইটভাটায় অবাধে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) বিক্রি করা হচ্ছে।
একশ্রেণির ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে কমদামে মাটি কিনে বেশি টাকায় ইটের ভাটায় সরবরাহ করছেন। অনেক কৃষকও না বুঝেই লাভের আশায় ভাটা মালিকের কাছে মাটি বিক্রি করছেন। এসব মাটি পরিবহনের জন্য ট্রাক্টর (কাঁকড়া) ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কাঁচা, পাকা রাস্তা বিশেষ করে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি এতে পরিবেশও হুমকির মুখে পড়ছে।
গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিবছর কমপক্ষে দুই-তিনটি করে নতুন ইটভাটা গড়ে ওঠে। বেশিরভাগ ইটভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে আবাদি জমিতে। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার পূর্বপাড়ার জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘এক বিঘা জমির মাটি ছয় থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেসব জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি হয় সেসব জমিতে প্রায় তিন বছর পর্যন্ত ভালো আবাদ হয় না। একই গ্রামের রবিউল মিয়া বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাটা। হাজারো একর জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটাতে ব্যবহার করায় উর্বরতা হারিয়ে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া এর বিষাক্ত ছাইয়ের কবলে পড়ে কলাগাছসহ সবুজ গাছগুলোর পাতা পুড়ে যাচ্ছে।’
পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, ‘ইটভাটার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে ফসল। মানুষও নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইটভাটা স্থাপনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পরিত্যক্ত অনাবাদি জমি, নিচু জলায়ের ধারে, নদীর পাশে এবং কমপক্ষে চারদিকে ১ কিলোমিটার জনশূন্য এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের অনুমোদন দেয়ার কথা। কিন্তু গাইবান্ধার কোনো ইটভাটা মালিকই এসব শর্ত মানছেন না।