শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ নেতা আটক ●   বেদে সম্প্রদায় ঝাড়ফুক দিয়েই চলে জীবন সংসার ●   তরুণ সংঘের উন্মুক্ত নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী ●   সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত রাউজান গঠন করতে বদ্ধপরিকর : গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ●   সমাবেশ শেষে ফেরার পথে স্বদলীয় প্রতিপক্ষের মামলা ●   মিরসরাইয়ে জামালপুর দারুননাজাত মাদরাসার উদ্বোধন ●   সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হোমিও চিকিৎসা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   হরিনা অমৃতধাম বিহারে বুদ্ধ মূর্তি দান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ●   চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : ডা.শফিকুর রহমান ●   সফল হতে চাইলে সরকারকে এজেন্ডা কমিয়ে আনা দরকার ●   খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের নির্বাচিত নতুন কমিটির প্রথম সভা ●   খেজুর গাছের দায়িত্ব নিলো মানুষ যে সেচ্ছাসেবী নামের সংগঠন ●   শ্রমিক নেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক ●   কাপ্তাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রের পুনর্বাসনে মানবিক সহায়তায় ৪১ বিজিবি ●   সূর্যের দেখা নেই, আত্রাইয়ে আবারও বাড়েছে শীতের তীব্রতা ●   মিরসরাইয়ে গাছের চারা বিতরণ ●   কাপ্তাইয়ে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উদযাপন ●   বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে সমস্যা জানালেন সিজিএএ নেতারা ●   খাগড়াছড়িতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ●   নবীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় রায়ের পরলোক গমন ●   কাপ্তাইয়ে হালদা নদীর মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   পানছড়িতে তারণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন ●   এম.এ হায়দার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের মা সমাবেশ ●   রাউজানে বাঁধাকপি ও ফুলকপির বাম্পার ফলন ●   ভারত তীর্থমুখ পৌষ মেলায় আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন ●   ঈশ্বরগঞ্জে শ্রমিক দলের আনন্দ মিছিল ●   ভদন্ত জোতির্ময় মহাথেরোর মাতা মনিবালা বড়ুয়ার স্মরনে সংঘদান অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময়
রাঙামাটি, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » পাবনা » মরা নদী, ভরা অতীত : চলনবিলের নদ-নদী বাঁচালে বিল বাঁচবে
প্রথম পাতা » পাবনা » মরা নদী, ভরা অতীত : চলনবিলের নদ-নদী বাঁচালে বিল বাঁচবে
শনিবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মরা নদী, ভরা অতীত : চলনবিলের নদ-নদী বাঁচালে বিল বাঁচবে

ছবি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত গুমানী ও বড়াল নদী শুকিয়ে যাওয়ার দৃশ্য । পাবনা প্রতিনিধি ।মো. নূরুল ইসলাম, পাবনা প্রতিনিধি :: শুকনো মৌসুম না আসতেই পাবনার চাটমোহর উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত একদার স্রোতশিনী গুমানী ও বড়াল নদী শুকিয়ে গেছে। উপজেলার পৌরশহরের প্রানকেন্দ্রে বোঁথর, ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে পূর্ব-পশ্চিমের যেদিকেই তাকানো যায় বড়াল নদীটির বুকে এখন শুধুই বোরো ধানের বীজতলা বা রবি সরষের আবাদ। অথচ মাস দুই আগেও গুমানী ও বড়াল নদীর বুক দিয়ে হাজারমনী মহাজনী নৌকা, যাত্রীবাহী বড়বড় শ্যালো (ইঞ্জিন চালিত) নৌকা চলাচল করেছে। আর বড়াল নদী সেতো কবেই মরে গেছে। তার বুকে এখন কচুরিপানা আর বয়লার মুরগীর বিষ্ঠা। নদীর দু’পার দখলদারীরা মুরগীর খামার করে সরাসরি খামার থেকে নদীতে বিষ্ঠা ফেলছে।

উপজেলার মির্জাপুর হাটের একজন বড় ব্যবসায়ী শ্রী সুবাস দাস বলেন, এই নদীপথই আমাদের সার-ডিজেল আনতে হয়। খরচ কম হয় তাই আমরা নদী নির্ভর ব্যবসা করতাম। এখন শুকনো মৌসুমের আগেই নদী শুকায়ে যায়। আমাদের বেশি খরচে সড়ক পথে মালামাল আনতে হয়।
ওই হাটের আরেক ব্যবসায়ী আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন বলেন, মির্জাপুরে অনেক ধানের চাতাল। অটো রাইচমিল। আমার বড়বড় শহরে এই নদী পথেই চাল পাঠাই নৌকায়। গত বছর থেকে নদী বর্ষার শেষ দিকে শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। নদী ভরাট হয়ে গেছে।
অষ্টমনিষা হাটের পাশের বাসিন্দা কৃষক রহমত আলী বলেন, এই নদীতে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিয়ে আমরা বোরো ধানে সেচ দিতাম। সেই নদী এখন আবাদ শুরুর আগেই শুকিয়ে যায়।
মির্জাপুর-অষ্টমনিষা গুমানী নদীর ঘাটের ইজারাদার নাদের আলী (৫৫) বলেন, আমার জীবনে আমি এই নদীর পানিশূন্য দেখি নাই। কিন্তু গতবছর থেকে চৈত্রমাস না আসতেই পানিশূন্য হয়ে যায়। আমরা শুকনোর উপর বসে ঘাট পাড়ানি তুলি।
গুরুদাসপুরের সিঁধুলাই সমাজ কল্যাণ সমিতি(এসএসএস) পরিচালিত নৌকা স্কুলের মির্জাপুর শাখার ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা বলেন, গুমানী নদীর পাড়েই আমাদের বেশী কাজ। আর আমাদের নৌকাগুলো একটু অন্যরকম, বড়। পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় আমাদের নৌকা স্কুল চালাতে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
মির্জাপুর হাটের পশ্চিম পাশে গুরুদাসপুর থেকে বয়ে এসে করতোয়া নদী মিশেছে গুমানীতে। সেই মোহনার ঘাটের পাড়ানি নাথুরাম তরণী দাস (৭০) স্মৃতি হাতরে বলেন, কি বলবো বাপু এই গুমানী নদীর এক সুময় এতো স্রোত ছিলো যে, এক ঘাটের মানুষ লিয়ে অন্যঘাটে নৈকে লিতে যান বাড়াই যাইত। আমি ছোটবেলা শুনিচি গুমানী ছিলো মানুষ খাউয়া নদী। কেউ এই নদীতে পড়লি আর খুঁজে পাওয়াই যাইতো না। কি যে হইলো সেই নদীতে এখন পানিই থাকে না। অথচ মরা এই নদীটির একদা ছিলো ভরা অতীত। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর-চাচকৈর হয়ে গুমানী নদী পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা-নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে। মির্জাপুর হাটের পাশে গুমানীর সাথে এসে মিশেছে করতোয়া নদী। আর একটু এগিয়ে গিয়ে হয়ে বড়াল নাম নিয়ে বয়ে গেছে বগুদুর। ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর উপজেলা হয়ে মিশেছে সিরাজগঞ্জের চাটমোহর ভাঙ্গুড়া উপজেলার সীমানায় নুননগর নামক স্থানে গুমানী বড়াল নদীতে মিলিত শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীর একটু আগে হুরাসাগরে। তারপর গিয়ে পড়েছে একেবারে বড়নদী যমুনায়। এ অঞ্চলে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, নদী নব্যতা হারিয়েছে স্রোতহীনতায়। আরেকটা বিষয় হলো নদীপাড়ের মাঠে অপরিকল্পিত ভাবে গভীর নলকূপ বসিয়ে আবাদ করা হচ্ছে। এতে ভূ-গর্ভস্থ পানিতে টান পড়ছে, দ্রুত ভূ-উপরিস্থ পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।

পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক এসএম মিজানুর রহমান বলেন, শুধু গুমানী নয়, চলনবিলের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ছোটবড় ১৬টি নদ-নদীই শুকনো মৌসুম শুরুর আগেই নব্যতা হারায়। নদীগুলো খনন না করলে এ অবস্থার আরও অবনতি হবে। তিনি বলেন, চলনবিল রক্ষা আন্দোলনে আমাদের এ জন্যই জারি রাখতে হবে। নদী রক্ষা না হলে চলবিল হারিয়ে যাবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)