শুক্রবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়ি সর্বকনিষ্ঠ মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরীর বিয়ে
খাগড়াছড়ি সর্বকনিষ্ঠ মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরীর বিয়ে
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :; খাগড়াছড়ি সর্বকনিষ্ঠ মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী বিয়ে করলেন। কনে উখেংচিং মারমা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উৎসবমুখর পরিবেশে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের জিরো মাইল এলাকায় মং সার্কেল চিফের বাড়ীতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরপরই উখেংচিংকে রাণী হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়। শুক্রবার দুপুরে প্রীতিভোজ । এতে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর রামগড়ের পাতাছড়া এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় খাগড়াছড়ি সার্কেল চিফ পাইহ্লাপ্রু চৌধুরীর মৃত্যু হলে ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি সার্কেল চিফের গ্রহণ করেন সাচিংপ্রু চৌধুরী। তিনি ঢাকা স্টামফোর্ড ইউনিভাসিটি থেকে এলএলবি কোর্স করেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সাচিংপ্রু চৌধুরী সবার ছোট।
অপর দিকে উখেংচিং মারমা খাগড়াছড়ি শহরের পানখাইয়া পাড়া এলাকার অংক্যজাই মারমা ও সুইনাইচিং মারমার মেয়ে। সে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’র পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে গ্রাজুয়েশন শেষে বর্তমানে আমেরিকার মিনেসোটা ইউনিভার্সিটি থেকে ফেলোশিপ শেষে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন।
তার বাবা অংক্যজাই মারমা মহালছড়ি পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটিতে মেডিকেল অফিসার হিসেব কর্মরত ও মা সুইনাইচিং মারমা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসেবে কমরত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৭০ সালে মং সার্কেল, চাকমা সার্কেল ও বোমাং সার্কেল নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩টি পৃথক সার্কেল সূচনা হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন খাগড়াছড়ি সার্কেল চিফ বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রু সাইন বাহাদুর পরলোক গমন করার পর তার স্ত্রী রাণী নীহার দেবী রাজ্যভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বার্ধক্য জনিত রোগের কারণে তিনিও ১৯৯১ সালে পরলোক গমন করেন।