মঙ্গলবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: শিক্ষার্থীদের স্থগিত ফলাফল প্রকাশ, রেজিস্টেশন বিভাগে দক্ষ জনবল নিয়োগসহ ৪ দফা দাবীতে ঝিনাইদহ শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত একাডেমীক ভবন ও কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে গত শিক্ষাবর্ষ ও চলতি শিক্ষাবর্ষের ৮ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত হয়েছে। এতে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বারবার প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে বলা হলেও তিনি সমাধান করার উদ্যোগ নেননি। যে কারণে তারা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় অধ্যক্ষ উদ্ধার হলে তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম।
হরিণাকুন্ডুতে চার ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ইউনিয়ন পরিষদে কাজ ও চাকরি দেওয়া বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চার ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ উপজেলার ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৬,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক গ্রাম পুলিশ মনমোহন দাস ও একই ইউনিয়নের মন্ডলতোলা গ্রামের তাহাজ উদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। অভিযোগে মনমোহন দাস জানান, বিগত ৩ বছর পূর্বে ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য বশির উদ্দিন ও ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আতিয়ার রহমান তার ছেলেকে গ্রাম পুলিশের চাকরি দেওয়া বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু তারা তার ছেলেকে চাকরি দিতে পারেননি। এখন টাকা ফেরত চাইলে তারা তালবাহানা করছেন। অপর অভিযোগে মন্ডলতোলা গ্রামের মর্জিনা খাতুন জানান, তাকে ৪ বছর মেয়াদী কেয়ারের কাজ দেওয়া বলে ইউপি সদস্য বশির উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন ত্রিশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু তারা কাজও দেননি টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান ও অভিযুক্ত অপর তিন সদস্য বলেন, অভিযোগের বিষয় সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেলের বিরুদ্ধে কেয়ারের কাজে লোক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেছি। একারনে চেয়ারম্যান আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য ওই ব্যক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন। জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, ওই ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে কেয়ারের কাজ ও গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়া বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমি লটারীর মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে লোক নিয়োগ দিয়েছি।
কালীগঞ্জে রাস্তা নির্মাণে নিন্মমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ২৬ লাখ টাকা মূল্যের সলিং রাস্তা নির্মাণে নিন্মমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ঠিকাদারের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা। কালীগঞ্জ উপজেলার ২নং জামাল ইউনিয়নের বড় ডাউটি থেকে নাকোবাড়িয়া অভিমুখে ইটের সলিং কাজে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। হেরিং বোন বন্ড (এইচ বিবি) প্রকল্পের আওতায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই পাঁকা রাস্তা নির্মাণে ২৬ লক্ষ ৬ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। যা ১নং ইট দিয়ে করার কথা। কাজটির তদারকির করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। কিন্তু নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠার ওই রাস্তা নির্মাণে নিন্মমানের (ভাঙ্গা-চুরা) ইট ব্যবহার করছে। এতে এলাকাবাসী ৯ ফেব্রুরুয়ারি রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ঠিকাদার সেখানে যেয়ে আবারও নিম্নমানের ইট দিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে নির্বাহী কর্মকর্তা সুর্বণা রানী সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নির্মাণ কাজে অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, কিছু ২ নাম্বারী ইট দিয়ে কাজ করছিল। কাজটি আমরা বন্ধ করে রাখছি। ইটগুলি পরিবর্তন করে এক নাম্বার ইট যাওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করবো। কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠার কাজটি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঝিনাইদহের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি করছেন। তবে তিনি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা জানান, ঘটনাস্থল আমি পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষনিক ভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়াসহ কাজের মান ভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশণা দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-প্রকল্প পরিচালক জিয়াউর রহমান খান বলেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং কোন ভাবেই দুই নাম্বার ইট দিয়ে রাস্তা করতে দেওয়া হবে না।
ঝিনাইদহ ক্লাস চালুর দাবীতে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২য় শিফটের ক্লাস চালুর দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে কলেজের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে তারা। কর্মসূচীতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২য় শিফটের ক্লাস নেওয়ার জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের সরকারি ভাবে ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী মুল বেতনের ৫০ ভাগ ভাতা দেওয়া হতো। কিন্তু দেড় বছর আগে ২০০৯ সালের বেতন স্কেলের ৫০ ভাগ দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে শিক্ষকরা ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী ভাতা দেওয়ার দাবীতে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে ক্লাস বন্ধ রেখেছে। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ২য় শিফটের ৭’শ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। তারা দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করে ক্লাস চালুর দাবী জানান। মানবন্ধন শেষে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর ফাঁসির আদেশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক সিএমএ আলিম আল রাজী এ রায় দেন। দন্ডিত দিদার লস্কার শৈলকুপা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত মকলেছুর রহমানের ছেলে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দিদার লস্কার যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী শিলা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এমন খবর পেয়ে শিলা খাতুনের পরিবারের লোকজন দিদারের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তার মৃতদেহ পড়ে আছে। স্বামী দিদার লস্কার তার পুত্র সন্ত্রানকে নিয়ে পালিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মৃত্যুর পরদিন ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানী শেষে ১নং আসামী দিদার লস্কারকে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদলত তাকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন। বাকী ২ আসামীকে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের এ মামলা হতে খালাস প্রদান করা হয়।