শুক্রবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » সামাজিক মুক্তির জন্য গণসংস্কৃতির জাগরণ ঘটাতে হবে : সাইফুল হক
সামাজিক মুক্তির জন্য গণসংস্কৃতির জাগরণ ঘটাতে হবে : সাইফুল হক
ঢাকা :: আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে সংহতি সংসদের জাতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন গণসাংস্কৃতিক জাগরণ ছাড়া মানসিক দাসত্বের অবসান ও সামাজিক মুক্তি ঘটবে না। গণসাংস্কৃতিক অভিযান ছাড়া মুনাফালোভী ভোগবাদী অপসংস্কৃতি এবং পশ্চাৎপদতা, কুপম-ুক নিয়তিবাদি মনন, মানবিকতা ও সংস্কৃতির পরিবর্তন করা যাবে না। তিনি বলেন শাসকদের আপোষমুখীতার কারণে মুক্তিযুদ্ধের সাম্যভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংস্কৃতির বিপরীতে দেশে আজ প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক এবং ভোগবাদী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে চলেছে। মুক্তিবুদ্ধি চর্চা, অসাম্প্রদায়িক গণসাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উৎসবের বিরুদ্ধে নানামুখী আক্রমন বেড়ে চলেছে; বিপর্যস্ত হতে চলেছে আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, ভাষা ও বৈশিষ্ট্যসমূহ। এদের দৌরাত্মই বাউলদের উপর নিপীড়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও মানবপ্রেমী বাউলদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন গণসংস্কৃতির উপর নিপীড়নের সামিল। তিনি এই অবস্থা পরিবর্তন গণমানুষের গণসাংস্কৃতিক প্রতিরোধ জোরদার ও বিস্তৃত করতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখনকার অবরুদ্ধ প্রায় সমাজে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ভয়কে জয় করতে পারে। অবদমনের পরিস্থিতি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে। তিনি দেশ ও জনগণের গণতান্ত্রিক ও মানবিক ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অভিযান শুরুর আহ্বান জানান।
তোপখানা রোডে বিএমএ ভবন প্রাঙ্গণে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
গণসঙ্গীত শিল্পী এ্যাপোলো জামালী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন গণসাংস্কৃতিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টু, ইফতেখার আহমেদ বাবু, নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, খেতমজুর ইউনিয়ন নেতা আকবর খান, শ্রমিক নেতা আবু হাসান টিপু, কৃষক নেতা আনছার আলী দুলাল, নারী নেত্রী রাশিদা বেগম, সজীব সরকার, শিল্পী কাজল মেহমুদ, মিজানুর রহমান পলাশ ও তিনি সুর্বণা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অধিবেশনের পর সংস্কৃতি সংগঠকদের একটি বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা তোপখানা রোড, বিজয়নগর সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে সংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংগঠনের ৩২টি সাংগঠনিক জেলা থেকে দুই শতাধিক প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।