রবিবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন
বিশ্বনাথে পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাকে একটি আধুনিক মডেল উপজেলায় রুপান্তরিত করার জন্য পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন মতবিনিময় করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য এস এম নুনু মিয়া। সভায় বক্তারা ব্যক্তি বা গোষ্টীর স্বার্থত্যাগ করে জনসাধারণের কল্যাণের জন্য উপজেলার ৭২টি ওয়ার্ডে সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার আহবান করেন।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তন প্রাঙ্গনে ওই উন্মোক্ত মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার শুরুতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া নিজের উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সামনে উপস্থাপন করে সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহন করেন। এরপর সকলের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের জন্য সঠিক প্রকল্প তালিকা চান তিনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগমের যৌথ পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফয়েজ আহমদ সেবুল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিলু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর দাশ শংকু, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজাজুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের পক্ষে বিশ্বনাথ সদরের রফিক হাসান, জহুর আলী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী সেলিম, লামাকাজীর ফয়ছল আহমদ, চমক আলী, খাজাঞ্চীর আমির আলী, হাবিবুর রহমান, অলংকারীর ওদুদ মিয়া, শায়েকুর রহমান, রামপাশার আবুল খয়ের এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা মধু মিয়া, ইয়াসিন আলী, আজাদ মিয়া, মস্তাব আলী, নিশি পাল, মোশাহিদ আলী, বাবুল মিয়া।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছাতির মেম্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন, প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রুনু কান্ত দে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রনজিত ধর রন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, ফজর আলী মেম্বার, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল হালিম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুন নূর, দেওকলস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন রুপন, অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী হিরা মিয়া, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক আফিয়া বেগম, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান বদরুল, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী আমির আলী, সহ সভাপতি আওলাদ আলী, যুবলীগ নেতা সায়েদ আহমদ, রাজু আহমদ খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক সিজিল মিয়া, অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমদ প্রমুখসহ উপজেলার জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথে পরিবেশ দূষণ বন্ধের দাবিতে এমপি বরাবরে স্বারকলিপি
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে রাস্তার গালা পোড়ানোর পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এনে সিলেট ২ আসনের সংসদ সদস্য এমপি মুকাব্বির খান বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আজিজনগর, চকরাম প্রসাদ, কাদিপুর, দশদল ও লামারচক গ্রামের তিন শতাধিক লোক স্বাক্ষরিত এ স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট মোরব্বি আজর আলী ইন্তাজ আলী আফিজ আলী ফয়জুল হক সাহাব উদ্দিন ছামির আলী প্রমুখ।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, লামাকাজি-সুনামগঞ্জ ও বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের সংস্কার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলার বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের আজিজনগর গ্রামের রাস্তার পাশে সড়ক সংস্কার কাজের গালা পুড়ানোর মেশিন বসানো হয়েছে। ওই এলাকায় অবস্থিত, স্কুল, মাদরাসা, হাসপাতাল, একাডেমী, ইটভাটা রয়েছে। এতে গালা পুড়ানোর কারণে এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এলাকাবাসী বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহিত করেন। এতে তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। গালার মেশিনের ধোয়ার কারণে এলাকার লোকজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। ফলে গালা পুড়ানোর মেশিন অত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।