শনিবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » শ্রেষ্ঠ স্টল হিসেবে সম্মাননা পেলো স্বপ্নবুনন বই বন্ধু
শ্রেষ্ঠ স্টল হিসেবে সম্মাননা পেলো স্বপ্নবুনন বই বন্ধু
রাঙামাটি :: রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২০ এ স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সচেতনতা মূলক সংগঠন স্বপ্নবুনন কর্তৃক পরিচালিত ব্যতিক্রমধর্মী স্টল “স্বপ্নবুনন বই বন্ধু” বইমেলায় অংশগ্রহণ করে অর্জন করে “প্রথম শ্রেষ্ঠ স্টল” এর সম্মাননা।
বইমেলায় সকলেই আমরা নিজেদের বাচ্চাদের নিয়ে যায়, মজার মজার বই কিনে দেয়, আবার অনেক পাঠক আছেন যারা সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন বইমেলা হতে অনেক অনেক বই কিনবেন কিন্তু নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরোয় তাদের আবার বই মেলা! সুবিধাবঞ্চিত শিশু বলি কিংবা বই কিনার সামর্থ্য নেই এমন পাঠক হয়ে যায় বইবঞ্চিত । টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি লক্ষ্যমাত্রা সমতা ভিত্তিক শিক্ষা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে “বই হোক সবার জন্য, বই মেলা সবার জন্য” এই লক্ষ্য ধারণ করে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সচেতনতা মূলক সংগঠন স্বপ্নবুনন এইবার বই মেলায় নিয়ে এসেছিলো ব্যতিক্রমী এই আয়োজন “স্বপ্নবুনন বই বন্ধু”। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বই মেলায় স্বপ্নবুনন’র অংশগ্রহণ ছিলো , না তারা বই বিক্রি করা তাদের উদ্দেশ্য নয় ,তারা বইবন্ধুদের নিকট অসহায় শিশুদের জন্য, যাদের বই কেনার সামর্থ্য নেই তাদের জন্য বই সংগ্রহ করা ছিলো মূখ্য উদ্দেশ্য । যে বইসমূহ বইমেলার উপহার হিসেবে যাবে এক পাঠক হতে অন্য পাঠকের হাতে। এই ব্যতিক্রমী আয়োজন সম্পর্কে স্বপ্নবুনন’র অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ফিল্ড ও বই বন্ধু প্রকল্পের সমন্বয়ক ছালেহ আহমেদ বলেন ” এই সম্মাননা আমাদের কাজের গতি দ্বিগুন করবে। বিবিধ স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্বপ্নবুনন বরাবরই ব্যতিক্রমী আয়োজন করে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে আসছে, স্বপ্নবুনন বই বন্ধু প্রকল্প এর একটি অংশ, যেখানে অনেক বইবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীরা ও বইবঞ্চিত পাঠকগণ পাবে বই। পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে রয়ে স্বপ্নবুনন এর বিশেষ পরিকল্পনা যা ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ড্রীম লাইট প্রজেক্ট এর মাধ্যমে ১০ জন দারিদ্র শিক্ষার্থী বিনামূল্যে তিন মাসব্যাপী ইংরেজি গ্রামার প্রশিক্ষণ পাচ্ছে এবং ২৭ জন দরিদ্র শিক্ষার্থী পাচ্ছে তিনমাস ব্যাপি কম্পিউটার ও ইংরেজি ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ। দাতা কর্তৃক সহযোগিতা পেলে এটি আরো বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নেওয়া আমাদের লক্ষ্যর একটি অংশ” । তিনি এই স্বপ্নবুনন বই বন্ধু প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইমুন ইসলাম, আলী আশরাফ, নোবেল মল্লিক , জিসান, নিলয়, মোস্তাফিজ, আফরিন, রিমি, জাহিদ সহ অনান্যদের। তিনি আরো অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পড়ে থাকা পুরাতন অথবা নতুন বই জমা দিয়ে একজন অসহায় শিশুর “বইবন্ধু” হওয়ার। যেকোন রকম বই দেওয়া যাবে, আপনার সংগ্রহে অনেক বই থাকলে আমাদের ০১৫ ১১ ১২ ২০১৮ নং এ ফোনে জানাতে পারেন, আমরা নিজেরা গিয়ে বই সংগ্রহ করে আসব। এছাড়া আপনি চাইলে আপনার যেকোন বই প্রদান করে আমাদের প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া উন্মুক্ত পাঠাগার ” স্বপ্নবুনন জ্ঞানঘর” এর সহযোগী সদস্য হয়ে যেতে পারেন৷ স্বপ্নবুনন সংগঠনটি এই অর্জন উৎসর্গ করেছে ভাষা আন্দোলন এর ৪৬ বছর পর গর্জে উঠা মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম এর প্রতি। যারা ২১ ফ্রেব্রুয়ারিকে “আনÍর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ” হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছিলেন এবং সফলতা লাভ করে জয় করেছিলেন স্বীকৃতি।
স্বপ্নবুনন সংগঠনটি এই অর্জন উৎসর্গ করেছে ভাষা আন্দোলন এর ৪৬ বছর পর গর্জে উঠা মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম এর প্রতি। যারা ২১ ফ্রেব্রুয়ারিকে “আনÍর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ” হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছিলেন এবং সফলতা লাভ করে জয় করেছিলেন স্বীকৃতি।