শুক্রবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » চতুর্থ বিয়ে করতে না পারার অভিমানে গফরগাঁওয়ে যুবকের আত্মহত্যা
চতুর্থ বিয়ে করতে না পারার অভিমানে গফরগাঁওয়ে যুবকের আত্মহত্যা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চতুর্থ বিয়ে করাতে পরিবার রাজী না হওয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে রিকশাচালক নাঈম (২২) নামে এক ‘বিয়েপাগল’ যুবক নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশন নিয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে মমেক হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গফরগাঁও উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের পাকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় নাঈমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক)হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি। নিহতের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলার বারবাড়িয়া গ্রামের জুলেন মিয়ার ছেলে রিকশাচালক নাঈম এর আগেও তিনটি বিয়ে করেন। বর্তমানে একজন স্ত্রী তার সঙ্গেই আছেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে নাঈম পরিবারের কাছে তার চতুর্থ বিয়ের ইচ্ছার কথা জানায়।
এ বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মায়ের সাথে ছেলে নাঈমের বাক-বিতন্ডা হয়। এ ঘটনার পর অভিমান করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাঈম একসাথে নেশাজাতীয় ইঞ্জেকশন নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক)হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি। বর্তমানে মমেক হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ রয়েছে।
গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার বলেন, ‘যেহেতু ময়মনসিংহে মারা গেছে তাই কোতোয়ালি পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নেবে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বলেও জানান তিনি।’