মঙ্গলবার ● ৩ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » রাউজানে বাতাসে সুবাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুল
রাউজানে বাতাসে সুবাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুল
আমির হামজা, স্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার এখন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে প্রকৃতিতে সুবাস ছাড়াচ্ছে আমের মুকুল। এসব আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। মুকুলের সুবাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়া ঘ্রাণের স্বাদ নিচ্ছি এলাকার ছোট-বড় সকলে। বসন্তকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে আমের মুকুলে মুকুলে বড়ে গেছে পুরা আম গাছ গুলো। সারা উপজেলায় সরজমিনে দেখে গেছে প্রতিটি আম গাছে এখন মুকুলে ভরা। তাই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের ঘ্রাণ। উপজেলার সকল আম গাছে রঙিন ফুলের সমারোহে এলাকার প্রকৃতি যেন সেজেছে এক বর্ণিজ সাজে। এদিকে রাউজানে এখন আম চাষ করছে অনেকে, এসব আম বাগান করে অনেকে সফল হয়েছে। গত বছর রাউজান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব আম বিক্রি হয়েছে। সেই বছর বাগান থেকে আম বিক্রি করে অনেকে সফল আমচাষি হিসবে পরিচিত অর্জন করেছেন। এবিষয়ে নতুন আমচাষি মো: ইছহাক সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর তাঁর আম বাগান থেকে প্রায় ১লক্ষ ২০ হাজার টাকারও বেশি আম বাজারে বিক্রি করেন তিনি। এছাড়াও আম গুলো অনেক সুস্বাদু হিসবে বাজারে পরিচিতি লাভ করেন। আমচাষি মো: ইছহাক আরোও বলেন, এবার তাঁর বাগানে সব গাছে মুকুল এসেছে। আশা করছেন আবহাওয়া ভালো হলে এবারও তিনি বাগান থেকে আম উৎপাদন করে বাজারজাত করে ভালো টাকা আয় করবেন। এদিকে সবাই বাগান পরিচর্যা করে যাচ্ছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন বাগানে স্প্রে করা হচ্ছে। সবাই আশা করছেন আমের ভালো ফলন হবে এবার। অন্যদিকে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উদ্যোগে সারা রাউজানে ১ ঘন্টায় ৪ লাখ ৭০ হাজার নানা রকমের ফলজ গাছের চারা রোপন করে রেকর্ড করেন তিনি। এই বৃক্ষ রোপন করে জাতীয় পুরস্কার হিসাবে স্বর্ণপদক অর্জন করেন তিনি। এই বৃক্ষ রোপনের জন্য তিনি পর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় পদক পান। তিনি ২০১৭ সালে বর্ষা সময়ে রাউজানের জুড়ে প্রতিটি সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্টান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মানুষের ঘর-বাড়িতে তিনি ফলজ,বসজ ও নানা ওষধি গাছ রোপন করেন। এখন প্রায় গাছে ফল দিতে শুরু করেছে। এসব ফুল আর ফল এলাকার মানুষ ভোগ করছেন। এছাড়াও লিছু গাছেও শোভা পাচ্ছে মুকুলের। এসব লিছু গাছে ব্যস্ত সময় পার করছেন মধু সংগ্রহে মৌমাছিও। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এখনো বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ না হলেও গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিকভাবে অনেকে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বেশকিছু এলাকায় আম বাগান গড়ে তুলা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, রাউজান জুড়ে সকল এলাকায় প্রতিটি গাছে গাছে আমের মুকুল এসেছে। পাশাপাশি যারা সখের বসে বড় বড় আম বাগান করেছেন তাদেরকে আমের গুটি হবার পর ও মুকুল আসার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহারে জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি।