বৃহস্পতিবার ● ৫ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নবীগঞ্জে এক যুবকের লাশ উদ্ধার
নবীগঞ্জে এক যুবকের লাশ উদ্ধার
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্টের সড়কের পাশে একটি জমিতে জাহেদ মিয়া নামে এক পান বিক্রেতার লাশ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্টের সড়কের পাশে একটি জমি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
জাহেদ মিয়ার ওই ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে জাহেদ মিয়া শেরপুর বাজার থেকে তার পান দোকান বন্ধ করে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে কে বা কারা জাহেদ মিয়াকে হত্যা করে সড়কের পাশে জমিতে পেলে যায়। সকালে স্থানীয়রা একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। নিহত জাহেদের মাথায় দাড়ালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবারের দাবী, জাহেদকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে,হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবী করেন তারা।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকা- দ্রুত আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারবো। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লাশ ময়না তদন্তে জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নবীগঞ্জে শিক্ষকের হাতে ছাত্র অভিভাবক লাঞ্চিত
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের হাতে ছাত্রের অভিভাবক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ঐ এলাকার ছাত্র ও অভিভাবকদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ যেকোন সময় এ নিয়ে যেকোন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমান এবং অভিভাবক এর মাঝে। এ ব্যাপের ছাত্রের অভিভাবক ফজল মিয়া বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র জিসান আহমদ ও ২য় শ্রেণীর ছাত্র হাসান আহমদের পিতা মীর মোঃ ফজল মিয়া প্রায় মাসখানেক পুর্বে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান বেলা ১১.৩০ মিনিটে বিদ্যালয়ে আসলে চা দোকানের সামনে দেরীতে আসার কারন জিজ্ঞেস করেন। এ সময় জিয়াউর রহমানকে দেবপাড়া বাজার এলাকার বাসিন্ধা বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক ফজল মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চায়ের দোকান হইতে চলিয়া যান। এরপর থেকে ঔ শিক্ষক ফজল মিয়ার ছেলে ২ ছাত্রকে মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত করিতে থাকে। এরই জের ধরে গত ২রা মার্চ সোমবার ফজল মিয়ার ছেলে হাসান আহমেদকে স্কুলের একটি ছেলে মারপিঠ করিলে তিনি ক্লাশ শিক্ষক জিয়াউর রহমানের নিকট বিচার প্রার্থী হইলে ঐ শিক্ষক অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন এবং স্কেল হাতে নিয়া তাকে মারতে চাইতে অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে কক্ষ হইতে বাহির করিয়া দেন। তিনি ঘটনাটি প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা রানীর নিকট জানাইলে ঐ শিক্ষক পিছু-পিছু প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে যাইয়া প্রধান শিক্ষিকার সম্মূখে পুনরায় গালি-গালাজ করিয়া ফজল মিয়াকে ধাক্কা দিয়ে কক্ষ হইতে বাহির করিয়া দেন। পরবর্তীতে তিনি ঘটনাটি স্কুলের সভাপতি এলাইছ মিয়াকে জানাইলে তিনি বিচার সালিশ বিষয়টি শেষ করিবেন বলিয়া কালক্ষেপন করতে থাকেন। ঘটনার কোন সুরাহা না পাইয়া ঐ অভিভাবক বিষয়টি বাজার ব্যবসায়ীদেরকে জানাইলে তাহারা বিচার সালিশে শেষ করিয়া দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এমনকি ঐ অভিভাবক বিভিন্ন জায়গার বিচার প্রার্থী হওয়ায় কারনে আরও উত্তেজিত হইয়া রাস্তায় পাইলেই গালি-গালাজ করিতে থাকেন। এছাড়া এরপর হইতে বিদ্যালয়ে পড়–য়া ২ ছাত্রকে মানষিকভাবে আঘাত করিতে থাকেন এং বিদ্যালয়ের ক্লাশ রোমে ২ ছাত্রকে প্রথম বেঞ্চে থেকে উঠিয়ে শিক্ষক জিয়াউর পিছনের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এলাকায় কোন বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অভিভাবক ফজল মিয়া গতকাল বুধবার নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উল্লেখ্য শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বাড়ী স্কুলের পাশাপাশি হওয়ায় কারনে প্রায়দিনই ১১ টা বা ১১.৩০ মিনিটে বিদ্যালয়ে মনগড়াভাবে আসা যাওয়া এবং বিভিন্ন অভিভাবকদের প্রতি অসাদাচারন করার অভিযোগ রয়েছে। অভিভাবকদের প্রশ্ন ঐ শিক্ষককের খুটির জোর কোথায়? ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী করে ঐ শিক্ষককে অচিরেই অন্যত্র বদলী করার জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ঐ শিক্ষক দোষী সাব্যস্থ হলে ব্যবস্থা নেব।