শুক্রবার ● ৬ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মুজিব বর্ষে কোটি কোটি টাকার পাকা রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
মুজিব বর্ষে কোটি কোটি টাকার পাকা রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: মুজিব বর্ষে যখন সব সরকারী সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছ দিতে সরকার ও কর্মকর্তারা বদ্ধপরিকার, ঠিক সেই সময় গ্রামের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ লোভী মাটি ব্যবসায়ীদের কারণে হাত পা ভেঙ্গে জখম হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে কতিপয় মাটি ব্যবসায়ী পাকা রাস্তাগুলো মাটি ফেলে কাচায় পরিণত করে রাখলেও তাদের কেশ স্পর্শ করার মতো কেও নেই বা তাদের প্রতি আইন প্রয়োগ হয় না। ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল জরিমানা করার বিধান থাকলেও ঝিনাইদহের প্রশাসন রয়েছে নিয়মিত মিটিং সভা সমাবেশ নিয়ে। দিবস পালনের ফাটা বাঁশে আটকে গেছে সব কাজকর্ম। অভিযোগ নিয়ে তাদের দরজায় পৌছানো মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ তারা অফিসে থাকেন না। এ কাজ সে কাজ নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দিনব্যাপী ব্যাস্ত থাকায় যারা ট্যাক্স দিয়ে বেতন পেতে সহায়তা করছেন তাদের সমস্যা নিরসনের সুযোগই বা কোথায় ? অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝিনাইদহের পশ্চিমাঞ্চলে ৭/৮ জন মাটি ব্যবসায়ীর কারণে এলজিইডি, সওজ ও জেলা পরিষদের কোটি কোটি টাকার রাস্তা মাটি ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে। রাস্তার উপর মাটি ফেলে তা বৃষ্টি কাদায় আবার কাচা রাস্তার মতো দশা হচ্ছে। অনেক সময় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। মটরসাইকেল আরোহীরা চলাচল করতে পারছেন না। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পশ্চিমের সাধুহাটী, মধুহাটী, সাগান্না, হলিধানী ও কুমড়োবাড়িয়া ইউনিয়নে পুকুর খনন করে ইটভাটায় বালি ও মাটি বিক্রির নাটেরগুরু হচ্ছে ৬/৭ জন লোভী মানুষ। এরা হলেন হলিধানীর কোলা গ্রামের জসিম, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওসমান, বাথপুকুর গ্রামের আলী আকবর, আইয়ুব আলী, দিপংকর, নজরুল ইসলাম ও ঝিনাইদহের রয়েল। এদের মাটি টানা গাড়ি হলিধানী থেকে বাজারগোপালপুর, রাঙ্গিয়ারপোতা, মামুনশিয়া, বাজারগোপালপুর থেকে ডাকবাংলা ত্রিমোহনী ভায়া চুলকানির (জিয়ানগর) বাজার, নারায়নপুর ত্রীমোহনী থেকে বাজারগোপালপুর, বাথপুকুর এবং ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া থেকে হরিণাকুন্ডু সড়কটি চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছে। হলিধানীর মুল্লা বাড়ির পুকুর থেকে মাটি তুলে বিক্রি করার ফলে ভেদোর বাড়ি থেকে হলিধানী ও বাজারগোপালপুর অভিমুখের রাস্তাটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। কোলা গ্রামের জসিম ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওসমান প্রতিদিন রাস্তা পরিস্কার করার অঙ্গীকার করলেও তারা তা পালন করেন নি। জোহান ড্রিম ভ্যালির সামনেও কাদা পানিময় পরিবেশ থেকে বাঁচতে স্থানীয় ইটভাটার মালিক রাস্তায় বালু ফেরতে দেখা গেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর ধরে এই বেআইনী কাজ কারবার চলে আসলেও আইন প্রয়োগের মাত্রা খুবই কম বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে দিনকে দিন এ সব মাটি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে হলিধানী এলাকার মাটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন ও ওসমান আলী পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য তারা মাটি নয় বালি বিক্রি করেন। এই ব্যবসার সাথে যুক্ত উসমান বলছেন তারা রাস্তা পরিস্কার করে দিচ্ছেন। এলাকাবাসি শাহাজান মিয়া জানান, উসমানকে ফোন দিয়ে জানালে তিনি লেবার দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে দেন। এখন আর কোন সমস্যা। তিনি বিপজ্জনক রাস্তা তৈরীর জন্য অপর মাটি ব্যবসায়ী জসিমকে দোষারোপ করেন। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে সত্যতা মেলেনি। রবং পাকা রাস্তা কাচায় পরিণত হয়ে আছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর থানা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিষয়টি আমার নলেজে আছে। এ বিষয়ে আমি মিটিংয়ে বসেছি, কি করা যায়। যারা রাস্তা নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহে বালির ট্রাক থেকে গাঁজাসহ গ্রেফতার-২
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মুজিবচত্ত্বর এলাকায় বালির ট্রাক থেকে আনুমানিক ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও গাঁজা সেবন করার সরাঞ্জামাদি উদ্ধার করছে ঝিনাইদহ সদর ফাঁড়ি পুলিশ।
জানা গেছে, ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে (ঢাকা মেট্রো ট- ১৬-৯৩১০) বালি নিয়ে রওনা হয় একটি ট্রাক। সে সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর ফাঁড়ির ইনেসপেক্টর আনছারুল ইসলাম,এএসআই এখলাসুর রহমান,এএসআই নাজমুল হাসান, এটিএসআই চঞ্চল, এটিএসআই সানি চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডের মুজিব চত্ত্বর এলাকায় ট্রাকটিকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় ট্রাক ড্রাইভারের সিটের নিচ থেকে আনুমানিক ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও গাঁজা সেবন করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ট্রাকটির ড্রাইভার সদরের গয়েশপুর কোরাপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম সুমন (৩২) ও একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে হেল্ফার হৃদয় হোসেন(১৮)কে। অভিযানে অংশ গ্রহন করেন ঝিনাইদহ সদর ফাঁড়ির আইএনএস আনছারুল ইসলাম,এএসআই এখলাসুর রহমান,এএসআই নাজমুল হাসান,এটিএসআই চঞ্চল, এটিএসআই সানি সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুুতি চলছে মর্মে এই প্রতিবেদক জাহিদুর রহমান তারিককে জানান।
মামলার বাদী পক্ষের মারপিটে প্রধান আসামীর মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুলবাড়ীয়া গ্রামের মামলার বাদী পক্ষের মারধরে আহাদ আলী নামের এক আসামীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুলবাড়ীয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আহাদ আলী কুলবাড়ীয়া গ্রামের মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে। নিহতের বোন জামেনা খাতুন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলবাড়িয়া বাজারে বসে ছিলো ধর্ষন চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী আহাদ আলী। এ সময় মামলার বাদী প্রতিবেশী নিছার উদ্দিন লোকজন সাথে নিয়ে তাকে ধরে বাজারে পেছনের কলাবাগানে গিয়ে মারধর করে। পরে সেখানে সে অসুস্থ হলে তারা আহাদ আলীকে পুলিশে সোপর্দ করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আহাদ আলীকে মৃত ঘোষনা করে। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দোষিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করেছেন নিহতের স্বজনরা। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, আহাদ আলীর মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আহাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত রোববার বাদীর এক স্বজন আহাদের বাড়ীতে গেলে সে ধর্ষন চেষ্টা করে বলে অভিযোগ এনে থানায় মামলা করে। এ ঘটনার পর থেকে আহাদ আলী পলাতক ছিল।
হাতেনাতে কোটচাঁদপুরে ছিনতাইকারী আটক
ঝিনাইদহ :: আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালাবার সময় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কোটচাঁদপুর শহরের অগ্রণী ব্যাংকের নীচে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে. বন্ধু ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও কর্মী ফরহাদ হোসেন সকালে শহরের অগ্রণী ব্যাংক থেকে ফাউন্ডেশনের আড়াই লাখ টাকা তোলেন। তিনি টাকা নিয়ে ব্যাংকের নীচে আসা মাত্রই ওঁৎ পেতে থাকা এক ছিনতাইকারী এনজিও কর্মী ফরহাদ হোসেনের হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় এনজিও কর্মির ফরহাদের আত্মচিৎকারে জনতা ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে গণপিটানী দেয়। আটককৃত ছিনতাইকারীর নাম বিল্লাল হোসেন। সে যশোহর হাসিমপুর ইউনিয়নের আমতলা পুকুর পাড় এলাকার খলিল হাওলাদারের ছেলে বলে জানায়। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকারকরে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বন্ধু ফাউন্ডেশনের এরিয়া মনিটারিং কর্মকর্তা শাহিনুর সাইফার রহমান মামলার জন্য বাদী হয়ে একটি আবেদন করেছেন। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খোলা আকাশের নিচে শিশুদের লেখাপড়া
ঝিনাইদহ :: শ্রেনীকক্ষ সংকটে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১০২নং সিংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করছে শিশুরা। আর বৃষ্টি হলে তারা পড়ে স্কুলটির বারান্দায়। ১৯৮৭ সালে স্থাপিত স্কুলটি। অফিসসহ একটি ভবনে চারটি ক্লাসরুম রয়েছে। প্রাক প্রাথমিক- থেকে ৫ম শ্রেনীর পাঠদান চলে স্কুলটিতে। স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকদের বসা ও জরুরি কাগজপত্র রাখার অফিসকক্ষে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বসে আছে। সেখানেই পাঠদান করাচ্ছেন এক শিক্ষিকা। এদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর পাঠদান করানো হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। তৃতীয় শ্রেনীতে ৩৭ জন ও চতুর্থ শ্রেনীতে ৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটিতে মোট ২২০ শিক্ষার্থী এবং পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র্র শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যেও আমাদের খোলা আকাশের নিচে পড়তে হয়। এ ছাড়া প্রচন্ড রোদে আমাদের এই মাঠের মধ্যে ক্লাস নেয়া হয়। খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে পড়াশোনা করতে আমাদের ভালো লাগে না। বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মাশরেকুল আলম বলেন, শ্রেনীকক্ষ সংকটে তীব্র্র শীত বা রোদে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে হয়। অনেক সময় ছোট ছোট বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায়। পর দিন আর স্কুলে আসতে পারে না। ১০২নং সিংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএসএম জহুরুল ইসলাম বলেন, শ্রেনীকক্ষ সংকটে স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে চটের ওপর পাঠদান করানো হয়। আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় স্কুলটির খোলা বারান্দায় বসানো হয়। এমনকি স্কুলটির অফিস কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজে ব্যবহৃত হয়। স্কুলটিতে শিক্ষকের সংকটও রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু, ভবনের জন্য উপজেলার সব বিদ্যালয়ের তালিকা পাঠানো রয়েছে। রোটেশন অনুযায়ী সেগুলো হয়ে আসছে। অনেক সময় স্থানীয় এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে ভবন নির্মাণ করা হয়। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আখের পাতা পোড়াতে গিয়ে নিজের শরীরে আগুন লেগে বৃদ্ধের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে জমিতে আখের শুকনো পাতা পুড়াতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আফসার মালিথা (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে তিনি মারা যান। নিহত আফসার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত শমসের মালিথার ছেলে। নিহতের ভাইপো মাহবুব মালিথা জানান, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি মাঠে আখের পাতা পোড়াতে যান। অসর্তকতা অবস্থায় হঠাৎ ওই আগুন নিজের শরীরে লেগে যায়। এ সময় আশপাশে তেমন কেউ ছিল না। তার চিৎকারে মাঠে থাকা আশে পাশের মানুষ ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে মারাতœক ভাবে ক্ষতি হয়। তিনি আরো জানান, প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা বেগতি দেখে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি মারা যান।
ঝিনাইদহে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সমাবেশ
ঝিনাইদহ :: ”প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে আলাদা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা সংস্থা ও দুপুরে মহিলা অধিদপ্তর ঝিনাইদহের চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালোদা খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরতী দত্ত, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা ব্রজেশ রোমন গোয়ালা। এসময় বক্তারা, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত নারীদের ক্ষমতায়নে সকলকে কাজ করা আহবান জানান। দুপুরে মহিলা অধিদপ্তর ঝিনাইদহের চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালোদা খানম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ, জেলা শিশু ষিয়ক কর্মকর্তা আয়ুব হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পচিালক সুচন্দন মন্ডল, এ্যাড:সালমা ইয়াসমিন, মানবাধিকার কর্মী শরিফা খাতুন ও আমিনুর রহমান টুকু। এসময় বক্তারা বলেন, নারীর অধিকার ও মর্যাদা এবং নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় নারীদের আরও শিক্ষিত ও বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সমাবেশে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় দুই শতাধিক নারী অংশগ্রহন করে।