শনিবার ● ৭ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » উখিয়ায় গুণীজন সংবর্ধণা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা সম্পন্ন
উখিয়ায় গুণীজন সংবর্ধণা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা সম্পন্ন
পলাশ বড়য়া, উখিয়া প্রতিনিধি :: ‘যে দেশে গুণের সমাদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মাতে পারে না।’ মুহম্মদ শহীদুল্লাহর এই কথার সূত্র ধরে কক্সবাজারের উখিয়ায় বৈকালিক সংঘদান, গুণীজন সম্মাননা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা ও মিলনমেলা সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় ভালুকিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ব্যতিক্রম এই আয়োজনটি করেছে ভালুকিয়া বৌদ্ধ ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির গৌরবের ১মবর্ষ উদ্যাপনী অনুষ্ঠানে সিপন বড়–য়া রিতু’র সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব জ্যোতি মিশন কল্যাণ ট্রাষ্ট ও রেজু বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদ্ধর্মসিরি শ্রীমৎ কুশলায়ন মহাথের। প্রধান জ্ঞাতি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি এড. দীপঙ্কর বড়–য়া পিন্টু।
সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে উখিয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মরজিনা আকতার (মরজু), রতœাপালং ইউ.পি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব, কক্সবাজার জেলা সভাপতি এড. অনিল কান্তি বড়–য়া, উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ছিম্পু বড়–য়া।
গুণীজনদের মধ্যে পূর্ব ভালুকিয়া তুলাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মৌলভী আলী আহাম্মদ, ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দু বড়–য়া, ভালুকিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অব:) কিরণ বিকাশ বড়–য়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার পরিমল বড়–য়া, ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অব:) সুদত্ত বড়–য়া, সমাজসেবক ডা: অজিত কুমার ধর, সমাজসেবক ডা: রতœদর্শী বড়–য়া, ভালুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক নাজির হোসাইন, কির্তনীয়া বিমল বড়–য়া।
সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশ জাতির পিতার স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠছে আজ। সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আজকের এই অনুষ্ঠানই উদাহরণ হিসেবে অন্যতম। যেখানে বাংলার হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকলের একই মায়ের সন্তানের মতো বসবাস করছি।
এনজিএস সিমেন্টের সহযোগিতায় পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভালুকিয়া বৌদ্ধ ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত বড়–য়া। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী রুবেল উদ্দিন, ত্রিপিঠক থেকে পাঠ করেন জ্যোতি শরণ ভিক্ষু।