মঙ্গলবার ● ১০ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কালীগঞ্জে কৃষকের ১০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই
কালীগঞ্জে কৃষকের ১০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: চোখের সামনে পানের বরজে জ¦লছে আগুন। পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে মাঠ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শালিখা গ্রামের মাঠে কৃষকের প্রায় ১০ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এঘটনা ঘটে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শালিখা গ্রামের কৃষক ইমান আলীর আখ ক্ষেতে শুকনো পাতা পোড়ানোর কাজ করছিল এলাকার শ্রমিকরা। এসময় এই আগুন ছড়িয়ে পানের বরজে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশে পাশে থাকা পানের বরজে। শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই প্রায় ১০ বিঘা জমির পান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় শালিখা গ্রামের খোকন আলী, ইমরান হোসেন, নয়ন হোসেন, শিব দত্ত, আজু হোসেন, ইমান আলী, রতন হোসেন ও বাকের আলী সহ দশজন কৃষকের প্রায় ১০ বিঘা জমিতে আগুন লেগে পুড়ে যায়। এতে কৃষকের প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার পরে এলাকার নারী পুরুষ অনেকেই ছুটে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে কিন্তু তারা আগুন নিভাতে ব্যার্থ হয়। ফলে ১০ বিঘার পানের বরজ পুড়ে শেষ হয়। শালিকা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ পান বরজের চাষ করে জিবিকা নির্বাহ করে। আবার কেউ বলেছে সিগারেটের আগুন থেকে ঘটনার সুত্রপাত ঘটতে পারে। শালিখা গ্রামের কৃষক খোকন আলী জানান, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ১৬ শতক জমিতে পানের বরজ করেছিলেন। এটাই তার পরিবারের আয়-উপর্জনের একমাত্র পথ। গত বছরও আগুন লেগে তার পানের বরজ পুড়ে যায়। তার পানের বরজটি পুড়ে যাওয়ায় জমির পাশেই বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, নিয়ামত ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ রনি লস্কার কালীগঞ্জ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শামছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। কৃষকের প্রায় ১০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। জমির পাশের আখ ক্ষেতের শুকনো পাতা পোড়ানো থেকে এ আগুনের সুত্রপাত বলে জানা গেছে।
ইতালী থেকে ঝিনাইদহে ফেরা দম্পতির ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে
ঝিনাইদহ :: ইতালী থেকে দেশে ফিরেই ঝিনাইদহের এক দম্পত্তি ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের নিয়ে শহরে রীতিমতো হৈচৈ কান্ড ঘটে যায়। এদিকে শহরের হামদহ খোন্দকার পাড়ার এক কাস্টম কর্মকর্তার ছেলেও বাড়ি ফিরে শহরে চলাফেরা করে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরী সভা করেছে মঙ্গলবার। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম এ খবর জানান। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মাষ্টার পাড়ায় ইতালী ফেরৎ এক দম্পত্তি ঝিনাইদহে ফিরে শহরে মার্কেট করতে বের হয়। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগমকে জানানো হয়। সিভিল সার্জন ওই বাড়িতে স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠিয়ে দেন। সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল কুমার বিশ্বাস বেলা ১১টার দিকে তাদের বাড়ি গিয়ে দেখেন তারা মার্কেট করতে বের হয়েছেন। খবর দিয়ে বাড়ি এনে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা সিন্ধান্ত জানান। তবে তাদের কাছে ইতালি স্বাস্থ্য বিভাগের হেলথ কার্ড আছে। তারা করোনা ভাইরাস মুক্ত বলে ইতালী স্বাস্থ্য বিভাগ সনদ দিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, গত ৭ মার্চ কামাল-সোনালী দম্পত্তি ইতালী থেকে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে তারা চলে যান স্বামীর বাড়ি যশোরের চৌগাছা শহরে। সেখান থেকে সোমবার রাত ৯টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মাস্টার পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে এসে কেনা কাটার জন্য তারা ঝিনাইদহ শহরে বেরিয়ে পড়েন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষন তাদের মধ্যে নেই। তারা করোনা ভাইরাস মুক্ত বলে ইতালী সরকারের হেলথ কার্ড রয়েছে। তারপরও অধিক সতর্কতা অবলম্বনের জন্য তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে বিকাল পর্যন্ত হামদহ খোন্দকার পাড়ার এক কাস্টম কর্মকর্তার ছেলের বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জণ ডাঃ সেলিনা বেগম, করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন আতংকিত না হয়ে সচেতনতার মাধ্যমে আমরা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছি। এ জন্য পরিত্যক্ত ঝিনাইদহ পুরাতন হাসপাতাল এলাকার খাবার স্যালাইন ফ্যক্টরি, বাস টার্মিনাল এলাকার শিশু হাসপাতাল ও শহরের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, সচেতনতা বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরকে নিজ বাসায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, লক্ষন দেখা গেলেই কেবল স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের তত্বাবধানে রোগীদের নেওয়া হবে। তবে এটা নিজেদের বাসাতে করলেই রোগাক্রান্তদের জন্য ভাল হবে বলে তিনি জানান। তিনি ইতালী ফেরত ওই দম্পত্তির খবর শোনা মাত্রই তাদের বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে দেন বলে জানান। তিনি এও জানান হামদহ খোন্দকার পাড়ার এক কাস্টম কর্মকর্তার ছেলের বিষয়েও তথ্য নিতে তাদের বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকরা জানান, বিদেশ ফেরতদের কাছে করোনা মুক্ত সনদ থাকলেও তারা ঝুকি মুক্ত নয়। কারণ তারা তো অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন। সরকারের উচিৎ বিমান বন্দর থেকেই কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া উচিৎ। কিন্তু বিমান বন্দর থেকে কেবল তাদের মোবাইল ফোন নাম্বার রেখে ১৪ দিন বাসায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হলেও প্রবাসিরা যুক্কি, অজুহাত আর কাজ দেখিয়ে নিজ নিজ শহর বা গ্রামের পাবলিক প্লেসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
কোটচাঁদপুরে জামিনে বাড়ী এসে সাক্ষির বাড়ী ঘরে দিল আগুন
ঝিনাইদহ :: জামিনে বাড়ী এসে সাক্ষির বাড়ী ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিনগত গভীর রাতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামে। বলাবাড়ীয়া গ্রামের কাহার পাড়ার ভূক্তভোগী সাইদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন ও আবাদ আলীর ছেলে সেলিম রেজা অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে রাতে পাড়ার একটি মেয়ের ঘরে ডুকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় একই পাড়ার গোলাম মোস্তফা কাহারের ছেলে মতিয়ার রহমান কালু। মেয়েটির আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে কালু পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়। পরবর্তীতে মতিয়ার রহমান কালু আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। রবিবার কালু জামিনে বের হয়ে এসে সাক্ষিদের দেখে নেয়ার হুমকী দেয়। কালু এলাকায় সন্ত্রাসী ও পুলিশের সোর্স হিসাবে পরিচিত। সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে মতিয়ার রহমান তার বাহিনীর সদস্যের পাঠিয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার সাক্ষী নাজমুলের রান্নাঘর ও গরুর গোয়াল এবং অপর সাক্ষী সেলিম রেজার বিচলী গাদাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় নাজমুল গরুর খাবার দেয়ার জন্য বাইরে বের হলে রনক আলীর ছেলে আনোয়ার, মজনু কাহারের ছেলে রাসেল, মুজিবর কাহারের ছেলে হাফি কাহার, আরশেদ আলীর দুই ছেলে আরিফ ও নয়নকে আগুন দিতে দেখে বলে নাজমুল দাবী করে। এসময় তাদের হাতে ধারালো দা, রড ও লাঠি ছিলো বলে জানায়। ভূক্তভোগী নাজমুল অরো বলেন, তাদের হাতে এমন ধারালো অস্ত্র দেখে সে বাড়ী পিছন দিক থেকে দোড় দিয়ে আত্মচিৎকার করতে থাকে। এসময় ওই সকল সন্ত্রাসীরা তার শোবার ঘরে ঢুকে নগদ সাড়ে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। নাজমুলের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা তড়িৎ আগুন নেভায়। আগুলে বিচলী গাদা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। রান্না ঘর ও গোয়াল ঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আগুনে একটি গরুর বাছুর সামান্য দগ্ধ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ভুক্তভোগী নাজমূল বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান কালুর বড় ভাবী বেগম বলেন, আবারো কালুকে জেলে ঢুকানোর জন্য ওরা নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে কালুর দোষ দিচ্ছে।
এব্যাপারে ওই এলাকার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান বলেন, রাতে ঘর ও বিচলী গাদায় আগুন ধরে যাওয়ার কথাটি সত্য। তবে কি ভাবে আগুন ধরলো বা কারা ধরালো বুঝতে পারছিনা। ওখানে দুটি পক্ষ একে অপরের দোষারপ করছে। তবে ঘটনাটি যাই হোক না কেন কেউ দোষী হলে তার শাস্তি হওয়া উচিত। কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ওখানে দুটি পক্ষ রয়েছে তাদের গোলযোগ লেগেই থাকে। উভয়কে শান্ত থাকতে বলেছি। বিষয়টি নিয়ে ইতি মধ্যেই তদন্ত চলছে। তদন্ত অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালীগঞ্জে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় মোটর সাইকেলের ধাক্কায় এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মিন্টু উল্লাহ (৪০)। সোমবার রাতে উপজেলার বলিদাপাড়া এলাকার সুগার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিন্টু উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত মফিজ উল্লাহ ছেলে। বাইসাইকেল চালিয়ে কালীগঞ্জ শহর থেকে বাজার করে পুকুরিয়ার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন মিন্টু। পথিমধ্যে সুগার মিলের সামনে পৌঁছলে দ্রুত গতিতে একটি মোটর সাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি রাস্তার পাশে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌঁছলে তিনি মারা যান। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ঢাকায় নেয়ার পথে মিন্টু মারা যান।
শিক্ষা সফরে পদ্মা নদীতে নেমে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ছাত্র মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: কুষ্টিয়ার শিলাইদহে শিক্ষা সফরে গিয়ে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে আবির হাসান (১৮) নামে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ী সংলগ্ন পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তিনি নিখোঁজ হন। পরে রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার অমিয় কুমার বিশ্বাস ও ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ইতিহাসের শিক্ষক জিয়াউর রহমান তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবির হাসান ঝিনাইদহ জেলার কোর্টচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুর গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক ‘ক’ শাখার ছাত্র ছিলেন। জিয়াউর রহমান বলেন, সোমবার কলেজ থেকে ১৩১ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক শিক্ষা সফরে শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীতে যান। দুপুরে পদ্মার চরে কয়েকজন শিক্ষার্থী ফুটবল খেলা শেষে নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় তাদের মধ্যে আবির হাসান নদীতে ডুবে যান। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাল টেনে এবং ডুব দিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে খুলনা থেকে ডুবুরি দলের সদস্যরা এলে রাত ৯টার দিকে আবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে আবিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শৈলকুপায় পর্নোগ্রাফী মামলা তুলে না নেওয়ায় মামলার বাদী রাবেয়া খাতুনের উপর হামলার অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পর্নোগ্রাফী মামলা তুলে না নেওয়ায় মামলার বাদী রাবেয়া খাতুনের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাবেয়া খাতুন চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের ইনসান আলীর স্ত্রী ও একই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র গ্রামে তার উপর হামলা হয়। এ সময় পিপিলা খাতুন নামে আরো এক মহিলা আহত হয়। আহতদের শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রাবেয়া খাতুনের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তার মেয়ে রাবেয়ার সাথে চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে ইনসান আলীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই সে সিঙ্গাপুর চলে যায়। ইনসান সিঙ্গাপুর থাকায় তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের ছেলে ইউনুচ আলী রাবেয়াকে বাবার বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ইউনুচ ও তার সহযোগীরা তার মেয়ের কিছু ছবি কম্পিউটারাইজড করে গ্রামের গাছে গাছে ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গত বছরের ৯ মে শৈলকুপা থানায় রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে ইউনুচসহ কয়েক ব্যক্তির নামে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করেন। এ মামলা তুলে নিতে সোমবার সকালে আব্দুর রশিদ, ইউনুচ, আজিজসহ কয়েক ব্যক্তি তার মেয়ের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এদিকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, রাবেয় তার ছোট ভায়ের স্ত্রী। বেশ কিছুদিন আগে রাবেয়া তার ছেলের নামে ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তুলে নিতে তার উপর কোন হামলা হয়নি। শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান ধলহরাচন্দ্র গ্রামে দু-দল গ্রামবাসির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে রাবেয়া কি কারণে আহত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।