মঙ্গলবার ● ১০ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে রাতের আধাঁরে ব্যবসায়ীর পরিবারের উপর হামলা : আহত-৮,আটক-১
বিশ্বনাথে রাতের আধাঁরে ব্যবসায়ীর পরিবারের উপর হামলা : আহত-৮,আটক-১
স্টাফ রিপোর্টার :: দোকান বাকীর টাকা চাওয়ায় সিলেটের বিশ্বনাথে রাতের আধাঁরে দেশী-বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের ঘটনাটি ঘটে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে।
হামলায় বিশ্বনাথ পুরাণ বাজারের ‘লতিফিয়া ভেরাইটিজ স্টোরের’ সত্ত্বাধিকারী ও পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের ফয়সল আহমদ (৩০), ব্যবসায়ীর পিতা সিরাজ মিয়া (৬৫), মাতা পিয়ারা বেগম (৪৩), ভাই রাসেল আহমদ (২৭) ও রুবেল আহমদ (২৪) গুরুত্বর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং ব্যবসায়ীর প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত রশিদ আলীর পুত্র কছির আলী (৩৩), ফরমান আলীর পুত্র রুমন মিয়া (২৬), সাজন মিয়া (২৩) আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাতের আধাঁরে ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদের পিতা সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৮ (তাং ১০.০৩.২০ইং)। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের ফরমান আলীর পুত্র রাজু আহমদ (২২)’কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কছির আলীর কাছে দীর্ঘদিনের দোকান বাকী বাবদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা পান ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদ। পাওয়া টাকা পরিশোধ করার জন্য ফয়সল একাধিকবার কছির আলীকে অনুরোধ করার পরও কছির পাওনা টাকা পরিশোধ করেন নি। উল্টো সোমবার রাতে মুঠোফোনে ব্যবসায়ী ফয়সলকে হুমকি-ধামকি দেন কছির আলী। হুমকি দেওয়ার পর বাকবিতন্ডার জের ধরে রাতের আধাঁরে দেশী-বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কছির আলী নিজের বোনের স্বামী ফরমান আলী, ভাগ্না আহমদ আলী, রুমন মিয়া, রাজু আহমদ, সাজন মিয়া, সুমন আহমদ, চাচাত ভাই রাহিম উদ্দিনসহ ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে তার (ব্যবসায়ী) মুঠোফোনে কল দিয়ে পাওনা টাকা নেওয়ার কথা বলে ফয়সলের পরিবারের সদস্যদেরকে ঘরের বাইরের বের এনে তাদের উপর হামলা করে। কছির আলী গংরা ব্যবসায়ীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যকে রক্তাক্ত করে বাড়ির রাস্তায় ফেলে রেখে নিজেদের গন্তব্যে চলে যায়। এরপর ব্যবসায়ীর আতœীয়-স্বজনরা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কছির আলীর বলেন, ফয়সল আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা পায়, আর আমি তার কাছে ৩০ হাজার টাকা পাই। এনিয়ে সোমবার রাতে মুঠোফোনে আমাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়, এর কিছুক্ষণ পর আমি আমার বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথিমধ্যে তারা আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। আমাকে রক্ষা করতে আমার ভাগ্নারা এগিয়ে এসে তাদেরতে প্রতিহত করেছে।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে শামীম মুসা বলেন, এঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।