সোমবার ● ১৬ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ
করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সভায় ‘ব্লেইম গেম’ এর রাজনীতি পরিহার করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন মোকাবেলায় সর্বাত্মক ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। বৈশ্বিক এই মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশে কোন পর্যায়েই সমন্বয়হীনতা ও শিথিলতা প্রদর্শনের কোন সুযোগ নেই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা দরকার। পাশাপাশি চীন, জাপান, কিউবা’র অভিজ্ঞাসমূহও কাজে লাগানো দরকার। সভার প্রস্তাবে অনতিবিলম্বে দেশের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণার আহ্বান জানান পার্টির নেতৃবৃন্দ।
১৫ মার্চ নিউ ইস্কাটনে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের বাসায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ আহবান জানানো হয়।
সভার প্রস্তাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ও গুজবের ব্যাপারেও জনগণকে ব্যাপকভাবে সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়। সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি ছাত্র ও যুব সমাজকে এই ব্যাপারে গণউদ্যোগ সৃষ্টির জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
সভায় পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, আলোকচিত্রী-সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের এখনও উদ্ধার না হওয়া, কুড়িগ্রামে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে তুলে এনে মারধর ও দন্ডাদেশের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয় এবং অনতিবিলম্বে আলোকচিত্রী কাজলের নিরাপদ উদ্ধার, মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের মুক্তি দাবি করা হয়।
এসময় নিপীড়নের হাতিয়ার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির সমন্বিত ও যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করার ডাক দেয়া হয়।
সভার শুরুতে বাম জোটের নেতা কমরেড আজিজুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাঁর সংগ্রামী স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়।