শুক্রবার ● ২৭ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » পূর্ব বিরুধের জের ধরে বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১০ : পাল্টা হামলার অভিযোগ
পূর্ব বিরুধের জের ধরে বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১০ : পাল্টা হামলার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :: বিশ্বনাথে মাজার নিয়ে সৃষ্ট পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ শে মার্চ) উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের পিঠাকরা গ্রামে হযরত শাহ্ সুনামদি (রহ.)’সহ তিন ওলির মাজারের খাদেম আখতার হোসেন ও তার প্রতিপক্ষ ইলিয়াস আলী আল হুমাইদি পক্ষের লোকজনদের মধ্যে। এতে ১০জন লোক আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের আহতরা হলেন- আখতার হোসেন (৩৫), দুদু মিয়া (৪০), জামাল মিয়া (২০), গিয়াস উদ্দিন (২৬), সিরাজ মিয়া (৪০), ইলিয়াস আলী আল হুমাইদি (৪৫) আলকাছ আলী (৫০), সুহেল মিয়া (৩৭), বেগম বাহার (৩৮) ও ইমরানা বেগম (১৮)। গুরুত্বর আহতদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিঠাকরা গ্রামে হযরত শাহ্ সুনামদি (রহ.)’সহ তিন ওলির মাজারের দখল নিয়ে বর্তমান মোতায়াল্লী আখতার হোসেন ও মালিকানা দাবিদার ইলিয়াস আলী আল-হুমাইদি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে রয়েছে মামলা মোকদ্দমা। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে হুমাইদি সহ ৫জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করনে আখতার হোসেন। ওই মামলায় ৫৭ দিন হাজতবাস শেষে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান হুমাইদি। এসব ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাজারের সমানের রাস্তায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন উভয় পক্ষের লোকজন। তবে হামলার পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছেন উভয় পক্ষ। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আখতার হোসেন বলেন, আমি বৃহস্পতিবার বিকেলে ইলিয়াস আলী আল হুমাইদির বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে তারা (হুমাইদি সহ তার পক্ষের লোকজন) আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় আমাকে রক্ষার জন্য প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। এতে আমিসহ ৫জন আহত হয়েছি। চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার বাদি হওয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে, আখতার হোসেন পক্ষের লোকজনদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ করে ইলিয়াস আলী আল হুমাইদি বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল হওয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে আমি ও আমার পরিবারের উপর হামলা করেন আখতার হোসেনসহ তার পক্ষের লোকজন। এতে তিনিসহ তার পক্ষের ৫জন লোক আহত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।