রবিবার ● ২৯ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » সমাজিক দূরত্ব কার্যকর হচ্ছে না গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে
সমাজিক দূরত্ব কার্যকর হচ্ছে না গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: করোনা ভাইরাস থেকে কমিউনিটিকে রক্ষার একমাত্র কৌশল সামাজিক দুরত্ব সৃষ্টি করা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে সুরক্ষার জন্য সামাজিক যোগাযোগ, ঘনিষ্ট মেলামেশা, বাড়িতে অবস্থান, গণ পরিবহনে একত্রিত হয়ে যাতায়াত এবং সরকার লক ডাউন ঘোষণাসহ ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু শহর এলাকা জনশূন্য পরিবেশ সৃষ্টি হলেও গ্রাম এলাকায় সামাজিক দুরত্ব মেনে চলছে না অনেকে।
গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলার বাজারে এমন দৃশ্য দেখা যায়। সেখানকার তরিতরকারি ও মাছ মাংসের দোকানে মানুষের অতিরিক্ত ভীড় ও গায়ের সাথে গা লাগিয়ে ঠাসাঠাসি করে লোকজনকে বাজার করতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষকে মাক্স ছাড়াই চলাচল করতে দেখা যায়।
অনেকে আবার করোনা ভাইরাসের সচেতনতা সম্পর্কে জানলেও কোন সতর্কতা অবলম্বন না করেই মাক্স ও হ্যান্ডস গ্লোবস ছাড়াই চলাচল করছেন। চায়ের দোকান খোলা রাখা ও সেখানে বসে খাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও গ্রামের এসব হাট বাজারে তা কার্যকর হচ্ছে না।
জেলা শহরের ব্রীজ রোড থেকে দারিয়াপুর-লক্ষ্মীপুর, জেলা পরিষদের সম্মুখ থেকে নাকাইহাট সড়ক, বড় মসজিদের সম্মুখ থেকে বাদিয়াখালি, সাঘাটা, ফুলছড়ি, পুরাতন বাজারের গেট থেকে বালাসিঘাট-মদনেরপাড়া-কালিরবাজার সড়কে অটোবাইক, অটোরিক্সা, মিনি ট্রাক ও বড় ট্রাক অবাধে যাতায়াত করছে। এ সমস্ত যানবাহনে গায়ের সাথে গা লাগিয়ে ভীড়ে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করছে মানুষ। অথচ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একজন মানুষের থেকে আরেকজন মানুষের দূরত্ব ৩ ফিট থাকার কথা। এমনকি দোকানে কেনাকাটা করতে গেলেও ৩ ফিট দূরত্বে লাইন করে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে সরকারি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত সড়কগুলোতে অবাধে চলাচলকারি গণ পরিবহনগুলোতে সেই নিয়ম একেবারেই মানা হচ্ছে না। এতে এই জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
বাড়িতে থাকার জন্য বলা হলেও নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসায়িরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্ধেক খোলা রেখে দোকানের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছে এবং চোরাগুপ্তা বেচাকেনাও করছে। এ অবস্থা জেলা শহরের স্টেশন রোড ও সান্দারপট্টিসহ অন্যান্য এলাকাগুলোতেও পরিলক্ষিত হয়। গ্রামগঞ্জের হাটবাজার ও মোড়গুলোতে এক সাথে বসে আড্ডা দেয়া ও চা খাওয়ার প্রবণতা সর্বাধিক। ফলে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদাড়ি একান্ত অপরিহার্য বলে পথচারিরা জানালেন।
গাইবান্ধায় ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পৌর ছাত্রলীগের এক নেতার বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়া এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই যুবকের নাম হাসানুর রহমান (২৭)। সে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার পূর্বফুলমতি গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে। এবং সে গ্লোব ফার্মাসিটিক্যালের বিক্রয় প্রতিনিধি।
রোববার দুপুরে পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাইদুল ইসলামসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া যুবক ঘরের দরজা-জানালা না খোলায় প্রতিবেশির সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা ওই যুবককে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। নিহত ওই যুবকের আলামত সংগ্রহ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক ও পৌর ছাত্রলীগ সভাপতিসহ চার জন প্রতিবেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।