বুধবার ● ১ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্শ্ববর্তী চাকমা পল্লীতে অগ্নিকান্ডে লার্নিং সেন্টারসহ ৩০ ঘর পুড়ে ছাই
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্শ্ববর্তী চাকমা পল্লীতে অগ্নিকান্ডে লার্নিং সেন্টারসহ ৩০ ঘর পুড়ে ছাই
পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পাশ্বর্বতী চাকমা পল্লীতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে লার্নিং সেন্টারসহ ৩০টি ঘর। এ ঘটনায় তিন জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও রোহিঙ্গারা জানান, বুধবার দুপুরে হোয়াইক্যং পুটিনবিনয়া রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিম ব্লকে হঠাৎ করে একটি লার্নিং সেন্টার থেকে আগুন লাগে। এরপর আগুন একটি ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘরগুলো একটার সঙ্গে একটা লাগোয়াভাবে তৈরি করায় মুহূর্তে সব ঘরে আগুন লেগে যায়। ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ঘরগুলো পুড়ে যায়। এ সময় আটটি লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গা শিবিরের ১৫টি ঘরসহ ৩০টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হোয়াইক্যং চাকমারকূল রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা মো. জাবের বলেন, হঠাৎ করে আগুন ধরে ক্যাম্পের স্কুলসহ ৩০টি মতো ঘরে পুড়ে গেছে। তার মধ্যে স্থানীয়দের কয়েকটি ঘরও রয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রোহিঙ্গাদের লার্নিং সেন্টারসহ বেশকিছু ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু স্থানীয় পল্লী চাকমাদের ঘরও রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
নিজে কাঁধে নিয়ে জীবাণুনাশক পানি ছিটিয়েছে শাহজাহান মেম্বার
উখিয়া :: করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতার পাশাপাশি পানিবর্তী মেশিন কাঁধে পুরো ওয়ার্ডের বাড়ি ঘরে গিয়ে জীবাণুনাশক পানি ছিটাচ্ছেন শাহজাহান চৌধুরী। তিনি উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ৭নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য। দুইদিনের এ কর্মসূচী শেষ হয়েছে আজ।
১ এপ্রিল বিকেলে বিশ্ব মহামারি করোনা দূর্যোগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে জীবাণুনাশক কর্মসূচীতে ২৪জন যুবকের অংশগ্রহণে রুমখাঁ হাতির ঘোনা, ক্লাশপাড়া, বড়বিল সহ পুরো ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতি বাড়ি আঙ্গিনায় ও রাস্তাঘাটে ক্লোরিন, ব্লিচিং পাউডার ও বিশেষ সলিউশন মিশিয়ে ছিটানো হয় বলে জানিয়েছেন শাহজাহান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, কেমেষ্ট্রিতে মাষ্টার্স করা এই যুবক বাবা পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেম এর মতো এলাকাবাসীন ভালোবাসায় তরুণ বয়সে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে দিনরাত মানুষের কল্যাণে ছুটে বেড়াচ্ছে এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।