রবিবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে বিস্ফোরক ৩টি মামলার আসামী উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় :কোরাম সংকট
বিশ্বনাথে বিস্ফোরক ৩টি মামলার আসামী উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় :কোরাম সংকট
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৩১ জানুয়ারী ২০১৬,বাংলাদেশ,সময় রাত ৮.৩০মিঃ)
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় পুলিশী বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে ‘বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে’ দায়ের করা একটি মামলার প্রধান তিন আসামী উপস্থিত হন৷ কোরাম সংকঠনের কারণে প্রায় দশ মিনিটের মধ্যে সভা শেষ করে উপজেলা পরিষদ এলাকা ত্যাগ করেন পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী৷ সভা শুরুর পূর্বে পরিষদের মিলনায়ন ঘিরেই পুলিশের অবস্থান থাকলেও, সভা শুরুর সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ এলাকার গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় থানা পুলিশ৷
‘বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে’ দায়ের করা মামলার অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিলু মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সিও গোলাম কিবরিয়া৷ গত বছরের ১২ ডিসেম্বর উপজেলার জানাইয়া গ্রামের জিতু মিয়া বাদি হয়ে তাঁদেরকে (যথাক্রমে ১নং, ২নং, ৩নং) অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি দায়ের করে ছিলেন৷ মামলা নং ৯ (তাং ১২/১২/২০১৫ইংরেজি)৷
রোববার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিষদের ১৪ সদস্যের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ মাত্র ৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷ কোরাম সংকঠ দেখা দেওয়া সভাটি মুলতবি ঘোষণা করা হয়৷ এতে সভায় উপস্থিত অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান লিলু মিয়া, দেওকলস ইউপি চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া, সংরৰিত আসনে মহিলা সদস্যা নূরুন্নাহার ইয়াসমিন, নাজমা বেগম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আসাদুল হক, কৃষি কর্মকর্তা আলীনুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম সরকার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়েমান হোসাইনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা৷
অন্যদিকে সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ-নুর উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম স্বপ্না শাহিন, বিশ্বনাথ সদর ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, লামাকাজী ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, খাজাঞ্চী ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, রামাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার খান, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস আলী, দশঘর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুর রহমান ছাতির৷
সভায় উপজেলা পরিষদের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে কোরাম সংকঠ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আসাদুল হক৷
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম স্বপ্না শাহিন বলেন, গত ২৬ নভেম্বর চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যান সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার সময় আমি ছিলাম অসহায়৷ পরবর্তিতেও কেউ আমার কোন খবর নেননি৷ আজ (রোববার) যদি আবার তাঁরা সংঘর্ষে লিপ্ত হতেন তবে আমাকে কে নিরাপত্তা দিত৷ নিরাপত্তার অভাবের কারণেই আমি সভায় উপস্থিত হইনি৷
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ-নুর উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি অভিযোগ থাকায় আমি সভায় উপস্থিত হইনি৷ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যানের সিও’র বিরুদ্ধে থানায় একই ধরনের অভিযোগ থাকার পরও কিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা পুলিশের পাহাড়ায় সভা হয় তা আমি জানিনা৷ আর বুঝতেও পারছি না এটাকি আইনের বৈধ কোন পন্থায় পড়ে কিনা৷
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই তোফাজ্জুল হোসেন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর উপর দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জানুয়ারী থানা থেকে মামলাটির ফাইনাল রির্পোট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে৷