শনিবার ● ১১ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » স্যালুট জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ
স্যালুট জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: ভ্রাম্যমান আদালতেরবর্তমান নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আপনার বিরামহীন যুদ্ধ বাগেরহাটবাসীর হৃদয় কেড়েছে। মহামারি ভাইরাসের ছোবল থেকে আমাদেরকে বাঁচাতে আপনার প্রাণপণ চেষ্টা আমাদেরকে মূগ্ধ করেছে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আপনার অতন্দ্র পাহারায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। আপনি আমাদের তথা দেশ ও জাতির গৌরব। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ্যতাসহ দীর্ঘায়ু দান করবেন এই কামনা তার কাছে।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা। জনসেবার অনন্য নজির তৈরী হচ্ছে এ করোনা পরিস্থিতিতে। এমনকি বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদকে রবিবার দেখা গেছে খাদ্য সামগ্রীর বস্তা কাঁধে নিয়ে দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি ছুটতে। অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও অনুসরন করছেন তাকে।বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের ঘরে থাকা নির্দেশ অমান্য করে অকারণে যানবাহন চালানো ও ঘর থেকে বাহির হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা দায়ের ও ৫.৯০০/-টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।আপরবাগেরহাটে প্রবেশ দ্বার খুলনা-গোপালগঞ্জ-মাওয়া মহাসড়কে মোল্লাহাটের আবুল খায়ের সেতুর টোল প্লাজায় চেকপোষ্ট বসিয়েছে প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বা মহামারি হতে রক্ষার লক্ষে এ চেকপোষ্ট পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দ্য মন্ডল। প্রথম দিনে জরিমানা আদায় ২২৫০০ টাকাজরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।এর মাধ্যমে এই জেলা/এলাকা হতে অন্য কোন জেলা বা এলাকায় যাতায়াত যেমন বন্ধ করা হয়েছে, একই সাথে অন্য কোন এলাকার মানুষজন/যান-বাহন ও সকল প্রকার চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কেবলমমাত্র জরুরী খাদ্যদ্রব্য, রোগীবহণকারী অ্যাম্বুলেন্স ও সাংবাদিকদের বাহনসহ জরুরী সেবায় সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ নেই এমন ছাড়া সকল প্রকার চলাচলে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৮টি যানবাহন ও ব্যক্তির থেকে বাইশ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আদায় করাসহ অনেক যানবাহন ও মানুষজনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রথমদিনে পরিচালিত ওই চেক পোষ্ট পরিদর্শন করেন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ। এসময় তিনি বলেন,করোনা রোধে সরকারী নিয়ম-কানুন পরিচালনার মাধ্যমে অতীব জরুরী ছাড়া সকল প্রকার চলাচল বন্ধ করে সকলকে ঘরে রাখতে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কেটে গেলে এ চেকপোস্ট রাখা হবে না।
শুক্রবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত কাটাখালী বাসষ্ঠান্ডে ভ্রাম্যমান আদালতে এই মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায় করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী হাকিম রহিমা সুলতানা বুশরা।
এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে টাউন-নওয়াপাড়া মোড় এলাকায় অনুরুপ চেকপোষ্ট বসিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মোঃ আজিজুল ইসলাম। এসময় জেলা পুলিশ ও কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা আদালতকে সহযোগীতা করেন।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিতে দেখা গেছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.কামরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন, মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফিরোজুল ইসলামসহ পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম পর্যায়ে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বাগেরহাট জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।