রবিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে দলে দলে মাথা ন্যাড়া হওয়ার হিড়িক পড়ছে
রাউজানে দলে দলে মাথা ন্যাড়া হওয়ার হিড়িক পড়ছে
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: দেশে যখন করোনাভাইরাস এর আঘাত হানে। তখনি সারাদেশে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিস-আদালত রন্ধ করে দাওয়া। যাতে এর বিস্তার ব্যাপক হারে না ঘটে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ছুটি পেয়ে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ দলে দলে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়ছে। শুধু রাউজান উপজেলা নয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের প্রায় উপজেলায় মাথা ন্যাড়া হওয়ার হিড়িক পড়তে শুরু হয়ে পড়ছে। নিজ নিজ মাথা ন্যাড়া করার পড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি ফেইসবুকে আপলোড করে নানা অনুভূতি প্রকাশ করছেন। এবিষয়ে একাধিক মানুষের সাথে কথা হলে তাঁরা জানান, সরকারি নির্দেশনায় দেশের প্রায় সকল দোকান বন্ধ করা হয়েছে। তাঁর মধ্যে মানুষের অন্যতম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সেলুনও বন্ধ করা হয়েছে। সেলুন বন্ধ হওয়াতে মানুষ বেশিরভাগই বিপাকে পড়ছে। তাই সবাই দলে দলে গ্রামে ও বাসায় বসে মাথা ন্যাড়া করে ফেলছেন। অনেকে তাঁর ফেইসবুকে লেখছেন মাথা ন্যাড়া করার পর পৃথিবীর সমস্ত স্বস্তি নতুন করে খুঁজে পেয়েছি। আবার অনেকে চট্টগ্রামের ভাষায় বলছেন “ডাব্বো হলে কি পরিমান শান্তি তা আগে বুঝিনি, আহা কি শান্তি ।
রাউজানে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্য বাজার
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে এলাকার তরুণ শিক্ষার্থীদের ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ সামাজের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা চিন্তা করে অস্থায়ী বাজার খুলে মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন বিনামূল্যে নানা রকম সবজিসহ অন্যান নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য। আজ রবিবার সকাল থেকে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের পরীজান স্কুলের মাঠে এসব ফ্রি খাদ্য পন্য বিতরণ করা হয়। জানা গেছে, এলাকাবাসী ও এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ নেন। এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তারা বলেন , ত্রাণ দিয়ে আমরা কোন মানুষকে ছোট করতে চাই তাই আমরা কারো ছবি না উঠিয়ে এসব ত্রাণ বিতরণ করছি। এ ফ্রি বাজার ব্যবস্থার সার্বিক সহযোগিতা করেন, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল সালাম, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, যুবলীগনেতা নজরুল ইসলাম, মো:ইমন মো: রুকন, গিয়াস উদ্দিন শাকিল, জুয়েল, নজরুল তালুকদার, আবিত, মুন্না, রফিক, কুতুবসহ প্রমূখ।
রাউজানে অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
রাউজান :: দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর রাউজানে অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ। কয়েকটি খোলা থাকলেও সেখানে ডাক্তার আসে না। রোগীর প্যাথলজিক পরীক্ষার রিপোর্ট ঠিক সময়ে দিতে পারে না ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো। এই অবস্থায় প্রতিদিন রোগীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। এলাকার মানুষের অভিযোগ পেয়ে রাউজান সদর জলিল নগর বাস ষ্টেশন এলাকায় অবস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। পরিদর্শনের শুরুতে তিনি ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখেন রোগ নিরাময় কেন্দ্রটি তালাবন্ধ। এরপর মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও লাইফ কেয়ারে গিয়েও তালাবন্ধ অবস্থায় দেখে তিনি যান রাউজান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেইটি খোলা থাকলেও নেই কোন ডাক্তার। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন একজন রোগী। রোগী জানান, গত এক সাপ্তাহ ধরে ঘুরছেন পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য। তারা বার বার সময় নিয়েও ঠিক সময়ে রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্যানেল মেয়র ধর্য্যসহকারে অভিযোগ শুনেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। প্যানেল মেয়র পরে সুপার ল্যাব নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মনিটরিং করেন। এখানে কয়েকজন ডাক্তার নিয়মিত আসলেও বেশিভাগ ডাক্তার চেম্বার করেন না বলে জানা গেছে। সুপার ল্যাবের মালিক অাবু জাফর জানান, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা সার্বক্ষণিক খোলা রেখে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে জমির উদ্দিন পারভেজ জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো পরিদর্শন করে আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা তাদের বলেছি এখন করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। সার্বক্ষণিক ডাক্তারদের সেবা দিতে হবে।