মঙ্গলবার ● ১৪ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » কমলগঞ্জের পৌর সবজি বাজার রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় স্থানান্তরিত
কমলগঞ্জের পৌর সবজি বাজার রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় স্থানান্তরিত
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: দেশের গ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ হাট-বাজার সংকীর্ন স্থানে অবস্থিত, ফলে হাট-বাজারে অবস্থানরত ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি থেকে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় গ্রামীন হাট বাজারগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাগনের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্রয় বিক্রয় করা প্রয়োজন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে গ্রামীন কাঁচা বাজারগুলো তুলনামূলক ভাবে খোলা স্থানে স্থানান্তর করা হলে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাস হ্রাসকল্পে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করার লক্ষে কমলগঞ্জ পৌর বাজারের সবজি ও মাছের বাজার আগামিকাল মঙ্গলবার(১৪এপ্রিল) রেলওয়েস্টেশন এলাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।
মোমবার (১৩এপ্রিল) কমলগঞ্জের পৌর বাজারে গিয়ে জায়গা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশেকুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আছলম ইকবাল মিলন, সাধারন সম্পাদক এড. এ এস এম আজাদুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ হেলাল উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার হোসেন, পৌর বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক এড. মোঃ সানোয়ার হোসেন সহ ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বিকেল থেকে মৌলভীবাজার জেলা লকডাউন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মৌলভীবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার ১৩ এপ্রিল সকালে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেল ৫টা থেকে তা কার্যকর হবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনা প্রতিরোধে মৌলভীবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে কেউ মৌলভীবাজারে প্রবেশ এবং মৌলভীবাজার থেকে বের হতে পারবেন না। তবে জরুরি পরিসেবা এর আওতা মুক্ত থাকবে।
বালাগঞ্জে জনসমাগম করে কালভার্টের ঢালাই
সৈয়দ সুমন মিয়া ::”করোনা” ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের ফলে সারা বিশ্ব এখন আতংকিত। বলা হচ্ছে, একমাত্র “সচেতনতা” ছাড়া এর কোনো প্রতিকার নেই।
দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, সেমিনার সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর সব কার্যক্রমও শীতিল করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে থেমে নেই বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের কলমপুর গ্রামে একটি কালভার্ট নির্মানের কাজ। এমনকি বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আগে থেকেই এ ব্যাপারে অবগত আছেন এবং তারা এ পরিস্থিতিতে কাজের অনুমতিও দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে কলমপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাপক জনসমাগমে কালভার্টটির ঢালাই কাজ চলছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলে ঢালাইয়ের কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনুমানিক ১৫-১৬ জন শ্রমিক দিয়ে অসচেতন ভাবে চলছে কালভার্টটির ঢালাইয়ের কাজ। এসময় স্থানীয় প্রায় ২৫-৩০ জন লোকও উপস্থিত ছিলেন।
যদিও বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রীতি ভূষন দাস জানিয়েছেন, সব শ্রমিক এখানকার স্থানীয়। তবে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ শ্রমিকই স্থানীয় নয়।
কালভার্টটির কন্ট্রাক্টর গোলাম কিবরিয়া রেজুয়ান এখানে উপস্থিত থাকলেও সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্টো তিনি সাংবাদিকদের সাথে অপ্রীতিকর আচরণ করেছেন।
কালভার্টের ঢালাইয়ের ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রীতিভূষন দাস অবগত রয়েছেন।
ইউএনও দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, এখানকার স্থানীর শ্রমিক দিয়ে সচেতনতার সাথে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই কাজটি করা হয়েছে।