মঙ্গলবার ● ১৪ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিশ্বনাথে অপ্রতুল নমুনা সংগ্রহের কিট
বিশ্বনাথে অপ্রতুল নমুনা সংগ্রহের কিট
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের পর্যাপ্ত কিট নেই সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। সন্দেহ ভাজনদের সংখ্যা বাড়লে দেখা দিবে কিট সংকট। এ পর্যন্ত ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ১৪ এপ্রিল অবধি আছে মাত্র ১৮টি কিট।
সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও সন্দেহ ভাজনদের নমুনা সংগ্রহে ৩২টি কিট নিয়ে কাজ শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গত কয়েক দিনে এ উপজেলা থেকে ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মাধ্যমে ঢাকা পাঠানো হয়। এর মধ্যে পাওয়া ৪ জনের রিপোর্টই করোনা নেগেটিভ। সম্প্রতি নেয়া হয় নরায়নগঞ্জ ফেরত আরো ১০ ব্যক্তির নমুনা। এদিকে প্রতিদিনই বাড়ছে সন্দেহ ভাজন লোকজনের সংখ্যা। সম্প্রতি আরো অনেকেই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে ফিরলেও সংগ্রহ করা হয়নি তাদের রক্তের নমুনা। আগতদের সঠিক সংখ্যা-পরিচয় নিয়েও ধুম্রজালে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা বলেন, আজকে পর্যন্ত আমাদের আছে ১৮টি কিট। যা পর্যাপ্ত নয়। সন্দেহ ভাজনদের সংখ্যা বাড়লে নমুনা সংগ্রহে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, কিট কম আছে। সিলেট সিভিল সার্জন অফিস থেকে আজ-হয়তো কাল আরো কিছু কিট আমরা পাবো বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে মারা যাওয়া শিশু করোনা নেগেটিভ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সেই শিশু করোনায় আক্রান্ত ছিলো না। তার মামাও করোনা আক্রান্ত নয়। নমুনা পরীক্ষার পর জানাগেছে এ তথ্য। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, উপজেলার ধীতপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ভাগ্নে ও সুনামগঞ্জের দোয়ারা উপজেলার জলসি গ্রামের নওয়াজের ছেলে গালিব শাহরিয়ার ইমন (১০) গত বুধবার রাত ১১টায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে করোনা সন্দেহে সে ও তার মামা’র নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা প্রশাসন। বিশেষ সর্তকতায় জানাযা শেষে তার দাফন করা হয় ইমনের মৃতদেহ। আইসোলেশনে রাখা হয় বাড়ীর ৬টি পরিবার।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ নিয়ে মোট ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়েছি আমরা। ইতিমধ্যে অলংকারীর ইউনিয়নের ২ জন ও ধীতপুর গ্রামের শিশু ও তার মামার রিপোর্ট পেয়েছি। তাদের প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
বিশ্বনাথে ত্রাণ পেয়েও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে স্যোসাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, থানায় অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: ত্রাণসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও স্যোসাল মিডিয়ায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় সোমবার বিকেলে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র আবদুল মতলিবকে অভিযুক্ত করে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ছোরাব আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরকারি ত্রাণ ভোগ করার পরও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের ঘটনায় জনসাধারণের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসব মিথ্যাচারের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে বাদী ছোরাব আলী মেম্বার উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত আবদুল মতলিব বাদী ছোরাব আলী মেম্বারের ওয়ার্ডের (৮নং) একজন দরিদ্র লোক হওয়াতে সে (মতলিব) সবসময় সরকারি সকল ত্রাণ পেয়ে আসছে। তাছাড়া ছোরাব আলী মেম্বার ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আমির আলী ব্যক্তিগতভাবে আবদুল মতলিবকে সর্বদা সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন। অভিযুক্ত আবদুল মতলিবের স্ত্রী সেফালী বেগম-এর নামে বিগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ২৪ মাস ভিজিডি-এর ত্রাণ ভোগ করে। ওমেক্স ১০ টাকা কেজিতে চালের সুবিধা ভোগ করে আসছে। পরবর্তিতে সকল প্রকারের সরকারি ত্রাণ সে (মতলিব) পেয়েছে। করোনা সংকট মোকাবেলায় গত ৮.০৪.২০ইং তারিখে ইউনিয়নের কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র লোকজনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে সেও (আবদুল মতলিব) ত্রাণ পেয়েছে। কিন্তু সরকারি সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও অভিযুক্ত আবদুল মতলিব তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও রেকর্ড করে স্যোসাল মিডিয়াসহ ইউটিউবে প্রকাশ করে যে- ‘সে (মতলিব) সরকারি কোন ত্রাণ চেয়ারম্যান মেম্বারের মাধ্যমে পায় নাই’। উক্ত ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযুক্তের এমন মিথ্যা অপপ্রচারের ফলে বাদী (ছোরাব মেম্বার)’সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান এমনকি সরকারের মানহানি ঘটে ও ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
বিশ্বনাথে প্রবাসী সামছুল হকের পরিবারের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
বিশ্বনাথ :: করোনা ভাইরাস মোকাবেলার লক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সামছুল হক ও পরিবারবর্গের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী মাওলানা নজরুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় এলাকার ২ শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া। বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি পেয়াজ, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবন, ২ লিটার সোয়াবিন তেল ও ১টি সাবান।
বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ব্যবসায়ী মাওলানা নজরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিলু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য আশিক আলী, ফজর আলী মেম্বার, যুবলীগ নেতা সায়েদ আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সৈয়দ বদরুল আলম।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে বৈশাখী উদযাপন করলো বিশ্বনাথ থিয়েটার
বিশ্বনাথ :: করোনা সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে এবার বৈশাখী উৎসব উদযাপন করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থিয়েটার। এবছর ছাড়া প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে বিশ্বনাথ থিয়েটার।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সামাজিক দুরত্ব বাজায় রাখার জন্য পৃথকভাবে ৫০টি কর্মহীন পরিবারের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয় থিয়েটারের কর্মীরা। বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর তালিকায় ছিল জনপ্রতি ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তৈল, ১টি সাবান ও ২০০ গ্রাম হুইল পাউডার।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণে পৃথকভাবে অংশ নেন বিশ্বনাথ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল মুন্না, সাবেক সভাপতি ইশতিয়াকুর রহমান, বর্তমান সভাপতি আনহার আলী, সদস্য আহমেদ জুয়েল, শফিক রুহিন প্রমুখ।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থিয়েটারের সভাপতি আনহার আলী জানান, প্রতি বছর বৈশাখীতে পান্তা-ইলিশ পরিবেশন, নতুন পোশাক ক্রয় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকি আমরা। আর এবার সেই টাকা দিয়ে ৫০টি কর্মহীন পরিবারে খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে আরও দুই বছর প্রাকৃতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করেছিল বিশ্বনাথ থিয়েটার। এই মহুর্তে করোনা সংকটে সচেতনতার বিকল্প নাই। ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।