মঙ্গলবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » তিন পাবর্ত্য জেলার ২১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করোনা মহামারীতে চরম দূর্ভোগে
তিন পাবর্ত্য জেলার ২১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করোনা মহামারীতে চরম দূর্ভোগে
রপ্তদীপ চাকমা রকি, জুরাছড়ি :: প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সদিচ্ছায় তিন পার্বত্য জেলার জাতীয়করনকৃত ২১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের আত্তীকরণ না হওয়ায় করোনাকালীন সময়ে চরম অবর্ননীয় মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন এমতাবস্থায় তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষক প্রতিনিধিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে করোনাকালীন সহায়তা এবং অতিসত্তর শিক্ষকদের আত্তীকরণ করার আবেদন জানিয়েছেন । এই মহামারীতে তিন পার্বত্য জেলার ২১০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছেন সে বিষয়টা দেখার আজ কেউ নেই। বিগত দিনগুলোতে বিদ্যালয়ের পরিচালনার পাশাপাশি কোন না কোন কাজ করে সংসার চালালেও এখন তাদের সব কাজকর্ম বন্ধ । এমন অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে এক অবর্ননীয় অমানবিক জীবন যাপন করছেন । প্রতিনিধিরা জানান আমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আর এই করোনাকাল কখন শেষ হবে তা কেউ জানেনা। আমরা দুর্গম এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় সহায় সম্বলহীন। তাই শিক্ষকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ করার জন্য জোড় দাবী জানান।
উল্লেখ যে, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতায় ইউএনডিপি মৌলিক শিক্ষাদান প্রকল্পের সহায়তায় ২১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২০০৯ খ্রীঃ হতে ২০১৪ খ্রীঃ পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় ছিল। ২০১৪ খ্রীঃ পর থেকেই মুলত কোন প্রকার বেতন ভাতাদি ছাড়াই আমরা শিক্ষকগন জাতীয়করনের আশায় বিদ্যালয়গুলোর কার্য্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এবং২০ শে ফেব্রয়ারী ২০১৭ খ্রীঃ তারিখে বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করন করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ পর্যন্ত তিন বছরের অধিক হলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন কে এখনও জাতীয়করন করা হয়নি।
প্রকল্প চলাকালীন ২০১২ খ্রীঃ হতে আজ অবধি প্রত্যেক বছরেই আমাদের এই ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সমাপনী পরীক্ষায় সফলভাবে অংশগ্রহন করে আসছে এবং উক্ত বিদ্যালয় গুলোতে বর্তমানে প্রায় ১২,০০০ (বারো হাজারের) অধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এমতাবস্থায় সরকারের শিক্ষকদের জাতীয়করনের দীর্ঘসূত্রীতার / স্থবিরতায় উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক দের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার শঙ্খা বিরাজ করছে পাশাপাশি সরকারের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার মূলনীতিতে সরকার কতটা আন্তরিক তা আজ উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক তথা সামগ্রিক এলাকায় আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কারন যে শিক্ষকেরা মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মুল দায়িত্বে নিয়োজিত তারাই আজ এই দুর্দিনে অভুক্ত, অবহেলিত, অনিশ্চয়তায়।
বিগত ১২ ই জুন ২০১৯ খ্রীঃ প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রেরিত পত্রের নিদের্শ অনুযায়ী জাতীয়করনের জন্য রাঙামাটি ,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন জেলার শিক্ষকদের তালিকা উপজেলা ও জেলা যাচাই বাচাই কমিটি কতৃক স্বাক্ষরিত হয়ে যথারীতি মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়েছে আজ প্রায় বছর হয়ে গেছে । তারপরও জাতীয়করনের কোন খবর নেই।