শনিবার ● ২ মে ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে নারায়ণগঞ্জ ফেরত ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ
বিশ্বনাথে নারায়ণগঞ্জ ফেরত ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে কাভার্ড ভ্যানে করে নারায়ণগঞ্জ ফেরত পুরানগাওঁ গ্রামের ১৫ জনের মধ্যে তিনজনের করোনা ভাইরাস যাচাইয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২ মে) দুপুরে রামপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. মোহাম্মদ আলমগীর ৩ জনের নমুনা সংগ্রহের তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সরকারী নম্বরে কল করে উপজেলায় মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা জানতে চাইলে মেডিকেল অফিসার ফারজানা ইয়াসমিন অপারগতা প্রকাশ করেন এবং হাসপাতালে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন। একই সাথে এভাবে তথ্য দেওয়া যাবে না বলেও জানান।
তবে রামপাশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামীম আহমদ জানান, পুরানগাওঁ গ্রামের নারায়ণগঞ্জ ফেরতের বাড়িতে গিয়ে একটি পরিবারের ২ জন পুরুষ ও ১ জন নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ ফেরত সবাইকে সরকারি আইন মেনে চলার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন নমুনা সংগ্রহকারী দল।
বিশ্বনাথে ইউএনও’র মুঠোফোন নাম্বার ‘ক্লোন’ করে চাঁদা দাবি
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামানের মুঠোফোন নাম্বার (০১৭৩০৩৩১০৩২) ‘ক্লোন’ করে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা চেয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কতিথ বরাদ্দ পাইয়ে দেয়ার ছলে টাকা চাওয়া হয়। মুঠোফোন নাম্বার ‘ক্লোন’ হওয়ার কথা জানিয়ে ইউএনও ঘটনার দিন বিকেলে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান।
স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রধানরা জানান, শনিবার বিভিন্ন সময়ে উপজেলার রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও লতিফিয়া ইরশাদিয়া দাখিল মারাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ইউএনওর নাম্বার থেকে ফোন করা হয়। জানানো হয় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যে কম্পিউটার ও ল্যাপটপের জন্যে সরকারি বরাদ্দ এসছে। এজন্যে প্রত্যেককে বিকাশে ৮-১০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা দিলেই বরাদ্দ পৌছে দেয়া হবে। এক পর্যায়ে কন্ঠস্বর শুনে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সন্দেহ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করে বিষয়টি ভুঁয়া বলে নিশ্চিত হন তারা।
এদিকে ঘটনা জানার পর ওই নাম্বারে যোগাযোগ করেন ইউএনও। পরিচয় গোপন রেখে, তিনি কৌশলে দুর্বৃত্তকে জানান, ‘এই ফোনে কথা শুনতে অসুবিধা হচ্ছে।’ পরে তাক্ষণিক ইউএনওকে বিকল্প একটি মোবাইল নাম্বার (০১৮৯৩৪৩২৫১৪) দেয় দুষ্টচক্র।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, নাম্বার ‘ক্লোন’ করে টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল দুর্বৃত্তরা। সবাই সচেতন থাকায় পারে নি। ইতিমধ্যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের সনাক্ত করার চেষ্ঠা শুরু করেছি।