সোমবার ● ৪ মে ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে করোনায় মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন
বিশ্বনাথে করোনায় মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন
স্টাফ রিপোর্টার :: করোনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই পরিবারের ১২ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ শেষে শনিবার মধ্যরাতে বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।
সূত্র জানায়, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজার এলাকায় পল্লী চিকিৎসক ডা. সুকুমার বাবু স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। তার বড় ছেলে সবুজ, ফার্মেসী ব্যবসার সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সিলেট শহরের আখালিয়ার কালিবাড়ি বসবাস করতেন। শেখঘাট কলাপাড়ায় ছিলো তার ঔষধের দোকান। গেল ক’দিন আগে করোনায় উপসর্গ নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় সিলেট শামসুদ্দীন হাসপাতালে। ওখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল মারা যান তিনি। তার অসুস্থ হওয়া থেকে শেষকৃত্যে পর্যন্ত অংশ নেন পরিবারের লোকজন। শেষকৃত্য শেষে সবুজের স্ত্রী-সন্তানকেও বিশ্বনাথের বৈরাগী বাজারে নিয়ে আসেন শ্বশুর সুকুমার বাবু। পরে নিয়মিত বাজারের চেম্বারে রোগীও দেখেন তিনি।
এ দিকে সবুজের মত্যুর ৫ দিন পর গত শনিবার বিকেলে তার নমুনা রিপোর্টে থেকে জানাযায়, তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক তার পরিবারের লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে নমুনা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মৃত্যুর ৫ দিন পর জানাগেছে সুকুমার বাবুর ছেলে সবুজ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে পরিবারের সদস্যরা যাওয়ায় বাড়ি লকডাউন করে, আমরা তাদের ১২ জনের নমুনা নিয়েছি।
বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসিসোয়েশন’র ফ্রি সবজি বিতরণ
বিশ্বনাথ :: করোনা সংকট মোকাবেলায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে পুষ্টিকর সবজি বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরে ‘বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসিসোয়েশন’র তুরণরা নিজ উদ্যোগে এ সবজি বিতরণ করেন। এসময় নিম্ন আয়ের ২শত ১০জন মানুষের হাতে ফ্রি সবজি তুলে দেন তারা।
বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসিসোয়েশন’র সভাপতি এমদাদ হোসেন নাঈম ও সম্পাদক পাভেল আহমদের ব্যবস্থাপনায় বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুনু মিয়া, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা লিলু মিয়া, সিরাজ মিয়া, আলতাব হোসেন, নতুনবাজার বণিক সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ, কোষাধ্যক্ষ নবীন সোহেল, বিশ্বনাথ প্রেসকাব সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসিসোয়েশন’র সাবেক সভাপতি কাওছার আহমদ বাপ্পি, তন্ময় দেবরায়, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সাহেদ আহমদ প্রিন্স, এসোসিয়েশন কর্মী বকুল আহমদ, ইলিয়াছ আলী, সাবেল আহমদ খান, বিজয় দেব, রাসেল মিয়া, সৌমিত্র ধর, শেখ রেদওয়ানুল ইসলাম হৃদয়, মিজানুর রশীদ, মশাহিদ আলী, বিদ্যুৎ দাস মিশু, আশরাফুল আলম নবেল প্রমূখ।
বিশ্বনাথে চার সপ্তাহের ব্যবধানে তিন জনপ্রতিনিধির মৃত্যু
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও এক ইউপি সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন৷ সর্বশেষ, গতকাল রবিবার উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা তাহিদ মিয়া মারা গেছেন। এর আগে গত ৮ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা হাবিবুর রহমান ছাতির এবং গত ২৭ এপ্রিল সোমবার দৌলতপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ছোরাব আলী মারা যান। তারা প্রত্যেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এদিকে, এ সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মৃত্যুতে তাদের নির্বাচনী এলাকাসহ উপজেলাজুড়ে বইছে শোকের ছায়া।
শোকাহত তাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক বন্ধুরা।